সরকারি সেবা সমূহ তালিকা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য
প্রিয় পাঠক আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন বাংলাদেশের সরকারি সেবা সমূহ তালিকা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। আপনি বাংলাদেশ এর অভ্যন্তরীণ সরকারি সেবা সমূহ তালিকা সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার ফলে আপনি বাংলাদেশের সরকারি সেবা সমূহ তালিকা
সম্পর্কে খুব এবং বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই
বাংলাদেশের সকল ই সেবা বিষয়ক তথ্য জানতে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন।
অনলাইন সেবাসমূহের তালিকা
বাংলাদেশের পূর্বের তুলনায় সরকারি সেবা সমূহ তালিকা ভিত্তিক সব ধরনের সেবা এখন
অনলাইনে খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের সেবা সমূহ পেতে সরকারি ওয়েবসাইট
গুলোতে আবেদন করার প্রয়োজন পড়ে।বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবা অনলাইনে রয়েছে যেমন
অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন আইডি,ভিসার আবেদন, অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন
আবেদন. বিভিন্ন ধরনের টেলি মেডিসিন সার্ভিস ইত্যাদি।
পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনলাইন সেবা সমূহ বৃদ্ধি পেতে আছে।
তাই প্রতিটি নাগরিক নিজেদের সুবিধামতো অনলাইনে সেবা সমূহ গ্রহণ করতে পারছে।
নাগরিকরা বিভিন্ন ধরনের ভাতার আবেদন করতে পারছে এই অনলাইন সেবাটি সমাজসেবা
অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত।
অনলাইন আবেদন
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সব ব্যবস্থা পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের
চাকুরীতে পরীক্ষার সবকিছুই আবেদনী অনলাইনে করা যায়। বর্তমানে অনেক অনলাইন
আবেদন ব্যবস্থা চালু হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন।
অভ্যন্তরীণ নৌজানের অনলাইন আবেদন, ল্যাব পরীক্ষা অনলাইন আবেদ্ যুব ঋণের
প্রাথমিক আবেদন। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে মাল গুদাম বা কারখানার ফায়ার
লাইসেন্স আবেদন।
মাতৃত্বকালীন ভাতা ২০২২-২০২৩ অনলাইন আবেদন
বর্তমান সময়ে সরকারি সেবা সমূহ তালিকা এর অন্তর্গত সেবাতে বাংলাদেশের মহিলা ও
শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাতৃকালীন ভাতার আবেদন করা যায়।
মাতৃকালীন ভাতার আবেদন করা পূর্বের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তির
বদৌলতে। আপনি খুব সহজে মাতৃকালীন ভাতার আবেদন করতে পারবেন।
এজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে চলে যেতে
হবে। পরবর্তীতে সেখানে আপনি মাতৃকালীন ভাতার আবেদনের প্ল্যাটফর্ম পেয়ে যাবেন
সেখান থেকে নিজের বিভিন্ন তথ্য এবং কোন অর্থবছরে আপনি মাতৃকালীন ভাতার আবেদন
করছেন তা সিলেক্ট করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন।
যদি ওয়েবসাইটে এ ধরনের কোন প্ল্যাটফর্ম খুঁজে না পান তাহলে খুব সহজে আবেদন
করতে এই লিংকে ক্লিক করুন। মাতৃকালীন ভাতার অনলাইন আবেদন লিংক।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই মাতৃকালীন ভাতা 2011 সাল থেকে প্রদান করা
শুরু করেছে। পর্যাপ্ত টাকার অভাব এবং অপুষ্টির কারণে অনেক শিশু এবং মা
মৃত্যুবরণ করেন তাই বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই
উদ্যোগ নেন।
ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সমূহ
বর্তমানে বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারছে জনগণ।
ইউনিয়ন পরিষদের সেবা গুলোর মধ্যে অন্যতম সেবা হল বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার
প্রশিক্ষণ নিরাপত্তা সেবা, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের
পরামর্শ ইত্যাদি। ইউনিয়ন পরিষদে এছাড়া অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ।
এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সনদ যেমন জন্ম নিবন্ধন ,নাগরিক সনদ চারিত্রিক সনদ
,ইত্যাদি এগুলো খুব কম সময়সীমার মধ্যে হাতে পাওয়া সম্ভব। সরকারি সেবা সমূহ
তালিকা এর অন্তর্গত প্রতিটি সেবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিকরা পেতে পারেন।
ইউনিয়ন সম্পর্কে নতুন ভাবে জানার জন্য বাংলাদেশ সরকার তথ্য বাতায়ন নামের একটি
ওয়েবসাইট তৈরি করেছে।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সেবা সমূহ
বাংলাদেশের প্রাচীনতম সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হলো ইউনিয়ন পরিষদ।
বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার সমূহ থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়
এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবা, জীবন জীবিকা ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা এছাড়াও
বাণিজ্যিক সেবা প্রদান করা হয়। বাণিজ্যিক সেবার মধ্যে অন্যতম সেবাগুলো হল
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ মোবাইল ব্যাংকিং ইমেইল চেকিং করা বিভিন্ন জায়গায় ইমেইল
আদান প্রদান করা অনলাইনে ভিসা আবেদন এবং ট্রাকিং ইত্যাদি।
জীবন জীবিকা ভিত্তিক সেবার মধ্যে অন্যতম সেবা গুলো হলো স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা
সেবা, আইন এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের সেবা ইত্যাদি। সরকারি সেবা
গুলোর মধ্যে অন্যতম সেবা গুলো হল বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সনদ প্রদান করা। অনলাইনে
বিভিন্ন ধরনের আবেদন যেমন জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন, এছাড়া বিভিন্ন ধরনের
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করা,পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বের করা
ইত্যাদি।
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার বেতন কত
বর্তমান সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের অনেক উদ্যোক্তা রয়েছেন। বাংলাদেশে ইউনিয়ন
ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে ৪৫০১টি। ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে মহিলা উদ্যোক্তা রয়েছেন
৩৯৭৬ জন এবং ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে পুরুষ উদ্যোক্তা রয়েছেন ৬২৯৬ জন। বর্তমান
সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তাদের আয় অনেক কম।
বর্তমানে প্রায় প্রতিটি উদ্যোক্তা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দৈনিক ২০০ থেকে ২ হাজার
টাকা পর্যন্ত আয় করছে। কোন কিছুর উদ্যোগ গ্রহণ করা কিংবা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য
সর্বপ্রথম প্রয়োজন বিনিয়োগ করা। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাগুলো সমাজ গঠন
ব্যবস্থাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদ্যোক্তা কোন বেতনভুক্ত কর্মচারী নন উদ্যোক্তার কাজ সরকার প্রদত্ত উপকরণ
রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন ধরনের মেরামতের দায়িত্ব পালন করা উদ্যোক্তার
কর্তব্য। সরকারি উপকরণের ঘাটতি রেখা দিলে প্রয়োজনে নিজে বিনিয়োগ করে সেই
ঘাটতি পূরণ করতে হবে বিভিন্ন ধরনের আই বৃদ্ধি এবং টেকসই করনের ক্ষেত্রে উদ্যোগ
গ্রহণ করবেন উদ্যোক্তা।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা হতে চাই
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্তাবলী
অনুসরণ করা এবং যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। যেমন বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা অনুসরণ করা
নৈতিকভাবে ভালো থাকা শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে অভিযুক্ত না থাকলে এবং ২০ হাজার থেকে
২০ হাজার থেকে ৫০০০০ পর্যন্ত বা তারও অধিক টাকা বিনিয়োগ করার মত সামর্থ্য এবং
আগ্রহ থাকতে হবে।উদ্যোক্তা হওয়া অনেক কঠিন যাত্রা।উদ্যোক্তা রা একধরনের আর্থিক
অনিশ্চয়তায় থাকেন। এই আর্থিক অনিশ্চয়তার অন্যতম কারণ হলো বিনিয়োগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তা নিয়োগ
উদ্যোক্তারা তাদের আর্থিক অনিশ্চয়তার জন্য অনেক সময় সক্রিয় থাকেন না
স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তার নিয়োগ হয় প্রতিনিয়ত।
বর্তমানে ডিজিটাল ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে যারা সরকারি
তহবিলের পাশাপাশি নিজের বিনিয়োগের মাধ্যমে অনেক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে থাকে।
বাংলাদেশের সকল ই সেবা
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সরকার অনেক ধরনের ই-সেবা প্রদান
করছে। পূর্বে এ সকল ই সেবার আওতাভুক্ত ছিল না বাংলাদেশ কিন্তু প্রতিনিয়ত ই
সেবার আওতাভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। এবং বর্তমান সময়ের জনগণ প্রতিনিয়ত ই সেবাই
আস্থা নিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের ই-সেবার মধ্যে অন্যতম সেবাগুলো হল বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ সংক্রান্ত
সেবা, পাসপোর্ট ভিসা ইমিগ্রেশন, বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সেবা,
স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ভর্তির আবেদন, নিয়োগ সংক্রান্ত
বিভিন্ন ধরনের তথ্য, টিকিট বুকিং এবং ক্রয় ইত্যাদি।
প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সরকার এই ই-সেবার অন্তর্গত হওয়ায় খুব সহজেই বাংলাদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তর হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট
এর মাধ্যমে দেশের নাগরিকরা এই ই সেবার সুযোগ সুবিধা নিতে পারছে। বর্তমানে এই
সেবার বিস্তারের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে।
সরকারি সেবা নাম্বার
বর্তমান সময়ে নাগরিকদের সেবা দেয়ার জন্য অনেক সরকারি সেবা প্রদানকারী নাম্বার
রয়েছে এর মধ্যে অত্যন্ত জরুরী সেবার জন্য ৯৯৯ তে কল দিয়ে সব ধরনের জরুরি সেবা
পেতে পারবেন। এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য সরকারি সেবা নম্বর হলো ১০৫। সরকারি
আইন সেবা নম্বর হলো ১৬৪৩০। দুদক হট লাইন নম্বর হলো ১০৬।বিভিন্ন ধরনের তথ্য সেবা
পেতে ৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।
৩৩৩ এর সেবা সমূহ
সাধারণত ৩৩৩ ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ধরনের সরকারি তথ্য সেবা, বিভিন্ন ধরনের
কর্মকর্তাদের তথ্য ,সামাজিক সমস্যার প্রতিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য
জানার জন্য। এই সেবাটির উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা
সজীব ওয়াজেদ জয়। এখানে কল দিয়ে ২৪ ঘন্টায় সার্ভিস পাওয়া সম্ভব।
নাগরিক সেবা সমূহ
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবা সমুহর প্রচলন রয়েছ এরই মধ্যে
অন্যতম সেবা গুলো হল বিভিন্ন ধরনের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত পরামর্শ
সেবা। আর রয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট পূর্ণ সরবরাহ এবং বাজার তৈরি
করন। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য ।
নাগরিক সেবা হেল্পলাইন ৩৩৩ এ কল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও
বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবা সমূহ পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন। সরকারি সেবা সমূহের
লিংক। সাধারণত নাগরিক সেবার মাধ্যমে আপনি আপনার নিকটবর্তী বিভিন্ন ধরনের
প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা এবং প্রয়োজনীয় সেবা পণ্যের বিকল্প উৎসগুলো সম্পর্কে সঠিক
তথ্য পাবেন।
প্রতিনিয়ত নাগরিক সেবার মাধ্যমে সরকার প্রতিটি নাগরিকের কাছে সহজ এবং সাবলীলভাবে
বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছে। সরকারের এই নাগরিক
সেবা সমূহের জন্য প্রতিটি নাগরিকই নানারকম ভাবে উপকৃত হচ্ছে। নাগরিক সেবায়
বিভিন্ন ধরনের বেসরকারি এবং সরকারি তথ্যসহ আন্তর্জাতিক সেবা দাতার পণ্য ও
সেবার অবস্থান এবং গুণগত মান সম্পর্কে ভোক্তাদের তথ্য প্রদান করে।