বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সিসি লিমিট ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত
আপনি হয়তো বাংলাদেশের মোটরসাইকেল সিসি লিমিট ২০২৩ সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুজি
করেছেন মূলত আজকের আমাদের এই পোস্টটি বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সিসি লিমিট ২০২৩
সম্পর্কিত পোস্ট। আপনি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সিসি
লিমিট ২০২৩ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আরো জানতে
পারবেন ৩৫০ সিসি বাইক বাংলাদেশ দাম সম্পর্কে ।
তাই বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সিসি লিমিট ২০২৩ এবং ৩৫০ সিসি বাইক বাংলাদেশ দাম
সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পোস্ট টি না টেনে পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সিসি লিমিট ২০২৩
বর্তমান সময়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশগুলোতে মোটরসাইকেল এর সিসি লিমিট নেই। তাই অনেক
নাগরিক বিশেষ করে বাইকার যারা রয়েছেন তারা এই সিসি লিমিট নিয়ে অনেক বেশি
ক্ষুব্ধ। সম্প্রতি জনপ্রিয় একটি বাইক রয়েল এনফিল্ড যা বাংলাদেশে আসতে চায়। ইফাদ
গ্রুপ নিজ উদ্যোগে রয়েল এনফিল্ডকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সিসি লিমিট থাকার ফলে অনেক বাইকার তাদের নিজেদের
পছন্দের অনেক বাইক ইমপোর্ট করে বিদেশ থেকে নিয়ে আসতে পারেন না। মূলত কর্তৃপক্ষ
মনে করেন যে অধিক সিসি যুক্ত বাইক হলে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাবে কিংবা বিভিন্ন
ধরনের হয়রানি হবে।
তবে সিসির সাথে বাইকের স্পিডের কোন সম্পর্ক নেই। দুইশ তিনশো কিংবা পাঁচশো সিসি
বাইক বলে কোন কথা নেই সেসব বাইকে যে গতি তোলা সম্ভব একটি 165 সিসি বাই কেউ
সমপরিমাণ গতি তোলা সম্ভব সুতরাং বলা যায় যে সিসির সাথে বাইকের গতির কোন সম্পর্ক
নেই। বিটিটিসি অর্থাৎ বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন এই কথার ভিত্তিতেই সিসি
লিমিট তুলে নেয়ার জন্য সুপারিশ করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আরো বলেন বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিন
ক্ষমতার সীমা তুলে নেয়া উচিত। পূর্বের বাংলাদেশের সিসি লিমিট ছিল একশ পঞ্চান্ন।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আগস্ট মাস থেকে সেই সিসি লিমিট এর পরিবর্তন করে ১৬৫ পর্যন্ত
করে দেওয়া হয়। তবে পুলিশের ক্ষেত্রে এবং সরকারি গাড়ি বহরের ক্ষেত্রে সিসি
লিমিট কার্যকর হয় না। তবে বর্তমানে যদি সিসি লিমিট বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
তবে সে ক্ষেত্রে অর্থব্যবস্থায় অনেক বড় প্রভাব ফেলবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে
হিমশিম খাবে বর্তমানের বাইক কোম্পানি গুলো। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
বাংলাদেশের সিসি লিমিট আরো বাড়িয়ে দিয়ে এখন বর্তমানে ৩৫০ সি সি বাইক বাংলাদেশে
বৈধ। তবে পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এ ধরনের সিসি লিমিট একদম উঠিয়ে
নেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
৩৫০ সিসি বাইক বাংলাদেশ দাম
বর্তমানে পূর্বের থেকে সিসি লিমিট বাড়িয়ে দেয় অনেকের কৌতূহল কাজ করে যে
বাংলাদেশ ৩৫০ সিসি বাইকের দাম কেমন হতে পারে এবং কি কি বাইক এসেছে বা আসতে
পারে। এই মাসে অর্থাৎ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের সিসি লিমিট
বাড়িয়ে ১৬৫ সিসি থেকে ৩৫০ সিসি করা হয়।
পূর্বে সিসি লিমিট অনেক কম থাকায় এ ধরনের হায়ার সিসি বাইক গুলো বাংলাদেশে আসতে
পারতো না। তবে ৩৫০ সিসি বাইকগুলো বর্তমানে বাংলাদেশে অফিসিয়ালি বিনিয়োগকারীরা
নিয়ে আসবে যেহেতু ৩৫০ সিসির অনুমোদন নেয়া খুব বেশি হয় নাই সেহেতু স্বাভাবিক
ভাবেই বর্তমান সময় ৩৫০ সিসি বাইক গুলোর দাম অনেক বেশি থাকবে।
আরো পড়ুনঃসকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত
বর্তমানে বাংলাদেশে ইয়ামাহা তাদের হায়ার সিসি বাইকগুলো খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে
আসবে। এবং আরো আর একটি ভালো খবর হচ্ছে অনেকেই রয়েল এনফিল্ড পছন্দ করেন। পূর্বের
সিসি লিমিট এর জন্য কারোরই রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশের রাস্তায় চালানোর সৌভাগ্য
হয়নি তারা এখন বৈধভাবে চাইলে রয়েল এনফিল্ড চালাতে পারবেন ইফাদ মটরস খুব
তাড়াতাড়ি রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।
৩৫০ সিসি বাইক গুলো বাংলাদেশে আসতে অনেক ট্যাক্স এবং অনেক বাধার সম্মুখীন হয়
সেজন্য এই বাইকগুলোর দাম বাংলাদেশে আসার পর অনেক বেড়ে যায় তবে চার লাখ বা
পাঁচ লাখ টাকা থেকে এ ধরনের হায়ার সিসি সুপার বাইক গুলোর দাম শুরু হবে বলে আশা
করা যাচ্ছে।
৫০০ সিসি বাইক অনুমোদন
সম্প্রতি ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫০ সিসি বাইকের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ
সরকার। সেজন্য পরবর্তীতে ৫০০ সিসি বাইকের অনুমোদন দেয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে
বেড়ে এসেছে। সম্ভাবনা রয়েছে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে ৫০০ সিসি বাইকের
অনুমোদনও হয়ে যাবে। অনেকেই বাইক লাভার মানুষ রয়েছেন।
যারা নিজেদের পছন্দের বাইক বিদেশ থেকে ইমপোর্ট করে নিয়ে আসতে পারছেন না বা দেশে
থেকে নিজেদের পছন্দের বাইকগুলো কিনতে পারছেন না এই সিসি লিমিটের জন্য। বাংলাদেশের
বেসরকারি কোম্পানিগুলো চায় দেশে হাইয়ার সিসির মোটরসাইকেল গুলো আমদানি করতে কিন্তু
যথাযথ অনুমোদন না থাকার ফলে তারা চাইলেও হায়ার সিসি বাইক গুলো আমদানি করতে পারছে
না।
সম্প্রতি তিনশো পঞ্চাশ সিসির অনুমোদন পেয়ে গেলেও এখনো দেশে উচ্চ সিসির
মোটরসাইকেল গুলো আমদানি শুরু হয়নি। বাইক কোম্পানির চিন্তাভাবনা আছে ৫০০ সিসির
অনুমোদন পেলে তারা দেশেই ৫০০ সিসি মোটরসাইকেল তৈরি করা শুরু করবে। ৩৫০ সিসির পর
এখন দেশের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ৫০০ সিসি অনুমোদনের পথে হাঁটছে। ৫০০ সিসি
অনুমোদনের পর দেশের রাস্তায় বাধাহীন ভাবে চলবে পাঁচশো সিসির উচ্চ ক্ষমতা
সম্পন্ন মোটরসাইকেল গুলো।
২৫০ সিসি বাইক অনুমোদন
পূর্বে বাংলাদেশে ১৬৫ সিসি পর্যন্ত অনুমোদন ছিল তবে বর্তমান সময়ে এসে তা ৩৫০
সিসি তে দাঁড়িয়েছে। তাই এক্ষেত্রে চাইলেই কোন বাইকার ২৫০ সিসি বাইক এখন
বাধাহীনভাবে চালাতে পারে বাংলাদেশের রাস্তায় । খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে ২৫০
সিসি বাইক এর আমদানি শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে সর্বোচ্চ কত সিসি বাইক আছে
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ধরনের হায়ার সিসি বাইক রয়েছে কিন্তু বৈধভাবে কেউ
একটি বাংলাদেশের রাস্তায় চালাতে পারে না। পূর্বে ১৫৫ সিসি লিমিট থাকলেও
পরবর্তীতে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের সিসি লিমিট বাড়িয়ে ১৬৫ তে করা হয়েছিল।
বর্তমানের সর্বোচ্চ সিসির বাইক গুলো দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রা ব্যবহার করে
থাকে।
আরো পড়ুনঃসরকারি সেবা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
তাদের বাইকগুলো ১০০০ বা ১২০০ সিসি পর্যন্ত হয়। তবে সাধারণ বাইকাররা এই হায়ার
সিসি বাইকগুলো চালাতে পারে না বাংলাদেশে এর বৈধতা বা অনুমোদন নেই। পূর্বের
তুলনায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মত বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় সিসি
লিমিট আস্তে আস্তে বাড়ানো শুরু করেছে।
ভারতে কত সিসি বাইক চালানো যায় ২০২৩
আপনারা অনেকেই খেয়াল করবেন ভারতে গেলে অনেক বাংলাদেশী হায়ার সিসি বাইক নিয়ে
চালাতে পারে এর কারণ ভারতে কোন সিসি লিমিট নেই কিন্তু বাংলাদেশের সিসি লিমিট
থাকায় বাংলাদেশ এ কেউ চাইলে হায়ার সিসি বাইক আমদানি করে কিংবা বৈধভাবে চালাতে
পারে না। ভারতের সিসিলিমিটেশনের তথ্য মতে বর্তমানে ভারতে কোন সিসি লিমিট নেই
সেজন্য ভারতে সকল বাইক চালানো বৈধ।
১২৫ সিসি বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৩
পূর্বে শুধুমাত্র বাইক রেজিস্ট্রেশনের জন্য বাইকার দের গুনতে হতো অনেক টাকা।
বাইক রেজিস্ট্রেশন দিয়ে অনেক ব্যয়বহুল ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাইক
রেজিস্ট্রেশনটি অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। পূর্বের বাইক রেজিস্ট্রেশন কি
ছিল ১০১৫২ টাকা। কিন্তু বর্তমান সময়ে ২০২৩ সালে এসে এই বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি
২১১৫ টাকা বাড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এর জন্য বর্তমান সময়ে এসে মোট বাইক রেজিস্ট্রেশন ফি হলো ১২২৬৭ টাকা। যা বর্তমান
সময়ে বাইকারদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আপনি যদি
বাংলাদেশে বাইক চালাতে চান তবে আপনার ট্যাক্স টোকেনের প্রয়োজন পড়ে।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে আরো অনেক টাকা দিতে হবে। আপনি যদি আপনার রেজিস্ট্রেশন এবং
ট্যাক্স টোকেন সহ বৈধ ভাবে প্রায় ১০ বছর বাংলাদেশে বাইক চালাতে যান তবে এর জন্য
আপনাকে ত্রিশ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি খরচ করতে হবে।
পুরাতন মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি
বর্তমান সময়ে এসে বাইক পুরাতন হোক কিংবা নতুন বাইক হোক আপনার বাইক
রেজিস্ট্রেশন এর ফি এর কোন পরিবর্তন হবে না। এর জন্য আপনাকে ২০২৩ সালে এসে
পুরাতন মোটরসাইকেল এর রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ১২২৬৭ টাকা খরচ করতে হবে। তাই
পুরাতন মোটরসাইকেল নিয়ে যদি ভেবে থাকেন যে।
রেজিস্ট্রেশন ফি এর ক্ষেত্রে আপনি ছাড় পাবেন তবে আপনার ধারণা ভুল। আপনার
বাইক পুরনো হোক কিংবা নতুন হোক আপনি যদি বাংলাদেশে বৈধভাবে বাইক চালাতে চান তবে
আপনাকে সমপরিমাণ রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করে বাইক চালাতে হবে।
শেষ কিছু কথা
আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সিসি লিমিট ২০২৩ এবং ৩৫০ সিসি বাইক বাংলাদেশ দাম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য গুলো সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক।
এছাড়াও আপনাদের বাংলাদেশে মোটরসাইকেল সিসি লিমিট ২০২৩ এবং ৩৫০ সিসি বাইক বাংলাদেশ দাম সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।