ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানুন
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের পোস্টটি হলো ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কে ।যদি আপনি অনেক জায়গায় ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করে থাকেন তবে এই পোস্ট টি আপনার জন্য মূলত আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এবং আরো আলোচনা করা হয়েছে ব্রেইন স্ট্রোকের ঔষধ সম্পর্কে। এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার ফলে আপনি ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম এবং ব্রেইন স্ট্রোকের ঔষধ সম্পর্ককে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
ব্রেইন চোখ রোগীর জন্য বর্তমানে ব্যায়াম খুবই উপকারী অন্যতম মাধ্যম। ঠিক
তেমনিভাবে প্রতিটি রোগী এবং সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিনের ব্যায়াম খুবই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেজন্য সুস্থ মানুষের জন্য ব্যায়াম এবং ব্রেইন
স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে
আপনি খুব সহজে জানতে পারবেন ।
ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কে সাধারণত এই ব্রেন স্ট্রোকের রোগী গুলো
শুধু ব্যায়াম না ব্যায়ামের পাশাপাশিও জীবনে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে
হয়। ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর জন্য একজন অভিজ্ঞ থেরাপিস্টার অনেক বেশি প্রয়োজন।
এজন্য থেরাপিস্ট এর পাশাপাশি এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের
ব্যায়াম রয়েছে ।
এর মধ্যে অন্যতম ব্যায়াম হলো হাতের এবং পায়ের ব্যায়াম যেগুলো প্রতিনিয়ত করার
মাধ্যমে ব্রেইন স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এছাড়া আরও রয়েছে বিভিন্ন
ধরনের ভারসাম্যমূলক ব্যায়াম এবং বিভিন্ন ধরনের চোখের ব্যায়াম। হাতের ব্যায়ামের
মধ্যে অন্যতম ব্যায়ামগুলো হলো নিচে পড়ে থাকা কোন কিছু তুলুন এবং পরবর্তীতে
এগুলো আবার নিচে রাখুন।
ভুলের মধ্যে ট্রিট পেন্সিল ঘুরান। এছাড়াও পায়ের ব্যায়ামের মধ্যে অন্যতম
ব্যায়াম হবে বিভিন্ন ধরনের বারবার বসা এবং দাঁড়ানো। ভারসাম্য মূলক ব্যায়াম এর
মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ব্রেইন স্ট্রোক রোগীদের জন্য প্রতিটি
কাজের মাধ্যমেই নিজের ভারসাম্যকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। যদি নিজের ভারসাম্য
ঠিক না থাকে তবে নিজের দৈনন্দিন বিভিন্ন জীবনযাপনের জন্য যেসব কাজ করার প্রয়োজন
তার কোন কাজই সে নিজে থেকে করতে পারবেনা।
তাই প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভারসাম্যমূলক ব্যায়াম চালিয়ে যেতে
হবে। এছাড়াও রয়েছে চোখের ব্যায়াম যা রোগীর দৃষ্টি শক্তি কেদৃষ্টিশক্তি করবে
পূর্বের তুলনায় অনেক শক্তিশালী এবং প্রতিনিয়ত এই চোখের ব্যায়াম গুলো করার ফলে
প্রখর হওয়ার পাশাপাশি ব্রেন স্ট্রোক রোগের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে।
ব্রেইন স্ট্রোক কেন হয়
সাধারণত আমাদের মস্তিষ্কের রক্তনালী গুলোর জটিলতার কারণে ব্রেন স্ট্রোক হয়।
মূলত সৃষ্টির রক্ত সরবরাহকারী বিভিন্ন ধরনের রক্তনালী গুলোর মধ্যে প্রতিবন্ধকতা
বা রক্ত সরবরাহ গুরুতরভাবে হ্রাস ঘটার ফলে ব্রেন স্ট্রোক দেখা দেয়। এর ফলে
আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে।
ব্রেইন স্ট্রোক হলে করনীয়
ব্রেইন স্ট্রোক হলে প্রথমত মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে এবং নিয়মিত নিজের রক্ত
সঞ্চালন শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে হবে।ব্রেইন স্ট্রোক সংক্রান্ত যতগুলো
ব্যায়াম রয়েছে প্রতিটি ব্যায়াম ঠিক মত প্রতিনিয়ত করতে হবে রোগীকে একদিকে করে
মাথা নিচু করে সোয়াতে হবে বালিশ ছাড়া। এবং ব্রেইন স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিকভাবে
যেটা করণীয় সেটা হলো আতঙ্কিত হওয়া যাবে না ।
আরো পড়ুনঃ
বর্তমানে হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা
এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সবকিছু করতে হবে। পরবর্তীতে ব্রেইনের স্ক্যান করে
ব্রেইন স্ট্রোক এর ধরনটা বুঝতে হবে। সাধারণত আমরা জানি স্ট্রোক দুই ধরনের হয়।
যার একটি হলো মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের জন্য হয় এবং অপরটি হলো মস্তিষ্কের
স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার জন্য হয়।
ব্রেইন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা
অন্যান্য সাধারণ মানুষের তুলনায় ব্রেইন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা একটু ভিন্ন
হতে পারে স্বাভাবিকভাবে এই খাবার তালিকা অনুসরণ করে ঠিকমতো খাবার খাওয়ার ফলে
এই অ্যান্টি অ্যাক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার তাদের দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখতে পারে। রঙিন শাকসবজি, ফল এছাড়াও ডিম আঙ্গুর, গ্রিন
তি,মাছ,মাংস,হলুদ,বাদাম ইত্যাদি খাবার ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্ট্রোকের রোগীর পরিচর্যা
স্ট্রোকের রোগীর পরিচর্যার জন্য প্রথমত সেই স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে অতি দ্রুত
নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এবং চেষ্টা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব
ফিজিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা। অতি দ্রুত ফিজিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা শুরু
করার মাধ্যমে রোগীর কার্যক্ষমতা খুব দ্রুত ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে।
মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ
মিনি স্ট্রোকের অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম লক্ষণ গুলো হলো মাথা
ঘোরা, পুরো শরীর অবশ হয়ে যাওয়া, কিছু কিছু সময় চোখে ঝাপসা দেখা সাধারণত এই
সমস্যাগুলো ক্ষণস্থায়ী হয়ে থাকে। এই মিনি স্ট্রোকের ফলে স্ট্রোক এর স্বাস্থ্য
ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই প্রতিনিয়ত সচেতন থাকতে হবে। মিনি স্ট্রোক আমাদের শরীরকে
দুর্বল করে তোলে। তাই প্রতিনিয়ত সচেতন জীবন যাপন করার মাধ্যমে স্ট্রোকের মত
বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা এবং রোগ বালাই থেকে নিজেদের দূরে রাখা সম্ভব।
স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা
সাধারণত স্ট্রোকের রোগী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অচেতন থাকে। তাই স্ট্রোক এর রোগীকে
যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে এবং পরবর্তীতে সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে
তার কি ধরনের স্ট্রোক হয়েছে তা দেখতে হবে। সাধারণত রক্ত ক্ষরণের জন্য এক ধরনের
স্ট্রোক হয়। এবং রক্তের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধের জন্য অনেক ধরনের স্ট্রোক হয়ে
থাকে। তাই স্ট্রোক রোগীর সর্বপ্রথম কি ধরনের স্ট্রোক হয়েছে তা দেখতে হবে এবং
সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ব্রেন স্ট্রোক কি কারনে হয়
সাধারণত ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার অন্যতম কারণ হলো মস্তিষ্কে স্বাভাবিকভাবে রক্ত না
পৌঁছানো এবং স্বাভাবিক রক্ত চলাচল না হওয়া। ঠিক যেমনি ভাবে হৃদযন্ত্রের ধমনি তে
রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হলে হার্ট অ্যাটাক হয় সেভাবেই মস্তিস্কেও রক্ত চলাচল বন্ধ
হয়ে গেলে বা স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে।
ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা
ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে সাধারনত ব্রেন
স্ট্রোক রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো মাছ ,ডিম, আঙ্গুর, হলুদ, বিভিন্ন
ধরনের ফল, বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি, গ্রিন টি ইত্যাদি। এসব খাদ্য একজন ব্রেন
স্ট্রোক রোগী প্রতিদিনের রুটিনে এড করে নিয়ে এবং এই খাবার তালিকাটি প্রতিনিয়ত
অনুসরণ করার মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ
কামরাঙ্গার সকল অজানা উপকারিতা এবং অপকারিতা
সুস্থ ব্যক্তি কিংবা ব্রেন স্ট্রোক রোগী সবারই এ ধরনের খাবার তালিকা অনুসরণ করা
উচিত । এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্ট্রোকের ঝুকি এড়াতে বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড এবং
অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এ ধরনের খাবার
প্রতিনিয়ত এড়িয়ে চলতে হবে। এর ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের স্ট্রোকের সম্ভাবনা
অনেকাংশে কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
ব্রেইন স্ট্রোকের ঔষধ
বর্তমানে ব্রেইন স্ট্রোকের নানা ধরনের ওষুধ বাজারে রয়েছে। সাধারণত ব্রেইন
স্ট্রোক এর পুনরুদ্ধারের জন্য কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে অন্যতম ওষুধ হল
নুট্রোপিল পিল সি ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেটটি সাধারণত স্ট্রোকের রোগীর অবস্থার
উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও মাথা ব্যথা, স্ট্রোক, এবং বিভিন্ন ধরনের
মনোযোগের ঘাটতি হাইড্রাক্সিভ ডিসঅর্ডার এর জন্য
স্টোলিন নামক একটি এমজি ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ ধরনের ইনজেকশন বা
বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাবার আগে অবশ্যই নিকটস্থ ভালো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে
তারপর বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কিংবা ইঞ্জেকশন নেয়া যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ
ছাড়া এ ধরনের ওষুধ কিংবা ইনজেকশন ব্যবহার করার ফলে অনেক ধরনের ঝুঁকি বেড়ে যায়
বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা স্ট্রোক এর সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
তাই প্রতিটি ওষুধ কিংবা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার পূর্বে ব্রেইন স্ট্রোকের রোগী
কিংবা অন্য যেকোনো ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীর উচিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে
নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করা এবং সে অনুযায়ী জীবন যাপন করা এর ফলে সে খুব দ্রুত সে
ধরনের রোগ থেকে মুক্তি লাভ করবে কিংবা খুব দ্রুত রোগের মাত্রাটি কমিয়ে আনতে
সক্ষম হবে।
ব্রেইন স্ট্রোকের ডাক্তার
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট কিংবা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম অথবা
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ২৪ ঘন্টায় ডাক্তার পাওয়া যায়। তবে এ ধরনের স্ট্রোকের
চিকিৎসার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ডাক্তারের প্রয়োজনটা
পরে পড়বে প্রথমত তাদের নিকটস্থ কোনো হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে।সেখানে তাকে
বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি এবং যা যা চিকিৎসার প্রয়োজন সেখানকার কর্তব্যরত
ডাক্তার তিনি তা বুঝে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ
খুসখুসে কাশি খুব সহজেই দূর করার উপায়
সেজন্য স্ট্রোক হলেই সর্বপ্রথম যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে
রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিংবা ভালো ভালো
ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন ধরনের
ওয়েবসাইট ভিজিট করা যেতে পারে। এবং আপনি চাইলে পরবর্তীতে সেই ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন।
শেষ কিছু কথা
আশা করি আপনাদের ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কিত ব্লগ
পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক অজানা
তথ্য সবার আগে জানতে গুগল নিউজে ফলো দিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত
থাকুন। গুগল নিউজ ফলো লিংক