কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায় এবং নিজেকে পরিবর্তন করা যায়

 প্রিয় পাঠক কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায় বা নিজের অগোছালো জীবনটাকে কিভাবে গুছিয়ে নিয়ে আসবেন তা খুব সহজেই জানুন।নিজেকে পরিবর্তন করা এবং কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায় এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিম্নের পোস্টগুলো খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ার ফলে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন ক
                                                                                                   যায় এবং বাজে অভ্যাস দূরকরার উপায়।

    জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় 

    বর্তমানে জীবনকে সুন্দর করে তোলা খুব কঠিন কাজ মনে হয় আমাদের কাছে কিন্তু আমরা কিছু ভালো কাজ অনুসরণের মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে অনেক সুন্দর করে তুলতে পারি ।প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে পারি কিছু ভালো অভ্যাসের মাধ্যমে। জীবনকে সুন্দর করে তোলার কিছু কৌশল রয়েছে যেমন প্রতিনিয়ত নিজেকে অনেক বেশি সময় দেয়া। 

    অনেক সময় আমাদের কোন খারাপ সময়ের জন্য বা কোন খারাপ কাজের জন্য হতাশাগ্রস্ত কাজ করে হতাশাকে জীবন থেকে দূরে রাখতে হবে এর ফলে জীবনকে অনেক সুন্দর করে তোলা সম্ভব।সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে তাহলে মনে কোন ধরনের কষ্ট থাকবে না প্রতিনিয়ত নিজের যত্ন নিতে হবে নিজেকে সময় দিতে হবে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে ব্যায়াম করতে হবে।

    অবসর সময়ে চেষ্টা করতে হবে ঘুরে বেড়ানোর ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে মন প্রফুল্ল থাকে এবং জীবনের কোন ধরনের হতাশা কাজ করে না জীবন পূর্বের তুলনায় অনেক সুন্দর হবে। প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমান প্রয়োজনের ডিভাইস অর্থাৎ ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন প্রতিদিন সকালে উঠে একটু হাটাহাটি করুন মেডিটেশন করুন এর ফলে আপনার মন এবং সুস্থ থাকবে এবং আপনার জীবন অনেক সুন্দর হবে।

    কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়

    লাইফস্টাইল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে নিজের দিকে খেয়াল করতে হবে নিজের লাইফস্টাইলগুলো কিভাবে চলছে বর্তমান সময়ে সেই অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা। ভবিষ্যতে আপনার এই লাইফ স্টাইল এর জন্য আপনার কি কি বেনিফিট রয়েছে এগুলো ভাবা উচিত প্রথমত এরপরে আপনার লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রথম কাজটি হবে আপনার মাঝে কি কি বদভ্যাস আছে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব সেগুলোর একটা তালিকা করে ফেলতে হবে ।
    আপনার নিজের লাইফ স্টাইলটা অবশ্যই আপনার ভবিষ্যতে যেন আপনার কাজে লাগে বা ভবিষ্যতে আপনি যেন নিজের লাইফস্টাইল দিয়ে নিজের জীবনকে সুন্দর করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং সে অনুপাতে নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে ধরনের লাইফ স্টাইল অনুসরণ করা প্রয়োজন সে ধরনের লাইফস্টাইল করার জন্য প্রথমত আপনার নিজের বাজে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে

    এবং চেষ্টা করতে হবে বাজে অভ্যাসগুলোর জায়গায় ভালো কোন অভ্যাস করা প্রতিদিনের নিজেকে সময় দেওয়া নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে ভালো অভ্যাসগুলোকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে নিজের লাইফস্টাইল কে খুবই দ্রুত পরিবর্তন করতে পারবেন। লাইফ স্টাইল কে পরিবর্তন করার অন্যতম সর্ত হল জীবনকে নিয়ম-শৃঙ্খলার অন্তর্ভুক্ত করা।

    কিভাবে অভ্যাস পরিবর্তন করা যায়

    নিজের মধ্যকার অভ্যাসগুলো পরিবর্তনের অনেক পদ্ধতি রয়েছে আপনি যদি নিজের মধ্যেকার খারাপ অভ্যাসগুলো খুব দ্রুত পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার খারাপ অভ্যাসগুলো চিহ্নিত করতে হবে প্রতিনিয়ত মনে রাখতে হবে কেন আপনি সেই অভ্যাস বদলাতে চান। প্রথমবারে কিংবা একবারে আপনি কোন অভ্যাস বাদ দিতে পারবেননা আপনাকে নিজের অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য নিজের জীবনকে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে সময়ের মূল্য দিতে হবে। 

    অল্প অল্প করে নিজের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। অভ্যাসের পরিবর্তনের জন্য নিজের যত্ন নিতে শিখতে হবে। ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল যেমন মহাদেশ আর অতল গড়ে তোলে ঠিক তেমনি ভাবেই আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসও আমাদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে বদলে যেতে পারে। তাই নিজের উপর ভরসা রেখে নিজের খারাপ অভ্যাসগুলো ত্যাগ করে এবং ভালো অভ্যাসগুলো গ্রহণ করে প্রতিদিন সেই ভালো অভ্যাসগুলো চর্চা করতে হবে।

    বাজে অভ্যাস দূর করার উপায়

    বাজে অভ্যাস দূর করার অনেক উপায় রয়েছে বাজে অভ্যাস দূর করার অন্যতম উপায় হলো নিজের ইচ্ছাশক্তি। আপনি নিজের ইচ্ছাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখতে পারলেই আপনি খুব সহজেই বাজে অভ্যাস দূর করতে পারবেন। নিয়মিত নামাজ পড়া এবং ভালো কাজের মাধ্যমে অনেকাংশে বাজে অভ্যাসগুলো কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব তাই চেষ্টা করবেন প্রতিনিয়ত ভালো চিন্তা ভাবনা করার।খারাপ চিন্তা ভাবনা এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবে। 

    ছোট ছোট খারাপ কাজ থেকেও নিজেকে দূরে রাখবেন। খারাপ কাজে একসময় বড় বাজে অভ্যাসে রূপান্তর হয় পরবর্তীতে সে বাজে অভ্যাস আপনি ত্যাগ করতে চাইলেও খুব সহজে সেটা ত্যাগ করতে পারবেন না। তাই প্রথম থেকেই নিজের অভ্যাসগুলোর প্রতি খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে। নিজের খারাপ অভ্যাসগুলোর পরিবর্তন ঘটাতে চাইলে নিজের যত্ন নিন প্রতিনিয়ত।
    প্রতিনিয়ত চিন্তা ভাবনা করুন যে আপনি কি সত্যিই এই বাজে অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চান এগুলো চিন্তাভাবনার ফলে আপনার ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি বাজে অভ্যাস থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। সব সময় মনকে পরিষ্কার রাখুন যেন বাজে চিন্তা ভাবনা আপনার মাথায় না আসে। নিজেকে সব সময় ভালো কাজে ব্যস্ত রাখুন এর ফলে আপনার মাথায় বদ চিন্তা-ভাবনা আসবেনা এবং আপনি খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। 

    অভ্যাস হলো মানুষের বহুদিনের নিয়মিত চর্চা যা আপনি চাইলেও অতি দ্রুত নিজের জীবন থেকে অপসারণ করতে পারবেন না তাই আস্তে আস্তে নিজের ইচ্ছা শক্তিকে প্রবল করে তুলুন এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য নিজের ইচ্ছা শক্তিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুন।

    সব সময় বাজে অভ্যাসগুলোর ক্ষতিকর দিকগুলো চিন্তা করুন এর ফলে নিজেকে বাজে অভ্যাস থেকে আপনি দূরে রাখতে পারবেন। একটি ভাল লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই লক্ষ্য অনুসারে কাজ করতে থাকুন এর ফলে আপনি আপনার সেই লক্ষ্যতেও সফলতা অর্জন করবেন এবং নিজেকে বাজে অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে পারবেন, ধৈর্যশীল হন সফলতার কথা চিন্তা করে হলেও নিজের ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধি করুন যেন আপনি বাজে অভ্যাসগুলো খুব সহজে ত্যাগ করতে পারেন।

    অভ্যাস পরিবর্তন করতে কতদিন লাগে

    মানুষ তার নিত্যদিনের অভ্যাস কখনো অতি দ্রুত নিজের জীবন থেকে অপসারণ করতে পারে না ধীরে ধীরে ভালো কাজ এবং ধৈর্যের মাধ্যমে সে তার অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে পারে তাই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য সময়ের প্রয়োজন। মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন করতে সাধারণত ২১ দিন সময় লাগে ২১ দিনের মধ্যে যে আপনার খারাপ অভ্যাস একবারে পরিবর্তিত হয়ে যাবে তা না ।

    তবে আপনি চাইলে এই 21 দিন নিজের বাজে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করে যদি ভালো অভ্যাসগুলোতে পরিবর্তন করতে পারেন তবে চাইলে 21 দিনের মধ্যে আপনার সব বাজে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা সম্ভব এবং নিজের মধ্যে ভালো অভ্যাস তৈরি করা সম্ভব। এই ২১ দিনের মধ্যে যদি আপনি আবার সেই বাজে অভ্যাসটায় জড়িয়ে পড়েন 

    তাহলে পুনরায় আপনাকে আবার ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে একাধারে নিজের অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য ২১ দিন ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে । চেষ্টা করতে হবে বেশি বেশি ভালো কাজ করা এর ফলেই আপনি দ্রুত নিজের অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন।

    রোগ প্রতিরোধে সাধারণ অভ্যাস ও শরীর চর্চা

    মানুষের রোগ প্রতিরোধে অভ্যাস এবং শরীর চর্চা ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে ভালো অভ্যাস এবং নিয়মিত শরীর চর্চার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন ভালো  অভ্যাস অর্থাৎ সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয ধূমপান এবং অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকা এর ফলে শরীরে অনেক ভালো এন্টিবডি তৈরি হয় এর ফলে
    সহজেই জীবাণু আমাদের আঘাত করতে পারে না এবং আমরা সুস্থ থাকি। তাই ভালো অভ্যাস আমাদের সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধের সহায়তা করে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব প্রতিনিয়ত শরীরের খেয়াল রাখা। শারীরিক শরীর চর্চা করার ফলে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব ।

    নিজেকে নয় নিজের অবস্থান কে পরিবর্তন করতে হবে

    অনেক সময় দেখা যায় না যে আপনার মধ্যে অনেক ভালো অভ্যাস রয়েছে আপনি অনেক ভালো কিন্তু আপনি যেখানে আছেন যেই পরিবেশে আছেন সেই পরিবেশের মানুষ আপনার মর্ম বোঝেনা।আপনাকে সবসময় অবহেলা করে আপনার মূল্য দিতে জানে না। সেক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারছেন যে এখানে আপনার কোন দোষ নেই আপনি নিজের অভ্যাস গুলো ভালো রেখেছেন নিজের ঠিক আছেন। 

    সে সময়ে আপনার উচিত আপনার নিজের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটানো স্তর ভেদে অবস্থানের পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়ে যায়।ঠিক তেমনি ভাবে যেখানে আপনার মূল্য নেই সেখান থেকে আপনি নিজেকে সরিয়ে নেন। এবং যেখানে আপনার মূল্য রয়েছে আপনি সেখানে জীবন যাপন শুরু করবেন।

    এর ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং যারা আপনার মর্ম বুঝতো না আপনাকে সব সময় অবহেলা করত ।তারা আপনার মর্ম বুঝতে পারবে। তাই আপনার অভ্যাস ভালো থাকার পরেও যদি আপনার নিজের কাছে নিজেকে মূল্যহীন মনে হয় তাহলে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে দেখুন যে আসলে আপনি কতটা মূল্যবান।
    আল্লাহর জন্য নিজেকে পরিবর্তনআল্লাহ তাআলা আমাদের এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তার আনুগত্য এবং ইবাদত করার জন্য।  অনেক মানুষ নিজেরদের বাজে অভ্যাস বা খারাপ অভ্যাসের জন্য বিপথে চলে যায় তারা অন্তত প্রতিনিয়ত নামাজ আদায় কোরআন শরীফ পড়া ইত্যাদি ভালো অভ্যাসের মাধ্যমে আল্লাহর জন্য কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা উচিত কেন নিজেদের পরিবর্তন করা উচিত এর আসল উদ্দেশ্য জানতে পারবেন।

    আল্লাহতালার জন্য নিজের খারাপ কাজ গুলো ত্যাগ করে যখন ভালো কাজের রূপান্তরিত করবেন প্রতিনিয়ত আল্লাহতালার ইবাদত করবেন । আল্লাহ তা'আলা আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন এবং পরকালে এর প্রতিদান পাওয়া যাবে। 

    আপনি প্রতিনিয়ত আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখা এবং ভালো কাজের মাধ্যমে নিজেদের ইচ্ছা শক্তিকে আরো দৃঢ় এবং প্রবল শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারবেন এর ফলে কোন বাজে কাজ করার সময় আপনার মাথায় চিন্তা আসবে এবং আল্লাহর ভয় কাজ করবে। নিজেদের মধ্যে আল্লাহর ভয় কাজ করানোর মাধ্যমেই আমরা নিজেদের খুব সহজে পরিবর্তন করতে পারি।

    পরিবর্তনের কোন সময় হয় না এটা পুরোটাই নিজের ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভর করে তাই ইচ্ছা শক্তি প্রবল করতে আল্লাহর পথ অনুসরণ করাই শ্রেয়। প্রতিনিয়ত আমরা আল্লাহর এবাদত করার মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারি।

    শেষ কিছু কথা

    আশা করি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা সম্পর্কিত ব্লগ পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনারা নিজেদের লাইফস্টাইল নিজের পরিবর্তন সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য এই ব্লগ পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এ ধরনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য প্রতিনিয়ত জানতে আমাদের গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক





    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url