এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৩

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৩ এর সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। আজকের এই পোস্টটি এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৩ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আরো জানতে পারবেন এনজিওগ্রাম করতে খরচ কত পড়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে।
এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৩
সেজন্য এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৩,এনজিওগ্রাম করতে খরচ কত পড়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এবং হার্টের রিং সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য জানতে পোস্ট টি না টেনে পড়তে থাকুন।

এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৩

সাধারণত যে পরীক্ষার মাধ্যমে হার্ট এ নিজস্ব রক্তনালীর প্রবাহে কোন ব্লক আছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয় সে পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে এনজিওগ্রাম বলা হয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জেনারেশন এবং বিভিন্ন ধরনের রিং পাওয়া যায়। এরই মধ্যে এনজিওগ্রাম হার্টের রিং অন্যতম। 
বিভিন্ন জেনারেশনের রিং অর্থাৎ ফার্স্ট জেনারেশন, সেকেন্ড জেনারেশন এবং থার্ড জেনারেশন । বর্তমানে ফার্স্ট জেনারেশন এর রিংগুলো অত্যন্ত দুর্লভ। এই রিংগুলো সাধারণত ২০০০ সালের দিকে খুব বেশি পাওয়া যেত। সেকেন্ড জেনারেশন গুলো আমেরিকা থেকে ইমপোর্ট করে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। 

থার্ড জেনারেশন এর রিং গুলো ইউরোপ থেকে ইমপোর্ট করে নিয়ে আসা হয়। মূলত এনজিওগ্রাম একটি পরীক্ষার নাম যে পরীক্ষার মাধ্যমে এনজিও প্লাস্টি বা স্টেনটিং বা রিং পরানো হয়। বর্তমানে দেশে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে খুব কম খরচে এই এনজিওগ্রাম হাটের রিং বসিয়ে নেয়া যায়।

এনজিওগ্রাম করতে খরচ কত পড়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে

অনেকের মনেই অনেক রকমের কৌতূহল জেগে ওঠে যে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এনজিওগ্রাম করতে কত টাকা খরচ পড়ে । হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর বাইরেই টানানো দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের রিং এর মূল্য তালিকা। অনেক মানুষ মনে করত যে রিং এর দাম কমপক্ষে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা। 

কিন্তু হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের এই তালিকা দেখে তাদের ভ্রান্ত ভুল ধারণা গুলো ভেঙ্গে যায় এবং তারা আরো বলেন যে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানতো না যে এত কম দামে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে হার্টের থেকে রিং পরানো সম্ভব। বর্তমানে দশ থেকে বিশ হাজার টাকার মধ্যে যে রিং পাওয়া যায় মানুষ তা কখনোই জানতো না বা কখনোই কল্পনা করে উঠতে পারে নাই ।
আসলেই সরকারের এই ভালো উদ্যোগটি কে সাধুবাদ জানাতে হয়। এ ধরনের কম রিং দেয়ার ফলে কিছু দুর্নীতিবাজ এর ফায়দা উঠানো শুরু করে এবং বিভিন্ন জায়গায় এই রিং পরানো নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং 

রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। অতীতের তুলনায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর দাম অনেকাংশে কমে এসেছে। তাই এনজিওগ্রাম হার্টের রিং বসানোর জন্য আপনি খুব সহজেই হৃদরোগ ইস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

ভারতে হার্টে রিং পরানোর খরচ

বর্তমান সময়ে অনেকেই আছে যারা সঠিক এবং ভালো মানের চিকিৎসার জন্য ভারতে পাড়ি জমান। সাধারণত হার্টের রিং পরানো সার্জারি একটি কার্ডিয়াক সার্জারির অন্তর্ভুক্ত। যা অত্যন্ত জটিল পদ্ধতির একটি চিকিৎসা। প্রতিনিয় হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বাড়ছে এবং হার্ট ব্লক হয়ে গেলে রিং পরানোর প্রয়োজন পড়ছে। 

বিভিন্ন দেশের হার্টের রিং পড়ানোর খরচ ভিন্ন। হার্টের রিং পরানোর খরচ সব সময় রিং এর প্রকারভেদ এবং জেনারেশন এর উপর নির্ভর করে। ভারতে একটি হার্টের রিং বা বিয়ার মেটাল এর দাম ১০ হাজারের কাছাকাছি হয়ে থাকে। যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে দাঁড়ায় ১২ হাজার টাকা প্রায়। 

ভারতে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা রিং এর উৎপাদন এবং বাজারজাত করণ করেন। মূলত এই জন্যেই বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে রিং এর দাম কম। তবে সব মিলিয়ে হিসেব করতে গেলে ভারতে হার্টের রিং বসানোর জন্য দেড় লাখ থেকে শুরু করে তিন লাখ কিংবা সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। 
এছাড়াও ভারতে বিভিন্ন শহরের বা বিভিন্ন প্রদেশে রিংয়ের দামের ভিন্নতা রয়েছে। যেমন আপনি যদি মহালি থেকে হার্টের রিং পরান সেখানে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় এক লাখ সাইত্রিস হাজার থেকে এক লাখ পঞ্চান্ন হাজার পর্যন্ত। তবে আপনি চেন্নাই কিংবা মুম্বাইতে যদি হার্টের রিং এর সার্জারি করান এবং হার্টের রিং পরান। 

সে ক্ষেত্রে আপনার এক লাখ সত্তর হাজার থেকে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার বা দুই লাখ ষাট হাজার মতো খরচ হতে পারে। এ ছাড়া অনেক গুলো সহজ হয়েছে সেসব শহরেও হার্টের রিং পরানোর খরচের অনেক ভিন্নতা রয়েছে।

ভারতে হার্টের চিকিৎসার খরচ

বাংলাদেশ থেকে কিংবা পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ থেকে ভারতে মানুষ হার্টের চিকিৎসার জন্য যায়। সাধারণত হার্ট সার্জারি কার্ডিয়াক সার্জারির অন্তর্ভুক্ত এই সার্জারি একটি জটিল প্রক্রিয়া হওয়ায় সুদক্ষ সার্জন ছাড়া কোন রোগী সার্জারিতে ইচ্ছা পোষণ করে না। ভারতে হার্টের অনেকগুলো সুদক্ষ চিকিৎসা প্রয়োজন। 

যারা অত্যন্ত জনপ্রিয় সেজন্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর হার্টের রোগীরা হার্টের চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। ভারতে হার্টের চিকিৎসার খরচের অনেক ভিন্নতা রয়েছে বিভিন্ন প্রদেশ কিভাবে বিভিন্ন শহর হিসেবে। সাধারণত হার্ট ব্লক কিংবা হার্ট অ্যাটাক এর জন্য হার্টের রিং পরানোর প্রয়োজন পড়ে এই রিং পড়ানোর মোট খরচ দেড় লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ বা চার লাখ পর্যন্ত হতে পারে। 
এছাড়াও কোন কোন জায়গার হিসাব মতে ২ লাখ ৪০ হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ পর্যন্ত খরচ হতে পারে। মূলত এই খরচটি আপনি কি ধরনের অপারেশনের জন্য খরচ করছেন এবং কোন শহর থেকে বা কোন প্রদেশ থেকে এই কাজটি সম্পন্ন করছেন তার ওপর নির্ভরশীল। আপনার সার্জারি এবং আপনার সমস্যার ভিত্তিতে আপনার খরচটি হবে। করে যে উল্লেখিত খরচটি বলা হয়েছে সেটি আনুমানিক গড় হিসেব করা বলা হয়েছে।

হার্টে রিং কতদিন স্থায়ী হয়

সাধারণত হার্টের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হলেই হার্টের রিং পরানো হয় যেমন সঠিকভাবে রক্ত চলাচল বা স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে। হার্টের রক্তনালীতে ব্লকের মাত্রার ওপর নির্ভর করেও হার্টের রিং পরানো হয়। ব্লকের মাত্রা সাধারণত ৭০ ভাগের বেশি হলে রিং লাগানোর প্রয়োজন পড়ে এবং অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে বাইপাস অপারেশন করা হয়। স হার্টের রিং এর স্থায়িত্বকাল হার্টের রোগীর উপর নির্ভর করে।

হার্টে রিং পরানো হয় কেন

হার্টের রিং পরানোর মুল কারন হলো হার্টের ব্লক হয়ে যাওয়া বা স্বাভাবিক রক্ত চলাচল না হওয়া। হার্টের রিং মূলত হচ্ছে একটি ধাতব টিউব যা পরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এছাড়াও হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে হার্টের রিং পরানো অত্যন্ত জরুরী। 
অনেক সময় হার্ট ব্লকের মাত্রা ৭০ ভাগের বেশি হয়ে গেলেও হার্টের রিং লাগানোর প্রয়োজন পড়ে। রিংয়ের অনেক ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে হার্টের অবস্থা বুঝে যে ধরনের বা যে জেনারেশনের রিং দরকার সে রিং কার্ডিয়াক সার্জারির মাধ্যমে ডাক্তার পরিয়ে দেন।

হার্টে রিং পরানোর পর করনীয়

হার্টের রিং পরানোর পরে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এছাড়াও আপনি যা যা মেনে চলবে তা হলো নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে হাঁটাচলা করতে হবে, চর্বি এবং তেল জাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলতে হবে, ধূমপানসহ সকল ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

নিজের সকল ধরনের বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিনিয়ত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তিন মাস বা ছয় মাস পর পর ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং নিজের অবস্থার কথা তাকে অবগত করে সে অনুযায়ী পরামর্শ নিতে হবে।
সুত্রঃ
ডা. এ কে এস জাহিদ মাহমুদ খানত
কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজিঠ

হার্টে রিং পরানোর পদ্ধতি

হার্টের রিং টিউবের মতো দেখতে জালিকাযুক্ত একটি বস্তু। হার্টের রিং সাধারণত ৮ মিলিমিটার থেকে 52 মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ২.২৫ মিলিমিটার থেকে ৫ মিলিমিটার পর্যন্ত এর ব্যাস হয়। হার্টের রিং এর অনেকগুলো প্রকারভেদ রয়েছে। মূলত কার্ডিয়াক সার্জারির মাধ্যমে হার্টের রিং পরানো হয়ে থাকে।

ওপেন হার্ট সার্জারি করতে কত টাকা লাগে?

আপনারা অনেকেই পূর্বে ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পর্কে শুনেছেন। সাধারণত ওপেন হার্ট সার্জারি ক্ষেত্রে ভালো মানের চিকিৎসার জন্য যারা বাহিরে চিকিৎসা করাতে চান সে ক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা কিংবা তার বেশিও খরচ হতে পারে নির্ভর করবে চিকিৎসার জায়গা এবং চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর। ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য মূলত ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার বা 90 হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। 
বাংলাদেশের হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে অনেক কম খরচে আপনি চাইলে ওপেন হার্ট সার্জারি করাইতে পারবেন। তবে যদি আপনি ভালো মানের চিকিৎসা এবং সুদক্ষ সার্জন তারা চিকিৎসা করাতে চান তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভারত কিংবা অন্যান্য দেশে যেতে হবে। যা আপনার জন্য অনেক ব্যয়বহুল হতে পারে।

শেষ কিছু কথা

আশা করি ব্লগ পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। ব্লগ পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৩ সম্পর্কে ।আমরা সকল ধরনের আপডেট নিউজ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক , এছাড়াও অনেক বিষয়ে প্রতিদিন পোস্ট করে থাকি।আপনি আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই প্রতিনিয়ত অনেক অজানা তথ্য সবার আগে জানতে পারবেন। আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে সকল পোস্ট সবার আগে পেতে  গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। গুগল নিউজ লিংক


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url