কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ এবং কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টটি কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সম্পর্কে, এছাড়া আপনি আরও
জানতে পারবেন কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ সহ আরও কিডনি সম্পর্কিত অনেক অজানা
তথ্য।কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সম্পর্কিত সকল ধরনের অজানা তথ্য জানতে পারবেন পোস্টটি
পড়লে।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ এবং কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য জানতে
না টেনে শেষ পর্যন্ত পোস্ট টি পড়তে থাকুন।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
কিডনি ড্যামেজ বর্তমানে একটি কমন সমস্যা হয়ে গেছে বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন
বয়সের মানুষের জন্য। কিডনি ড্যামেজ বা কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার সাথে আপনারা অনেক
আগে থেকেই পরিচিত। কিছু স্পেসিফিক লক্ষণ রয়েছে যেগুলো হয় আপনার সাথে ঘটলে আপনি
বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনি বিকল হয়ে গেছে বা কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ হিসেবে আপনার প্রথম প্রথম অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভব হওয়া
বিভিন্ন কাজের মনোযোগ এর অভাব উদাসীনতা খাবারে অরুচি, প্রস্রাবের সময় ব্যথা
অনুভূত হওয়া অনেক সময় কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ হিসেবে পায়ের গোড়ালি এবং হাতের
পাতা ফুলে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃহার্ট ভালো আছে যেভাবে বুঝবেন
সাধারণত অনেক সময় প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হয় এবং প্রস্রাব জনিত বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা হয় যেগুলো কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই জানেন
না তাদের কিডনির সমস্যা আছে কিনা। তারা এই ছোট ছোট লক্ষণগুলো অবহেলা করতে
থাকে।
এক সময় গিয়ে এই সমস্যাটি বড় আকার ধারণ করে এবং তাদের কিডনি বিকল হয়ে যায়।
এছাড়াও শরীরে ক্রিয়েটিনেন বাড়ার ফলেও ক্লান্তি অনুভব হতে পারে এবং বমি ভাব বা
খিদে না পাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে যেগুলো কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ হিসেবে
পরিচিত।
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ
বর্তমান সময়ে আপনারা কিডনির সমস্যাগুলো বুঝতে পারেন না সেজন্য আপনাদের সমস্যা
গুলো বুঝতে হলে প্রথমত কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। প্রতিনিয়ত
বারবার প্রসবের বেগ অনুভূত হওয়া, স্বাভাবিক প্রস্রাব এর পরিবর্তন বা প্রস্রাব এর
সময় ব্যথা অনুভূত হওয়া।
এছাড়াও কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ হিসেবে আপনার দেহ খোলা ভাব আসতে পারে। সাধারণত
শরীর ফুলে যাওয়া মূল কারণ হলো কিডনি আমাদের দেহে অতিরিক্ত পানি এবং বর্জ্য
পদার্থ রিফাইন করে বের করে দেয় তাই কিডনিতে ইনফেকশন হলে এ ধরনের বজ্র পদার্থ
কিংবা অতিরিক্ত পানি কোনোটিই শরীর থেকে বের হতে পারে না ঠিকমত এজন্য শরীর ফুলে
যায়।
আরো পড়ুনঃহার্টের রিং এর মূল্য তালিকা জেনে নিন
মূলত অতিরিক্ত পানি শরীরের ফুলে যাওয়ার মুল কারণ। এছাড়াও আপনার ত্বক শুষ্ক
হয়ে যাবে এবং আপনার বমি বমি ভাব আসবে। আপনি চাইলেও কোন কাজে সঠিকভাবে মনোনিবেশ
করতে পারবেন না আপনার মনোযোগ দিতে সমস্যা হবে মনোযোগের অভাব দেখা দিবে।
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ এর মধ্যে প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া, বিভিন্ন
প্রকারের চর্মরোগ, ত্বক সব সময় শুস্ক থাকা। ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ, প্রতিনিয়ত
ক্লান্তি অনুভব করা এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারা, শরীর
অস্বাভাবিক ভাবে বেশি ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া।সাধারণত এগুলোই ইনফেকশন
এর লক্ষণ।
অনেকেই কিডনির ইনফেকশন সমস্যা এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে বেশি বেশি পানি পান
করার কথা বলেন কিন্তু বেশি বেশি পানি পান করাও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে
পারে যদি আপনি খালি পেটে অনেক বেশি পানি পান করেন সেটা আপনার মৃত্যুর কারণ হতে
পারে। তাই চেষ্টা করবেন সারা দিনে অল্প অল্প করে সময়মত এবং পরিমাণ মতো পানি পান
করার।
কিডনির সমস্যা থাকলে প্রতিনিয়ত রুটিন চেকআপ করানো আবশ্যক একটি কিডনি রোগে
আক্রান্ত রোগীর জন্য। কিডনি জনিত যে কোন সমস্যা থাকলে আপনি সকল খাবার ডাক্তার
পড়ানো সম্ভব হবেন ডাক্তার এর পরামর্শের বাইরে আপনি কোন ফলমূল কিভাবে বিভিন্ন
ধরনের খাবার আছে যেগুলো আপনার জন্য ক্ষতিকর হবে সেগুলো আপনি এড়িয়ে চলুন।
কিডনি পাথরের লক্ষণ
কিডনিতে পাথর হওয়া এবং কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ এর মধ্যে অনেকটাই মিল রয়েছে
আপনার কিডনিতে যদি পাথর হয় তবে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার শরীরের মলত্যাগের সময়
জ্বালাপোড়া হওয়া এবং প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া, এছাড়াও ঘন ঘন
প্রস্রাবের চাপ হওয়া এগুলো কিডনি পাথরের লক্ষণ এর মধ্যে এগুলো অন্যতম লক্ষণ।
তাই এ ধরনের কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া কিংবা কিডনিতে যে কোন সমস্যা সমাধানে বা
প্রতিকারের জন্য আপনি নিয়মিত সকল ধরনের বদ অভ্যাস ত্যাগ করবেন।আপনার খাদ্যাভাসের
পরিবর্তন আনবেন খাদ্যাভাসের মধ্যে কোন ধরনের অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাদ্য খাবেন না
এবং সময় মত পানি পান করবেন।
কিডনি পাথর অপারেশন খরচ কত ইনডিয়া
বাংলাদেশী অনেক রোগী রয়েছেন যারা উচ্চ চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়াতে যেতে চান তাই
যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে তারা চাচ্ছেন কিভাবে খুব সহজে উন্নত চিকিৎসার
মাধ্যমে ইন্ডিয়াতে গিয়ে কিডনি পাথর অপারেশন করা যায়। মূলত বর্তমান সময়ের
তথ্য মোতাবেক আপনার ইন্ডিয়াতে গিয়ে কিডনির পাথর অপারেশন করতে প্রায় দুই লাখ
থেকে আড়াই লাখ পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃমাথাব্যথা দূর করার সহজ কিছু উপায়
তবে ভারতীয় যারা রয়েছেন স্থানীয় তাদের ক্ষেত্রে তারা অনেক কম করেছে এই
অপারেশন করে নিতে পারে তাদের জন্য এক লাখ থেকে দেড় লাখের মধ্যেই হয়ে যায়।
অপারেশনকৃত রোগীকে তিন থেকে চার দিন হাসপাতালে রাখে এবং পরবর্তী পাঁচদিন
হাসপাতালের বাইরে থাকতে হবে।
কিডনি পাথর অপারেশন খরচ কত বাংলাদেশে
বর্তমানে আপনারা চাইলেই খুব সহজেই বাংলাদেশের ঢাকা থেকে এ ধরনের কিডনির পাথর
অপারেশন করে নিতে পারেন। বর্তমানে এক্সট্রাকর্পোরিয়াল শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি
নামক এই পদ্ধতিতে শক ওয়েভ এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার
মধ্যে এই অপারেশনটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
এ অপারেশন টির মাধ্যমে পাথরগুলো ভেঙে যায় এবং আপনার প্রসাবের মাধ্যমে সেই
ভাঙ্গা টুকরো গুলোই বের হয়ে যায় ছোট ছোট আকারে। এছাড়াও আপনি চাইলে লেজার
ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ 50000 টাকার মধ্যে খুব সহজে এই
অপারেশনটির কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এ সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে
আপনার নিকটস্থ কিডনির বিশেষজ্ঞের সাথে আপনি বসে আলোচনা করুন।
১৫ মম কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট
এ ধরনের কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট খুব সহজেই শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি বা লেজার
ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে খুব সহজে পাথরগুলোকে টুকরো টুকরো করে দেয় এবং অনেক ছোট
আকৃতিতে রূপান্তরিত করে দেয় যেটা আপনার প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে।
কিডনি টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ
সাধারণত কিডনি জনিত ক্যান্সার কে কিডনি টিউমার বলা হয়ে থাকে। মূলত এ ধরনের
উচ্চ চিকিৎসার জন্য অনেক রোগীরা চিকিৎসা নিতে বাহিরের দেশগুলোতে যান। কারণ
বাংলাদেশ এর চিকিৎসা খুব কম হয়ে থাকে। ভারতে এ ধরনের চিকিৎসার জন্য ৪ লাখ থেকে
6 লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে আরও বেশিও হতে
পারে সেটা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করবে।
শেষ কিছু কথা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা এ ব্লগ পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে কিডনি ড্যামেজের
লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সম্পর্কিত এ
ধরনের পোস্ট এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে পেতে
আমাদের গুগল নিউজ এ ফলো করুন। গুগল নিউজ ফলো লিংক।