প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি হয়তো প্রতিনিয়ত নিজেদের মাথার চুল উঠা নিয়ে অনেক চিন্তিত।আজকের পোস্ট টি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্বন্ধে। আপনার যদি অতিরিক্ত মাথার চুল উঠে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি জেনে নিতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্বন্ধে। এছাড়াও আপনি আরো জানতে পারবেন মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় এবং চুল পড়া রোধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

নিজেদের চুল পড়া রোধ করতে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন

প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

বর্তমান সময়ে আমাদের চুল পড়ার মত সমস্যা যেন পিছু ছাড়ে না । সাধারণত চুল পড়ার জন্য আপনারা নিজেরাই দায়ী এর কারণ আমরা শরীরের অন্যান্য জায়গার যত্ন নিলেও চুলের যত্নতে উদাসীনতা প্রকাশ করি সেজন্য প্রতিনিয়ত সময়ের সাথে সাথে অল্প অল্প করে চুল উঠে যায় এবং মাথায় টাক পড়ে যায়। 

বর্তমানে প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় রয়েছে। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য সর্বপ্রথম প্রতিনিয়ত চুলের যত্ন নেয়া শুরু করতে হবে। নিজের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন আনার ফলেও অনেক সময় চুল পড়তে পারে তবে সে বিষয় নিয়ে চিন্তিত না থেকে খাদ্যাভাস ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। সাধারণত খাদ্যাভাসে প্রোটিনের অভাব পড়ার ফলে চুল পড়তে শুরু করে। 
তাই নিজের খাদ্যাভাসের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে হবে এবং সব সময় নিজের খাদ্যে পরিমাণ মতো প্রোটিন নিশ্চিত করতে হবে। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায় নতুন চুল গজানোর উপায় গুলো মেনে চলেন তবে অবশ্যই আপনার চুল পড়া খুব তাড়াতাড়ি কমে আসবে । এজন্য প্রথমত আপনাদের চুলকে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার রাখতে হবে নোংরা হলে গোসল করার মাধ্যমে চুল পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। 

প্রতিনিয়ত পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো মত লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে এর ফলে নির্দিষ্ট সময় পর আপনার নতুন চুল গজানো শুরু হবে। এছাড়াও চাইলে আপনি মেহেদী পাতা মিক্স করে কিছুদিন পর পর মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন করে যুক্ত খাদ্য খাবে যেন।

প্রোটিনের ঘাটতির ফলে আপনার চুল না পড়ে যায়। আপনি চাইলে প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে ভিটামিন-ই নিজের চুলে দিনে তিনবার থেকে চারবার মাসাজ করতে পারেন এর ফলে নতুন চুল বের হবে এবং চুল পড়া হার অনেক কমে আসবে।

মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মাথার পুরো অংশে চুল থেকে যায় কিন্তু মাথার সামনে অংশ থেকে চুল উঠতে শুরু করে এবং পর্যায়ে গিয়ে মাথার সামনের অংশ সব গুলো চুল উঠে একদম খালি হয়ে যায়। তবে প্রতিনিয়ত কিছু নিয়ম মেনে চললে এ ধরনের চুল পড়ার হার অনেকাংশে কমে আসবে। 

তবে যাদের মাথার সামনে চুল পড়ে গিয়েছে মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় বা নির্দিষ্ট না নিয়ম রয়েছে এগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মাথার সামনের চুল ফিরে পেতে পারবেন। প্রতিনিয়ত চুলের যত্ন নেয়া শুরু করুন। সাধারণত চুলের জন্য ভিটামিন ই ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি অনেক বেশি কার্যকরী। 

তাই এ ধরনের ভিটামিন গুলো তুলে ব্যবহার করার এবং এ ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার নিজের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করার চেষ্টা করবেন। সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুইবার এ ধরনের ভিটামিন গুলো এবং ডিমের কুসুম মধু এবং লেবু মিক্স করে চুলে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। আলুর রস মধু এবং লেবু এগুলো অনেক বেশি উপকারী চুলের স্বাস্থ্যের জন্য।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

অনেক সময় কিছু অনিয়মের জন্য এবং নিজের খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের জন্য বা চুলের যত্নের অভাবের ফলে ছেলেদের চুল পড়া শুরু হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে। মাথা খালি হয়ে যা। তাই চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে প্রথমত নিজের খাদ্যাভাসে প্রোটিন যুক্ত খাদ্য বেশি বেশি রাখার চেষ্টা করতে হবে। 
আপনারা অনেকেই জানেন ভিটামিন ই চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী এবং ভিটামিন এ চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এজন্য আপনি চাইলে ভিটামিন ই মাথায় চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন এর ফলে আপনার চুল পড়া খুব সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে।

ছেলেদের প্রতিদিন কয়টা চুল পড়া স্বাভাবিক

অনেকেরই প্রতিনিয়ত অনেক জোর পড়ে যায় । এই চুল পড়ার জন্য অনেকের সব সময় দুশ্চিন্তায় ভুগেন যে তাদের অতিরিক্ত চুল মাত্রাতিরিক্ত পড়ছে কিনা বা তাদের মাথা আস্তে আস্তে এই চুল পড়ার ফলে খালি হয়ে যাবে কিনা। সাধারণত চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য মতে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২৫ টি চুল পড়া স্বাভাবিক। 

তবে আপনি যদি মাথার সব চুল ধরে টান দেয়ার পরে পাঁচ থেকে ছয়টি চুল বা তার অধিক চুল আপনার হাতে চলে আসে তবে সে ক্ষেত্রে আপনার বুঝতে হবে যে আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ছে। প্রতিনিয়ত চুলের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে এবং নিজের খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের চুল পড়া কমিয়ে আনা সম্ভব।

কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়

সাধারণত শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে চুল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য মতে একটি চুলের গড় আয়ু দুই থেকে আট বছর পর্যন্ত। অতিরিক্ত চুল গজানো এবং অতিরিক্ত চুল পড়া অনেক সময় জেনেটিক্সের উপর নির্ভর করে তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মানুষের চুল গজাতে থাকে। জন্মের পর থেকেই সাধারণত একটি বাচ্চার চুল বড় হতে থাকে। 
অনেক সময় খাদ্য তালিকার পুষ্টিকর খাদ্য এবং ভিটামিন সম্পন্ন খাদ্য চুল গজানোতে ভূমিকা রাখে। সাধারণত বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত চুল গজাতে থাকে। প্রতিনিয়ত আমাদের মাথা থেকে যে পরিমাণ চুল ওঠে যদি সে পরিমান নতুন চুল না গজাত তবে আমাদের মাথার চুল অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত। 

যাদের শারীরিকভাবে গ্রোথ বেশি কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে চুল গজানোর বয়স এবং সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। যাদের চুলে কোন ধরনের পুষ্টি নেই তাদের ক্ষেত্রে চুল পড়ার হার অনেক বেড়ে যায় এবং নতুন চুল অনেক কম গজায়। তাই অতিরিক্ত চুল উঠায় দুশ্চিন্তা না করে নতুন চুল গজানোর জন্য চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করুন।

শেষ কিছু কথা

আশা করি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কিত ব্লগ পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। উপরে উল্লেখিত সকল তথ্য মেনে চলার মাধ্যমে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং নতুন চুল গজানো শুরু হয়ে যাবে। নিয়মিত ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে সাথে থাকুন । আপনি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করার মাধ্যমে সবার আগে সকল ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার কাছে পৌঁছে যাবে গুগল নিউজ ফলো বাটন
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url