কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় ও কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়

আপনি হয়তো প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত চুল পড়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন। এই পোস্টটি আপনার জন্যই কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায় এবং এর সমাধান সম্পর্কে।
কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় ও কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়
এজন্য কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় এবং কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায় এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন

কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়

বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ রয়েছে যারা চুল পড়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে কম বয়সী অনেক মানুষ রয়েছে যারা বয়স বেশি হওয়ার পূর্বেই তাদের কপালে বা সামনের চুল অতিরিক্ত পড়ে যাচ্ছে সেজন্য দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং নিজের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন নিয়ে আসলে খুব সহজে আপনি মাথার সামনের দিকের অতিরিক্ত চুল পড়া কমিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। 

আপনার কপালে কিংবা মাথার সামনের দিকের চুল গজানো সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য প্রথমত আপনাদের চুলের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে উদাসীন না হয়ে একটু যত্নবান হতে হবে এবং পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল মিলিয়ে মাথার ত্বকে প্রতিনিয়ত লাগান। এছাড়াও আপনি প্রতিনিয়ত দুই থেকে তিন চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কিছু পরিমাণ মধু মিশিয়ে চুলের একদম গোঁড়ার দিকে লাগাতে পারেন। 
পরবর্তীতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ভালোমতো শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রতিনিয়ত এ ধরনের নিয়ম অবলম্বন করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ফলাফল পাবেন আশা করা যায়। আপনি কপালে ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে পারেন এবং যেখানে অনেক কম চুল রয়েছে সেসব স্থানেও ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে পারেন। 

তবে ক্যাস্টর অয়েল লাগানোর ক্ষেত্রে একটু সচেতনতা অবলম্বন করবেন যেন অতিরিক্ত পরিমাণে সেই অয়েল আপনার তকে না চলে আসে সে ক্ষেত্রে আপনার ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। শুধু ক্যাস্টর অয়েলের ক্ষেত্রেই নয় প্রতিটি তেল ব্যবহার করার সময় আপনার ত্বকে যেন তেল বেশি লেগে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়

প্রতিটি রোগের জন্যই বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের সংকর দায়ী থাকতে পারে । ঠিক তেমনিভাবে চুল পড়ার জন্যও ভিটামিন এর অভাব বা ভিটামিনের সংকট থাকে। সাধারণত ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে আপনার চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন নিজের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্য যুক্ত করুন। 

তাই চুলের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হলেই হবে না নিজের খাদ্য তালিকা বা খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে এবং প্রতিনিয়ত ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্য বেশি বেশি খেতে হবে। আপনারা ভালোভাবেই জানেন যে সূর্যের আলোতেও ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন অন্তত 20 থেকে 30 মিনিট সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকুন। 

শরীরে ভিটামিন ডি এর সংকট দূর করতে সূর্যের আলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ভিটামিন এ এর অভাবের ফলেও আপনার চুল পড়ে যেতে পারে কিংবা চুল রুক্ষ বা প্রাণহীন হয়ে যেতে পারে। এজন্য খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি গাজর মুলা এবং সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 
প্রতিটি ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করতে হবে এজন্য আপনাকে ভিটামিন বি যুক্ত খাদ্য বেশি বেশি খেতে হবে ভিটামিন বি যুক্ত খাদ্য চুলকে চকচকে এবং ঘন করে তোলে। সাধারণত দুধ ডিম কলা বাদাম কলিজা ইত্যাদিতে খাদ্য তে ভিটামিন ডি থাকে। এজন্য যেসব ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায় সে সকল ভিটামিনযুক্ত খাদ্য বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

চুল গজানোর তেলের নাম

বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক ধরনের তেল পাওয়া যায় যেগুলো চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলকে আরো ঘন করে তোলে। তবে এ সকল তেল কেনার আগে সতর্কতার সাথে ক্রয় করা উচিত ।কারণ এই সকল তেলে অনেক ধরনের ভেজাল তেল বা নকল তেল থাকে। যেগুলো প্রতিনিয়ত মাথাতে ব্যবহার করার ফলে চুল গজানোর পরিবর্তে অতিরিক্ত চুল পড়া এবং চুলের গোড়া দুর্বল হতে শুরু করে। 

বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় তেলগুলোর মধ্যে অন্যতম তেল গুলো হল নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়ে্ল, ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি। সাধারণত এ জাতীয় তেল গুলোতে অনেক কিছু উপাদান থাকে যা আপনার চুল গজানো এবং চুল ঘন করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই আপনি চাইলে চুলের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন।

মেয়েদের নতুন চুল গজানোর উপায়

সাধারণত ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশি হেয়ার ফল হয়ে থাকে মেয়েদের চুল ঘন করার ক্ষেত্রে এবং নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কার্যকরী উপায় রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো দেশি নিম পাতার ব্যবহার করা এছাড়াও কালোজিরা মেথি ইত্যাদি চুলে ব্যবহার করলে নতুন চুল গজানো শুরু করে। 
অনেক সময় আপনাদের পেঁয়াজের রস অনেক ঝাঁঝালো বা খারাপ লাগতে পারে কিন্তু পেঁয়াজের রস চুলের যত্নে এবং নতুন চুল গজাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এছাড়াও মেথিও চুলের যত্নে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও আপনি চাইলে কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারেন যা নতুন চুল গজানোর জন্য সাহায্য করে।

চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে শুধু চুলের যত্ন নিলেই হবে না এর সাথে সাথে আপনার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন করতে হবে যেমন আপনার খাদ্যাভাসে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনযুক্ত খাদ্য এড করতে হবে এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন সয়াবিন কলা বাদাম মটরশুটি ইত্যাদি যা চুল পড়া বন্ধে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।

আপনি চাইলে কিছুদিন পর পর মেহেদী পাতা ব্লেন্ডার করে বা বেটে মাথায় দিলে পরবর্তীতে তা শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে পারেন এটাও চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে। প্রতিনিয়ত ১০ থেকে ১৫ মিনিট পেঁয়াজের রস চুলে লাগিয়ে রাখুন এর ফলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং খুব দ্রুত নতুন চুল গজানো শুরু করবে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করবেন চুলের যত্ন নেয়ার এবং চুলের খেয়াল রাখবেন যেন চুল বেশি ময়লা না থাকে।

কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে

সাধারণত ভিটামিন বি আমাদের চুল গজাতে সহায়তা করে। চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্য বেশি বেশি রাখার চেষ্টা করবেন। মূলত হেয়ার সেল বা নতুন চুল এর কোষ গঠনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন বি১২।

ন্যাড়া হলে কি নতুন চুল গজায়

আপনারা অনেকেই ধারণা করেন যে মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয় বা নতুন চুল গজায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা কিছুদিন পর পর মাথা ন্যাড়া করেন যেন আপনাদের চুল পূর্বের থেকে বেশি ঘন হয়। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে বা বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের এই ধারণাটি ভুল কারণ এর কোন সঠিক প্রমাণ নেই। 

মাথা ন্যাড়া করার কিছুদিন পর চুল গজাতে শুরু করে সেজন্য অনেকেই সেটি দেখে ভাবতে শুরু করে যে মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয় কিন্তু এই ধারণাটির কোন সঠিক প্রমাণ নেই। কারণ জন্ম পরবর্তী সময়ে নতুন কোন ফলি কল বা চুলের বীজ সৃষ্টি হয় না। বয়সের পরিপ্রেক্ষিতে বা বিভিন্ন ধরনের বংশগত দিক থেকে হোক বা চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে উদাসীনতার ফলে চুল পড়তে শুরু করে।
আবার আপনারা যদি চুলের যত্ন নেন এবং চুলের ব্যাপারে সচেতন থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনাদের চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজানো শুরু করবে এবং আগের থেকে চুল ঘন হবে। তাই ন্যাড়া করা কোন সমাধান না বা ন্যাড়া করলে নতুন চুল গজায় না। এজন্য চুলের বেশি বেশি যত্ন নেয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিনিয়ত ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাদ্য নিজের খাদ্য তালিকায় রাখুন।

নতুন চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে

মাথা ন্যাড়া করার পর বা চুলের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে খুবই দ্রুত নতুন চুল গজানো শুরু করে। আপনারা এক সপ্তাহ কিংবা 10 দিনের মধ্যে এর পরিবর্তন বা নতুন চুল গজানো দেখতে পাবেন। সাধারণত জন্ম পরবর্তী সময়ে নতুন কোন ফলি কল বা চুলের বীজ সৃষ্টি হয় না এজন্য নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে আপনি চুলের যত্ন নিতে পারেন। কারন আপনার নতুন চুল গজানোর জন্য চুলের যত্ন নেয়া এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ও খাদ্য বেশি বেশি খাওয়া অনেক জরুরি।

শেষ কিছু কথা

প্রিয় পাঠক আশা করছি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার ফলে আপনি কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় এবং কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক অজানা তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url