শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের সুবিধা ও প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এর অন্যতম কারণ হচ্ছে দারিদ্রতা নিম্নে শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের সুবিধা ও প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়া আছে।পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ার ফলে আপনি শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের সুবিধা ও প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কিত সব তথ্য জানতে পারবেন।এছাড়াও আপনি আরও জানতে পারবেন প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।                                                     শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের সুবিধা ও প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের অজানা তথ্য জানতে পোস্ট টি না টেনে পড়তে থাকুন।

মাধ্যমিক শিক্ষায় আইসিটির প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে তুলনায় বাংলাদেশ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত সব পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে।

বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বদৌলতে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের সাহায্যে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছে এবং বুঝতে পারছে ।মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা এ ধরনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে কম্পিউটার ইন্টারনেট সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য যেগুলো তারা আগে জানতো না তারা এগুলোর মাধ্যমে জানতে পারছে। 
মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার স্লাইড এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর মাধ্যমে নিখুঁতভাবে ছবি ও শিক্ষামূলক ভিডিও দেখার মাধ্যমে খুব সহজেই নিজেদের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। বর্তমান সময়ে শ্রেণীকক্ষের ইলেকট্রনিক বোর্ড এসেছে যেগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব প্রযুক্তির বদৌলতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্লাস শেষে যদি তারা বিষয়টা বুঝতে না পারে তাহলে ক্লাস শেষে অনলাইনে মাধ্যমে বা পেনড্রাইভে করে তারা এর কপি করে নিতে পারছে।

বর্তমান সময়ে আইসিটির জন্যই শিক্ষার্থীরা বেশ ভালোভাবে নিজেদের শিক্ষা অর্জন করতে পারছে।এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে অনেক শিক্ষক নিজেদের ক্লাসগুলো অনলাইনে উপস্থাপন করতে পারছে এর ফলে দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই শিক্ষা অর্জন করতে পারছে। 

ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই আছে তবে অসুবিধার তুলনায় সুবিধার হার বেশি। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা গুলো আমাদের জীবনকে আরো সহজতর করে তোলে এবং আরো উন্নত জীবন যাপন করতে সহায়তা করে। বর্তমানে কম্পিউটার একটি অন্যতম ডিজিটাল প্রযুক্তি কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের কঠিন কাজ খুব সহজেই এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে পারি। 

আমাদের সময় বাঁচিয়ে নিজেদের কঠিন কাজগুলো সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের কোন বিকল্প নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত কোন কাজ সম্পাদন এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আদান-প্রদান এবং যোগাযোগ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজন। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজনে জিনিস অর্ডার করতে পারছি।

শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেদের পর্যায়ে থেকে অনলাইনে নিজেদের শিক্ষা অর্জন করতে পারছে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তির প্রয়োজন ডিজিটাল প্রযুক্তি ছাড়া আমরা আমাদের কোন কাজ খুব দ্রুত ভালোমতো নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে পারিনা। ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনমান উন্নত করে। 

ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যতম সমস্যা বা অসুবিধা হলো এটি আমাদের একাকিত্বের দিকে নিয়ে যায় এবং সামাজিক একটা বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে। তাই এ ধরনের অসুবিধা এড়াতে আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহারে একটু সচেতন থাকতে হবে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বনের ফলে আমাদের সামাজিক জীবন ব্যবস্থা উন্নত হবে।

প্রতিনিয়ত সবসময় প্রযুক্তি ব্যবহারের বদ অভ্যাসের ফলে আমাদের শরীরেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় যেমন ঘাড়ে ব্যথা মাথা ব্যথা চোখের সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেজন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি শরীরের খেয়াল রাখা জরুরি।নির্দিষ্ট একটা সময় বজায় রেখে প্রযুক্তি ব্যবহার এবং প্রতিনিয়ত শারীরিক ব্যায়ামের ফলে আমরা আমাদের দেহে তৈরি হওয়া 

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা গুলো খুব সহজেই সমাধান করতে পারি। প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় আরো একটি অন্যতম অসুবিধা হলো নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকি। প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক অসাধু মানুষজন আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং সংবেদনশীল তথ্য হ্যাক করে নিয়ে যেতে পারে বা জালিয়াতি করতে পারে। সে জন্য এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে এবং

প্রতিনিয়ত সাবধান থাকতে হবে নিজেদের সংবেদনশীল তথ্য। প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন কোথাও রাখবো না যেন সেটা পরবর্তীতে কেউ খুব সহজেই হ্যাক করতে পারে। প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় আমরা একাধারে অনেকক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবো।

ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা

আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা সবচেয়ে বেশি বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক কঠিন কাজগুলো খুব সহজেই এবং দ্রুত সম্পন্ন করতে পারছি। আমরা যে কাজগুলো করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেগুলো আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে অত্যন্ত নির্ভুলভাবে এবং খুবই দ্রুত সম্পন্ন করতে পারছি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা সবার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্তমান সময়ে শিক্ষাকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।বিশ্বের প্রতিটি উন্নত লাইব্রেরী এখন ইন্টারনেটে স্থাপন করা হয়েছে মানুষ বিশ্বের প্রতিটি স্থান থেকে ইন্টারনেটে ই বুকের মাধ্যমে তাদের কাঙ্ক্ষিত বইটি পড়তে পারছে। ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা গুলো বলে শেষ করার মত নয়। বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন বিপণ এবং পর্যালোচনার মত কাজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সাহায্য করে।

প্রযুক্তির উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রযুক্তির উপকারিতা এবং অপকারিতা অনেক রয়েছে এর মধ্যে অপকারিতা তুলনায় উপকারিতার হার বেশি। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে আমরা আমাদের প্রতিটি কাজ প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই নির্ভুলভাবে খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে পারছি। অপরদিকে প্রযুক্তির অপকার হল অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা যায়। তাই মাত্রাতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অনেক অপকারিতা রয়েছে তাই নিজেদের সংবেদনশীল এবং নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে রাখার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

অতীতের তুলনায় বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েই চলেছে ।দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বলে শেষ করা যাবে না প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার। আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই প্রায় প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন ঘরে বসে আমরা সকল চাকরির আবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের চাকরি পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারছি।

প্রতিনিয়ত অন্যতম প্রযুক্তি অর্থাৎ মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ,পানির বিল পরিশোধ, ইন্টারনেট বিল পরিশোধ করতে পারছি এছাড়াও আমরা মোবাইলের মাধ্যমে কম্পিউটারের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ ব্যাংকিং লেনদেন সহ বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে খুব সহজে টাকা লেনদেন করতে পারছি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে সে জন্য প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং প্রতিনিয়ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েই চলেছে কারণ মানুষ নিজেদের কাজ তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক সহজে এবং খুব দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলতে পারছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা দূরের মানুষের সাথে খুব সহজেই খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারছি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কি নিশ্চিত হয়?

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজে নিজেদের তথ্য সংরক্ষণ সঞ্চালন এবং বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।প্রকৃতপক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তি এক ধরনের একীভূত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা প্রতিদিনের কাজগুলো নিশ্চিত করতে পারি। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ছোট এবং বড় কাজ সম্পন্ন করতে পারে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির কাজ নির্ভুলভাবে করা সম্ভব। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।

দৈনন্দিন জীবনে আইসিটির প্রয়োগ কি

দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা আইসিটির প্রয়োগ দেখতে পাই বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টাকা লেনদেন অর্থাৎ ব্যাংকিং সেবা বা মোবাইল রিচার্জ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ এছাড়াও অনেক বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে আমরা আইসিটির প্রয়োগ দেখতে পাই। আমরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে শিক্ষা ক্ষেত্রে কৃষি ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আইসিটির প্রয়োগ দেখতে পায়।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে আইসিটির বদৌলতে আমরা অনেক সহজে নিজেদের রোগ নির্ণয় করতে পারি ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ নির্ণয় এবং এই রোগের চিকিৎসাও আইসিটির প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব।কৃষি ক্ষেত্রে জমিতে কতটুকু পরিমাণে সার কীটনাশকের প্রয়োজন তা নির্ণয় করতে পারি আমরা আইসিটির প্রয়োগের মাধ্যমে এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে অনেক প্রযুক্তি রয়েছে 

সেগুলোর মাধ্যমে খুব দ্রুত আমরা নিজেদের কাজ সম্পন্ন করতে পারছি।শিক্ষা ক্ষেত্রেও আইসিটির কোন বিকল্প নেই অনলাইন ক্লাস মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এছাড়াও নানাভাবে আইসিএর মাধ্যমে খুব সহজে শিক্ষার্থীরা বর্তমান সময়ে অর্জন শিক্ষা করতে পারছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার স্লাইড এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে নিজেদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করছে ।

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে তারা নিজেদের অজানা তথ্যগুলো জানতে পারছে। আইসিটির মাধ্যমে ঘরে বসে আমরা বিভিন্ন ধরনের চাকরি পরীক্ষায় আবেদন এবং সকল প্রকার চাকরি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারছি।

দৈনন্দিন জীবনে আমরা কী কী প্রযুক্তি ব্যবহার করি?

দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি আমাদের কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে। এরই মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি হলো মোবাইল কম্পিউটার ট্যাবলেট ল্যাপটপ ইত্যাদি। এছাড়াও আমরা ঘরোয়া বিভিন্ন কাজ করার জন্য বৈদ্যুতিক ফ্যান, গ্যাসের চুলা, ওভেন, হিটার, ইস্ত্রী, রুটি মেকার এছাড়াও অনেক ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র ব্যবহার করি যেমন রেডিও টেলিভিশন ।
এ ধরনের দৈনন্দিন জীবনের প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরো সহজে তর আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের কাজ খুব সহজেই সম্পন্ন করতে পারছি। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের অফিসিয়াল কাজ সম্পাদন করার জন্য প্রিন্টার স্ক্যানার এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করে থাকি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কি কি কাজ করা যায়?

বর্তমান সময়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় অনেক ধরনের কাজ করা সম্ভব এর মধ্যে অন্যতম কাজ হল শিক্ষা ক্ষেত্রে চিকিৎসা ক্ষেত্র কৃষি ক্ষেত্র এছাড়াও প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমানে ব্যাপক অবদান রাখছে ইলার্নিং। ই লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা অর্জনকে আরো সহজতর করে তুলতে পারছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।দেহের প্রায় প্রতিটি রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান অপরিসীম।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়া রোগ নির্ণয় এবং সফলভাবে সেই রোগের বিনাশ সম্ভব নয়। কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি রয়েছে যেগুলো দ্বারা কৃষকরা খুব সহজেই নিজেদের ফলন বাড়াতে পারছে 

নিজেদের কৃষিকাজকেঅনেক উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারছে। কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা নিজেদের কাজগুলো অনেক দ্রুত সম্পন্ন করতে পারছি জমিতে কতটুকু কীটনাশক সার প্রয়োজন তারা খুব সহজেই প্রযুক্তির মাধ্যমে সেটা নির্ণয় করতে পারছে।

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে

প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে আমাদের জীবনে কার্যত প্রতিটি ক্ষেত্রে  গভীর প্রভাব ফেলেছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারি বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রযুক্তি আমাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাচ্ছে এবং আমাদের জীবনকে নানা রকম ভাবেই প্রভাবিত করছে। 

মানুষ তার জীবনকে সহজলভ্য করার জন্য এবং আরাম বিলাসিতা উপভোগের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে ফলে এ ধরনের প্রযুক্তি নির্ভর প্রভাব ঘটছে এবং মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা নিজেদের কাজগুলো অনেক সহজেই এবং দ্রুত করে ফেলতে পারছি সেজন্য প্রযুক্তি গত অগ্রগতি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে।

প্রযুক্তি আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে

প্রযুক্তি আমাদের জীবনে যেমনিভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে ঠিক তেমনিভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার হয়। অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের আসক্তির ফলে পারিবারিক সামাজিক এমন কি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পর্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। প্রযুক্তিগত আসক্তির ফলে বিভিন্ন অপরাধের সৃষ্টি হচ্ছে ।

প্রতিনিয়ত এ ধরনের অপরাধ অনেক বেশি বিস্তার হচ্ছে। প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অল্প বয়সে প্রযুক্তি আসক্তির ফলে কোমলমতি শিশু কিশোরসহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে সেজন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে কিন্তু অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের শারীরিক সামাজিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের মধ্যে একাকী এবং হতাশাগ্রস্ত কাজ করে।  নিজস্ব পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অভ্যাস এবং প্রযুক্তি ইস্মার্ট স্কিনকে নিজেদের পৃথিবী মনে করে। এ ধরনের তথ্য ও প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে সবার প্রয়োজন বাহিরে খেলাধুলা করা সব সময় প্রযুক্তি নিয়ে ব্যস্ত না থাকা। নির্দিষ্ট সময়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে প্রযুক্তি আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব ।

প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে নিজেদের সংবেদনশীল তথ্য নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য রাখার জন্য সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। সঠিকভাবে এবং আসক্তিহীনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটবে এবং মানসিকভাবে আমরা সুস্থ থাকবো।

শেষ কিছু কথা

আশা করি শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের সুবিধা এবং প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কিত ব্লগ পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়াও আপনি আইসিটি সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। তাই প্রতিনিয়ত এ ধরনের টেকনোলজি সম্পর্কিত তথ্য পেতে এবং বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। আপনি চাইলে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেতে গুগল নিউজে আমাদের ফলো করতে পারেন। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url