কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য কত কিমি এবং কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ বিস্তারিত পড়ুন
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো বর্তমানে নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য কত কিমি
বা কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ এ সকল বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য জানার ইচ্ছা পোষণ
করেছেন। তবে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই এ প্রশ্নের মাধ্যমে কর্ণফুলী টানেলের
দৈর্ঘ্য কত কিমি এবং কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কিত অনেক বিস্তারিত তথ্য আপনাদের
জানানোর চেষ্টা করেছি।
তাই কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে এবং কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য
কত কিমি এ সকল অনেক অজানা তথ্য জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে এবং না টেনে শেষ
পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য কত কিমি
বর্তমান সময়ে নির্মাণাধীন টানেল হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা
বঙ্গবন্ধু সুরঙ্গ বা কর্ণফুলী টানেল বা
বঙ্গবন্ধু টানেল। এই টানেল টি কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এখনো টানেল টির
কার্যক্রম শুরু হয়নি তবে খুব দ্রুত এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা
যাচ্ছে।
অনেকের মনে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা আসতে পারে যে কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য
কত কিমি । বর্তমান সময়ের তথ্য মতে এই কর্ণফুলী টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩.৪৩
কিলোমিটার। টানেল চালু হওয়ার প্রথম বছরে প্রায় পঞ্চাশ লাখ গাড়ি বা তারও বেশি
গাড়ি এই টানেল দিয়ে যাতায়াত করবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
কর্ণফুলী টানেল অনুচ্ছেদ
কর্ণফুলী টানেলটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ টানেল হতে
যাচ্ছে যা পরবর্তীতে দেশের জন্য অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করবে। বর্তমানে এই
কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার মহাসড়ক অনেক ভালো ভাবে
যুক্ত হবে। এবং কর্তৃপক্ষর তথ্য মতে এই টানেলটি নির্মিত সম্পন্ন হয়ে
গেলে।
এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম টানেল এবং দক্ষিণ এশিয়ার নদী তলদেশের অন্যতম একটি
শীর্ষ এবং দীর্ঘতম টানেল হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি পাবে। কর্ণফুলী টানেলটি
প্রায় ৪ কিলোমিটার এবং বর্তমান কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে ৩.৪৩ কিলোমিটার জুড়ে
রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন রয়েছে এই টানেল টি।
তবে কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে খুবই দ্রুত এই টানেলটির উদ্বোধন সম্পন্ন হবে এবং
প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি সে রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করবে। এই টানেলটি
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম একটি টানেল হিসেবে পরিচিত। তবে কিছু কিছু
তথ্যসূত্রে জানা গেছে এই প্রকল্পটির মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩৯ কিলোমিটার।
তবে মূল টানেল যেটি রয়েছে সেটার দৈর্ঘ্য ৩. ৪৩ কিলোমিটার। মূলত এই টানেলটি
চট্টগ্রাম বন্দর এবং আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে। চীনের রাষ্ট্রপতি সি
জিনপিং এবং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের ১৪ই অক্টোবর এই
টানেলটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
কর্ণফুলী টানেলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
কর্ণফুলী টানেল এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাংলাদেশী অর্থনীতিতে অপরিসীম।
কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে এবং অর্থনীতিবিদদের মতে এই চ্যানেলটি নির্মাণাধীন শেষ হলে
এবং এর উদ্বোধন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের জিডিপি 0.166 শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা
করা যাচ্ছে। তাদের তথ্য এবং হিসেব মতে
বছরে প্রায় ৫০ লাখ থেকে শুরু করে 60 লাখ বা তারও বেশি গাড়ি এই টানেল দিয়ে
যাতায়াত করবে বলে আশা করছেন তারা। অর্থনীতিবিদরা আরো আশা করছেন যে দক্ষিণ-পূর্ব
এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র হবে কক্সবাজার। এছাড়াও কর্ণফুলী টানেলের অর্থনৈতিক
গুরুত্ব হিসেবে বাড়বে দেশী এবং বিদেশি বিনিয়োগ।
পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং বিভিন্ন ধরনের শিল্পায়নের সম্ভাবনা তৈরি করবে এই
টানেলটি। কয়েক বছর পূর্বে এই নদীর আশেপাশে কোন ধরনের শিল্প কারখানা ছিল না
কিন্তু এই টানেলটির ফলে কর্ণফুলী নদীর আশেপাশে অনেক ধরনের শিল্প কারখানা তৈরি
হবে। কর্ণফুলী নদীর অপরদিকে রয়েছে চায়না ইপিজেড এবং মিরসোরাই অর্থনৈতিক
অঞ্চল।
আরো রয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এ সকল কিছু অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন এবং জিডিপিতে
ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এবং বাংলাদেশের মধ্যকার
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রাম কর্ণফুলী টানেল এর
নির্মাণাধীন সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে ওয়ান সিটি টু হিসেবে খ্যাত হবে।
কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন কবে হবে
বর্তমানে নির্মাণাধীন বাংলাদেশে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ
দিয়ে নির্মিত প্রথম টানেল টি হলো কর্ণফুলী টানেল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে আগামী
২৮ তারিখ অর্থাৎ ২৮ শে অক্টোবর ২০২৩ এ নদীর তলদেশে নির্মিত হওয়া দেশের প্রথম
টানেলটির কার্যক্রম শুরু হবে এবং উদ্বোধন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কর্ণফুলী টানেলের বর্তমান অবস্থা
বর্তমান সময়ে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে কর্ণফুলী
টানেল টির দক্ষিণ দিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি কাজ প্রতিনিয়ত এগিয়ে
যাচ্ছে। চার লেনের রাস্তা বা সড়ক এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত একটি কাজ।
নির্মানাধীন প্রতিটি কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেই উদ্বোধন করা হবে এই টানেল টি। এবং
নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পরে এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম টানেল এবং দক্ষিণ
এশিয়ার মধ্যকার দীর্ঘতম নদী তলদেশের টানেল।
কর্ণফুলী টানেলের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি কি প্রভাব পড়তে পারে বলে আপনি মনে করেন
এই কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্পের নথিপত্র অনুযায়ী এবং কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে এই
টানেলটি নির্মাণাধীন কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর এটি হবে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম
বা কক্সবাজারের মধ্যকার আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম।
পূর্বের তুলনায় পরিবহন ব্যবস্থা কিংবা ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম অনেক সহজতর হয়ে
উঠবে।এবং বেকারত্ব দূর করন সহ অর্থনৈতিক জিডিপি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যাপক
ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।
এই কর্ণফুলী টানেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। এছাড়াও নদী তীরবর্তী
অঞ্চলে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা এবং পর্যটন কেন্দ্র যার ফলে এ
ধরনের পর্যটন শিল্প এবং বিভিন্ন ধরনের কারখানার খুব দ্রুত উন্নয়ন হবে এই
কর্ণফুলী টানেল এর যোগাযোগ ব্যবস্থা এর জন্য। সব মিলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক
ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে এই কর্ণফুলী টানেল।
বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন তারিখ
বঙ্গবন্ধু টানেল অর্থাৎ কর্ণফুলী টানেলটি বর্তমানে নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে
কিন্তু এর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে এই বঙ্গবন্ধু
টানের অর্থাৎ কর্ণফুলী টানেলটি উদ্বোধন করা হবে ২০২৩ সালের ২৮ই অক্টোবর।
শেষ কিছু কথা
আশা করছি আপনি ব্লগ পোস্টটি করার মাধ্যমে কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য কত কিমি বা
কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন।
প্রতিনিয়ত এ ধরনের নতুন নতুন এবং অজানা তথ্য সবার আগে জানতে আমাদের গুগল নিউজে
ফলো করে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
গুগল নিউজ ফলো লিংক