খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ এবং খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক বর্তমান সময়ে আপনারা কাশি নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। কাশি এমন একটি রোগ যা অত্যন্ত বিরক্তিকর আমাদের জন্য। আজকের এই পোস্টটি খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ সম্বন্ধে। আপনি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ এবং এছাড়াও আরো জানতে পারবেন খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ সম্পর্কে।
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ
নিজেদের কাশি খুব দ্রুত ভালো করতে এবং খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত করতে থাকুন।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ

বর্তমানে খুসখুসে কাশি আমাদের জন্য অনেক বিরক্তিকর একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত শীতকালের পাশাপাশি বছরের অন্যান্য ঋতুতেও এ ধরনের খুসখুসে কাশি আমাদের শরীরে দেখা দেয়। খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ অনেক রয়েছে এরি মধ্যে অন্যতম সিরাপ গুলো হল তুলসী, অফ কফ, ডেস্কট্রিম ইত্যাদি। 

এই সিরাপ গুলোর মধ্যে যে কোন একটি সিরাপ প্রতিনিয়ত নিয়ম মাফিক খাওয়ার মাধ্যমে আপনার খুসখুসে কাশি খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে। খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি সিরাপ এর নির্দেশনাবলী মোতাবেক কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সে মোতাবেক এই সিরাপ গুলো পাচ থেকে সাত দিন গ্রহণ করার ফলে আপনার কাশি ভালো হয়ে যাবে।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ

বর্তমান সময়ে ফুসফুসে কাশির জন্য প্রায় অনেক ধরনের খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ওষুধ রয়েছে খুসখুসে কাশি এড়াতে প্রতিনিয়ত আপনার সিরাপ গ্রহন করা উচিত।এছাড়াও আপনি চাইলে সিরাপ গ্রহন না করে বিভিন্ন ধরনের কাশি ভালো হওয়ার ট্যাবলেট ও ব্যাবহার করতে পারেন। তবে কাশি ভালো করার জন্য সিরাপ এবং ট্যাবলেট দুটোই ভালো কাজ করে। সিরাপের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সিরাপ রয়েছে যেমন তুলসী, ডেক্সট্রিম ইত্যাদি। 

আপনি চাইলে খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ হিসেবে ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন ট্যাবলেট এর মধ্যে অন্যতম ট্যাবলেট হলো লরাতিন। যা আপনি সিরাপের পাশাপাশিও গ্রহণ করতে পারবেন।আরও রয়েছে ব্রাউনিয়া এবং রিউমেক্স । এছাড়া আপনি যদি অতিরিক্ত কফ যুক্ত কাশি থাকে তাহলে আপনি অফকফ নামক সিরাপ টি ব্যাবহার করতে পারেন। 
আপনার কাশির ধরন হিসেবে আপনাকে ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ গ্রহণ করতে হবে। যদি ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে গ্রহণ করার পরেও আপনার কাশি ভালো না হয় তবে সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং সে অনুযায়ী প্রতিনিয়ত ওষুধ গ্রহণ করবেন।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

সাধারনত শীতকাল কিংবা গরমকাল নয় বছরের প্রায় বিভিন্ন সময় আমাদের খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে। মুলত এই খুসখুসে কাশি আমাদের জন্য অনেক বিরক্তিকর হয়। তাই আমাদের এই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। অনেক সময় কাশি যক্ষ্মার লক্ষন ও হতে পারে। 

এ ধরনের খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি ভালো করার জন্য নিজের খারাপ অভ্যাস গুলো আগে ত্যাগ করতে হবে। এই খারাপ অভ্যাস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঠান্ডা পানিও গ্রহণ করা বা বিভিন্ন ধরনের ভাজা পোড়া খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রাখা। এ ধরনের অভ্যাস গুলোর ফলে খুসখুসে কাশি আরও বেড়ে যায়। 

সব সময় নিজের খাদ্য তালিকায় গরম খাবার রাখা প্রতিনিয়ত কুসুম গরম পানি পান করার মাধ্যমে খুসখুসে কাশির কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও খুসখুসে কাশি কমানোর করার ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস বা পুদিনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়

সাধারণত কাশি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে । এরই মধ্যে খুসখুসে কাশি, অতিরিক্ত কফ যুক্ত কাশি,যক্ষ্মার কাশি, এলার্জিজনিত কাশি ইত্যাদি। এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায় অনেক ধরনের রয়েছে । প্রতিদিন তিন বার করে মধু খেতে হবে ।মধুর পরিমান হবে ১ টেবিল চামচ। সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার সময় বা বৃষ্টি হওয়ার আগে এই এলার্জিজনিত ভাইরাস গুলো ছড়িয়ে পড়ে বেশি। 

তাই যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে তারা চেষ্টা করবেন। মূলত এ ধরনের এলার্জিজনিত ভাইরাসের কোন কার্যকরী ওষুধ নেই। সেজন্য যেসব জিনিস যেমন নিজের কাপড়চোপড় বালিশের কভার ইত্যাদি।নিত্যদিনের জিনিসগুলো গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে ভাইরাসের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা যাবে এবং এ ধরনের এলার্জিজনিত কাশি অনেকাংশে কমে আসবে।

গলা খুসখুস ও কাশি দূর করার উপায়

অতিরিক্ত গলা খুসখুস করলে কিংবা শুষ্ক কাশি হলে তা দূর করার জন্য তুলসী পাতা খাওয়া অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সিরাপ এবং ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়তন নিয়ম মত খেলে খুব সহজেই গলার খুসখুসে ভাব এবং কাশি দূর হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত কুসুম গরম পানি খেতে হবে এবং ফ্রিজের ঠান্ডা করার জিনিস খাওয়া যাবে না। 

ফ্রিজের ঠান্ডা কোন জিনিস বা ঠান্ডা পানি কোল্ড ড্রিংক এ সকল জিনিস খাওয়ার মাধ্যমে গলা খুসখুসে ভাব এবং কাশি আরো বেড়ে যাবে। তাই যতদিন কাশির হয়েছে ততদিন চেষ্টা করতে হবে এ ধরনের বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করার। তাহলে খুব দ্রুত করার খুসখুসে ভাব এবং কাশি দূর হয়ে যাবে।

গলা খুসখুস দূর করার ঘরোয়া উপায়

গলা খুসখুস দূর করার জন্য অনেক ধরনের ঘরোয়া উপায় রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম উপায় হলো সব সময় কুসুম গরম পানি পান করা। এছাড়াও কিসমিস , আদা লবঙ্গ ইত্যাদি খাবার খুসখুসে ভাব খুব সহজে দূর হয়ে যায়। চেষ্টা করবেন অভিমানের তরল খাবার গ্রহণ করার মধ্যে অন্যতম খাবার হচ্ছে ডাবের পানি এবং চা কফি জাতীয় খাবার। 
এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় মধু যুক্ত করতে পারেন। সাধারণত মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। মধুর কালো মরিচের মত ভিটামিন এবং এন্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। এ সকল খাবার নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে নিলে গলার খুসখুসে ভাব খুব সহজে দূর হয়ে যাবে।

বাচ্চাদের সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

বাচ্চাদের শরীর অনেক কোমল হওয়ায় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয়ে থাকে মূলত এই জন্যই বাচ্চাদের খুব সহজে সর্দি কাশির মতো বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার জন্য প্রথমত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাচ্চাদের কোন ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। 

তবে বর্তমানে বাচ্চাদের সর্দি কাশির জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে এর মধ্যে অন্যতম এন্টিবায়োটিক হলো সেফট্রিয়াক্সন ও ফ্লুক্লক্সাসিলিন। তবে এই সকল এন্টিবায়োটিক ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা মোটেও ঠিক নয়। শিশুদের যে কোন সমস্যাকে উপেক্ষা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা খুব দ্রুত সমাধান করে নেয়া উচিৎ। 

শুধু বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই নয় প্রতিটি রোগের অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কারোরই এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা উচিত নয় এর ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী ক্ষতি হতে পারে।

সর্দি কাশির সিরাপের নাম

বর্তমানে সর্দি-কাশি কমানোর জন্য অনেক ধরনের সিরাপ রয়েছে । এর মধ্যে অন্যতম সিরাপ গুলো হলো তুলসি , অফ কফ, ডেক্সত্রিম ইত্যাদি। কাশি অনেক বিরক্তি করে একটি রোগ আরো কয়েকটি ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো এমব্রক্স,আস্করেল, সেন্ডও ৫ এমজি ইত্যাদি। 
উল্লেখিত ঔষধ গুলো নিয়মমাফিক খাওয়ার মাধ্যমে আপনার সর্দি কাশি খুব সহজে ভালো হয়ে যাবে। পরবর্তীতে যদি সর্দি কাশি ভালো না হয় তবে সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেই অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন।

বেক্সিমকো কাশির ট্যাবলেট

বেক্সিমকো মূলত একটি স্কয়ার গ্রুপের ওষুধ। যা কাশির জন্য অনেক ভালো একটি ট্যাবলেট হতে পারে আপনারা চাইলে বেক্সিমকো কাশির ট্যাবলেট টি গ্রহণ করতে পারেন।

কাশির সিরাপ ভালো কোনটা

বর্তমান সময়ে কাশির জন্য অনেক ধরনের সিরাপ রয়েছে যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকারভেদে ব্যবহার করা যেতে পারে তবে অ্যাডভাস সিরাপ অন্যতম ভালো কাশির সিরাপ হিসেবে পরিচিত।
Next Post
No Comment
Add Comment
comment url