হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায় এবং হার্টে রিং পরানোর অসুবিধা জানুন
প্রিয় পাঠক আজকের পোস্ট টি হলো হার্ট ভালো আছে তা বোঝার উপায় সম্বন্ধে। অনেকেই নিজের হার্ট কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগেন তাই নিজের হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায় সম্পর্কিত আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।তাই হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায় এর পাশাপাশি হার্টে রিং পরানোর অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার ফলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন এবং পূর্বের অনেক না জানা তথ্য আপনি জানতে পারবেন তাই হার্টের রিং পরানোর অসুবিধা এবং হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায় জানতে পোস্টে না টেনে পড়তে থাকুন।
হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
অনেকে নিজের হার্ট নিয়ে অনেক সময় চিন্তিত থাকেন এবং বুকে ব্যথা হালকা ব্যথা
অনুভূত হলে ভাবতে শুরু করেন যে তাদের হার্টের প্রবলেম রয়েছে। তাই আজকে জেনে নেই
হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায় সম্পর্কে । তাই হালকা বুকে ব্যাথা অনুভব করলে ভয়
না পেয়ে নিকটস্থ করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ডাক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিজের হার্টের
সমস্যা রয়েছে কিনা তা শনাক্ত করা উচিত যদি সমস্যা থেকে থাকে তবে সে অনুযায়ী
খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণত সুস্থ হৃদপিন্ডের একজন অ্যাথলেটের
ক্ষেত্রে তার হার্ট রেট বা পালস রেট ৪০ এর কম হতে পারে।এছাড়াও দৈনিক চলাফেরার
মাধ্যমে নিজের হার্ট ভালো আছে কি না তা যাচাই করা জায়।বুকের বাম পাশে
অল্প ব্যথা অনুভূত হলে আতংকিত হওয়া যাবে না।
কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়
আপনারা প্রতিনিয়ত কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের হার্ট কে সুস্থ রাখতে
পারেন এবং প্রতিনিয়ত এ ধরনের খাদ্যাভাস অনুসরণের মাধ্যমে হার্টের রোগ খুব
সহজেই ভালো করে ফেলতে পারেন কিংবা পূর্বের তুলনায় নিজের শারীরিক অবস্থার
উন্নতি করতে পারেন। চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে কি কি
খাবার রাখা উচিত। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ফল আমাদের হার্টের জন্য অনেক উপকারী।
এ ফল গুলোর মধ্যে অন্যতম ফল হল ন্যাশপ্যাতি,কলা ইত্যাদি।
এছাড়াও আপেল আমাদের হার্ট কে অনেক ভালো রাখে। এছাড়াও আরো রয়েছে পেয়ারা এই
ফলটি তাদের হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে।সোর্সঃমীনাক্ষী মজুমদার। এছাড়াও হার্ট কে ভালো রাখতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও আন্টি এক্সিডেন্টে
ভরপুর সবজি খাওয়া উচিত। সাধারণত এইসব শাকসবজি ,খনিজ ও এন্টি এক্সিডেন্ট
ভরপুর সবজি আমাদের সকল ধরনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং শরীরের রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা
সাধারণত খাদ্যাভ্যাস আমাদের জীবনের অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। এজন্য
একজন সুস্থ ব্যক্তির এবং হার্টের রোগীর খাদ্য তালিকার ভিন্নতা থাকতে পারে
একজন সুস্থ ব্যক্তি যা কিছু খেতে পারেন একজন হার্টের রোগী সবকিছু খেতে পারেন
না। হার্টের রোগীর জন্য অন্যতম খাবার হলো বিভিন্ন ধরনের ফলমূল এবং খনিজ ও
আন্টি এক্সিডেন্টে ভরপুর সবজি যা তাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং হার্টের রোগীর সুস্থতা নিশ্চায়নের জন্য
খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা এবং এ ধরনের খাদ্যাভাস অনুসরণ করা অত্যন্ত
প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুনঃ
বর্তমানে হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা
প্রতিনিয়ত অলিভ অয়েল, ডিম, মটর জাতীয় খাবার, ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এগুলো খাবার কখনোই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না
নির্দিষ্ট একটা পরিমাণে খেতে হবে। এই তালিকাভুক্ত খাবার গুলো খাওয়ার মাধ্যমে
হার্টের রোগীর রোগটি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই প্রতিনিয়ত এ ধরনের
খাবারগুলো নিজের খাদ্যাভাসে যুক্ত করে নেয়া উচিত।
হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়
সাধারণত অনেকেরই হার্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে যেগুলোর জন্য তাদের
নিত্যদিনের যেসব কাজ থাকে সেগুলো তারা স্বাভাবিকভাবে করতে পারেনা। হার্টের এ
ধরনের সমস্যা গুলো কমিয়ে নিয়ে আসার এবং সমাধানের জন্য অনেক ধরনের উপায়
রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত অবলম্বন করার মাধ্যমে এই হার্টের সমস্যা গুলো
সমাধান কিংবা কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
এরই মধ্যে অন্যতম কয়েকটি ভালো অভ্যাস হলো প্রতিদিন ৩০ মিনিট কিংবা এক ঘন্টা
খেলাধুলা করা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা। ধূমপান সহ বিভিন্ন ধরনের খারাপ
বদ অভ্যাস ত্যাগ করা নিজের মধ্যে পরিবর্তন ঘটানো এবং নিজের খাদ্যাভাসের
পরিবর্তন ঘটানো। নিজের ওজনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা ওজন বাড়তে দেয়া যাবে
না এবং নিজের মধ্যকার নীতিবাচক মনোভাব গুলো কমিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা।
হার্টের ব্লক দূর করার খাবার
হার্টের ব্লক দূর করার জন্য প্রথমত আমাদের দেশের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনতে
হবে। প্রতিনিয়ত আপনাদের খাদ্যাভাসের সতেজ খাবার রাখার মাধ্যমে আপনারা হাটের
ব্লক খুব সহজে দূর করতে পারেন। শরীরের ওজন বেশি হয়ে গেলে প্রতিনিয়ত শারীরিক
ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের ক্যালরি কমিয়ে নিন। লবণ পরিহার করুন। হার্ট
ব্লক থেকে বাঁচার জন্য অন্যতম ভালো খাবার হলো বেশি আশ যুক্ত খাবার।
সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়
বর্তমানে সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে এর
মধ্যে অন্যতম উপায় হলো চিলেশন থেরাপি। এই থেরাপির মাধ্যমে খুব সহজেই হার্ট
ব্লক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সাধারণত এই থেরাপি টি নতুন একটি কৌশলে কাজ
করে যেই কৌশলের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত ধাতু এবং খনিজ অপসারণ করা হয়।
হার্ট ব্লক অপারেশন খরচ
হার্টের চিকিৎসার জন্য বা হার্ট ব্লকের অপারেশনের জন্য অনেক ব্যয়বহুল খরচ
হয়ে থাকে। সাধারণত ওপেন হার্ট সার্জারি করতে। ৫০০০০ থেকে ৮০ হাজার টাকা
পর্যন্ত প্রয়োজন পড়ে। এবং বাহিরে ওপেন হার্ট সার্জারি করতে গেলে সাড়ে তিন
লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় বাজেটে এ ধরনের সার্জারি
হয়ে থাকে তাই এ ধরনের অপারেশনের পূর্বে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে তারপর
পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ভারতে হার্টের চিকিৎসা
সাধারণত হার্ট আমাদের দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই ধরনের
হার্টের সার্জারির জন্য অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দল চিকিৎসকের
প্রয়োজন সেজন্য বাংলাদেশ এর অনেক মানুষ হার্টের সমস্যা হলে ভারতে পাড়ি জমা
নিজেদের হার্টের সু চিকিৎসার জন্য । এবং বেশিরভাগ মানুষই ভালো ফলাফল পান
ভারতীয় ডাক্তারদের থেকে।
আরো পড়ুনঃখুসখুসে কাশি দূর করার সহজ কিছু উপায়
ভারতে কিছু কিছু জায়গায় অনেক সাশ্রয় মূল্যে অনেকেই হার্ট সার্জারি করে
থাকেন এবং সার্জারি গুলো অনেক নিখুঁত হওয়ায় হার্টের রোগীরা তাদের ওপর আস্থা
রেখে তাদের হার্টের চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। ভারতে ম্যাক্স হাসপাতাল
কার্ডিয়া সায়েন্সের পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের চিকিৎসার জন্য
জনপ্রিয় হাসপাতাল টি হার্টের সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যতম সেরা স্বাস্থ্য
কেন্দ্র।
ভারতে হার্টে রিং পরানোর খরচ
হার্টের রিং পরানো জন্য কার্ডিয়াক সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। সাধারণত
কার্ডিয়াক সার্জারি একটি অত্যন্ত জটিল পদ্ধতির চিকিৎসা সেহেতু এক্ষেত্রে
প্রচুর দক্ষ একজন চিকিৎসকের প্রয়োজন এ ধরনের সার্জারি করার জন্য। হার্ট ব্লক
হলে হার্টের রিং করানোর প্রয়োজন হয় । বর্তমানে অনেক মানুষ হার্টের রোগে
ভুগছেন তাই তারা প্রতিনিয়ত ভারতে হার্টের রিং পরানোর জন্য পাড়ি
জমাচ্ছেন।
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে হার্টের রিং এর দামের ভিন্নতা রয়েছে। মূলত একটি
ব্যায়াম মেটাল স্ট্যান্ড বা হার্টের রিং এর দাম ১০ হাজার রূপের কাছাকাছি
হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় ১২ হাজার টাকা প্রায়। মূলত সব মিলিয়ে দেড়
লাখ টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ কিংবা সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে
পারে ভারতে গিয়ে হার্টের রিং বসানোর জন্য।
হার্টে রিং পরানোর অসুবিধা
হার্টের রিং পরানোর পর যেমন অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে এবং রোগ থেকে মুক্তি
পাওয়ার মতো একটা সম্ভাবনা রয়েছে এর পাশাপাশিও বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা রয়েছে
যা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের হার্ট কে সুস্থ রাখার জন্য আপনাদের
সকলকে নিজেদের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত
খাদ্য থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে এবং হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত
শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে, খেলাধুলা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃএনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা
এ সকল নিয়ম না মানলে হার্টের স্বাভাবিক কার্য ক্ষমতা হ্রাস পায়। নিজেদেরকে
যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে হবে। সাধারণত হার্টের রিং করানোর জন্য
আমাদের সার্জারি করে এটা সম্পন্ন করতে হয় সেহেতু হার্টের রিং পরানোর পর এর
আমাদের অসুবিধাটা থেকেই যায়। কিছু খাদ্যাভাসের পরিবর্তন এবং নিজেদের মধ্যে
সাবধানতা অবলম্বন করার মাধ্যমে এ ধরনের অসুবিধা এড়িয়ে সুস্থভাবে চলাফেরা করা
সম্ভব।
শেষ কিছু কথা
আশা করছি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায় এবং
হার্টে রিং পরানোর অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।
এছাড়াও হার্টের সমস্যা সমাধান করার জন্য যা যা করা উচিত সে সকল অজানা তথ্য
জানতে পেরেছেন। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে জানতে প্রতিনিয়ত
আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। আপনি চাইলে google নিউজে ফলো দিয়েও আমাদের সাথে
যুক্ত থাকতে পারেন। গুগল নিউজ ফলো লিংক