ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ও গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ জানুন

 প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এবং গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনাদের জন্যই। এই পোস্টটিতে ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে তা বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও আপনি আরও জানতে পারবেন এই বর্তমান গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ সম্পর্কিত তথ্য এবং তার সমাধান।ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবেঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এবং বর্তমানে গরমে ঠোঁট কাটার কারণ সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান এবং ঠোঁট সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে পোস্টটি না টেনে পড়তে থাকুন।

ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

আপনাদের অনেকেরই ঠোঁট ফাটার মত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আপনারা কি জানেন ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে।মূলত শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতার জন্য ঠোঁট ফাটে। তবে বর্তমান সময়ে শীতকালের পাশাপাশি গ্রীষ্মকাল বা অন্যান্য ঋতুতেও ঠোঁট ফাটার মত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হলো শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব ঠোঁট ফাটার জন্য অন্যতম কারণ হলো ভিটামিন বি এর অভাব। 

সাধারণত আমাদের শরীরে ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁট ফাটার মত সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান সময়ের বিশেষজ্ঞরা ঠোঁট ফাটার মূল কারণ হিসেবে ভিটামিন বি এর অভাবকে দায়ী করেছেন। তাই যাদের প্রতিনিয়ত ঠোঁট ফাটার মত সমস্যা লেগেই থাকে তারা চেষ্টা করবে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাওয়ার। এর ফলে শরীরের ভিটামিন বি এর চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং খুব দ্রুত ঠোঁট ফাটার মত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ

সাধারণত আপনারা লক্ষ্য করেন যে আমাদের ঠোঁট বেশি ফাটে শীতকালে। কিন্তু বর্তমান সময়ে গরমে ঠোঁট ফাটার মত সমস্যা দেখা দিচ্ছে এর অন্যতম কারণ হতে পারে বাতাসের আদ্রতা কম থাকা কিংবা বাতাসের সাধারণ পরিমান শুষ্ক হয়ে যাওয়া। সাধারণত বাতাসের সাধারন পরিমাণ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে শরীর থেকে পানি আপনা আপনি বুঝে নেয় সে জন্য ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ও শুষ্ক হয়ে যায়।
মূলত এই কারণেই এই অনেক গরমে ঠোঁট ফাটছে। বাতাসের আদ্রতার ফলে ঠোঁট ফাটে কিন্তু ঠোট ফাটার জন্য নিজের শরীরের ভিটামিন বি এর ঘাটতি দেখা দেয়া অন্যতম কারণ হতে পারে। শরীরের ভিটামিন বি এর ঘাটতি থাকলেও ঠোঁট ফাটে তাই ঠোঁট ফাটলে বেশি বেশি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়

বর্তমান সময়ে ঠোঁট ফাটাকে কেউ খুব কঠিন বা জটিল কোন সমস্যা মনে করেন না। কিন্তু ঠোঁট ফাটা শরীরের ভিটামিন বি এর ঘাটতি ইঙ্গিত করে তাই এক্ষেত্রে শরীরের ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করতে হবে এবং নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। পাশাপাশি ঠোঁট ফাটা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া উপায় রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম ঘরোয়া উপায় হলো বিভিন্ন ধরনের পেট্রোলিয়াম জেলি।

বিভিন্ন ধরনের অ্যালোভেরা ফেসওয়াস বা অ্যালোভেরা যুক্ত কোন জেল ব্যবহার করা, এছাড়াও প্রতিনিয়ত গ্রিন টি খাবার মাধ্যমে শীতকালে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অ্যালোভেরা সব সময় আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী তাই ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির জন্য অ্যালোভেরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া আপনি নারিকেল দুধ এবং গোলাপজল মিশিয়ে একটি লিপ ক্লিঞ্জার বানিয়ে নিতে পারেন।

প্রতিদিন সকালে এটি ব্যবহার করার ফলাফল আপনি খুব দ্রুত ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনি চাইলে মধু কিংবা ভ্যাসলিনও ব্যবহার করতে পারেন সাধারণত মধু এবং ভ্যাসলিন দুটই ঠোঁট ফাটা দূর করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঠোঁটে মধুর প্রলেপ দিন । এবং এই মধুর প্রলেপ এর উপর ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন। প্রতিনিয়ত এ সকল অভ্যাস আপনার ঠোঁট ফাটা অনেকাংশে কমিয়ে নিয়ে আসবে।

গরমে ঠোঁট ফাটা দূর করার উপায়

সাধারণত আমাদের ঠোঁটের চামড়া অনেক পাতলা হয়ে থাকে। তাই এই গরমে বাতাসের আদ্রতার জন্য আমাদের শরীর যখন অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। মূলত সে জন্যই বর্তমান সময়ে গরমেও আমাদের ঠোঁট ফাটছে। শীতকালের পাশাপাশি গরমে ঠোঁট ফাটা এটি একটি অত্যন্ত বিরস্তিকর আমাদের জন্য তাই গরমে ঠোঁট ফাটা দূর করার জন্য প্রতিনিয়ত কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা উচিৎ। 

সাধারণত পূর্বে আমাদের শীতকালে ঠোঁট ফাটতো কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি কালের পাশাপাশি গরমেও আমাদের শীতকালের মতোই ঠোঁট ফাটছে। এবং শীতকালের মতো ভ্যাসলিন কিংবা অন্যান্য ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই অনেকেই এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত যে তারা শীতকালে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী কিংবা ভ্যাসলিন দিয়ে তাদের ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পেত। কিন্তু গরমে তারা তাদের ঠোঁট ফাটার দূর করার জন্য কি ধরনের নিয়ম অনুসরণ করবে। 

মূলত তো কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজেই গরমে ঠোঁট ফাটা দূর করা যায়। শীতকালের মত গরম কালেও ঠোঁটের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তাপমাত্রা বেশি থাকার ফলে শরীর থেকে পানি শুষে নেয় এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটা শুরু হয়। এজন্য ঠোঁটে সব সময় জেল বা ভেসলিন ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও আপনি চাইলে এগুলোর পাশাপাশি মধু ব্যাবহার করতে পারেন।

ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায়

ঠোঁট ফাটা শুরু হওয়ার পর ঠোঁটের চামড়া গুলো উঠতে শুরু করে। অনেকাংশের চামড়া গুলো থেকেই যায় সেই মরা চামড়া গুলো দূর করার জন্য কিছু সহজ পন্থা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো স্ক্রাবার তৈরি করে সেটা সপ্তাহে দুই বা তিন দিন ব্যবহার করা।স্ক্রাবার তৈরির জন্য আমাদের তিন থেকে চারটি জিনিসের প্রয়োজন পড়বে এর মধ্যে অন্যতম হলো লেবু, মধু ,লবণ এবং অলিভ অয়েল। 

এছাড়া আরো পন্থা রয়েছে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী জেল প্রতিনিয়ত ব্যবহার করার মাধ্যমে ঠোঁটের মরা চামড়া গুলো দূর করতে পারেন। ঠোঁটের ফেটে যাওয়া এবং চামড়া ওঠা যায় যাএকটি বিরক্তি করে বিষয় তাই এ ধরনের সমস্যা হওয়ার আগেই ঠোঁটের যত্ন নিয়ে তা প্রতিরোধ করুন। আবহাওয়া ঠোঁটের কন্ডিশন অনুযায়ী প্রতিনিয়ত যত্ন নিন।

ঠোঁটের চামড়া ওঠা কি সারজারি করা যায়

বর্তমান সময়ে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক আধুনিক হওয়ায়। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে ঠোঁট কিংবা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সার্জারি খুব সহজেই করা সম্ভব। সাধারণত এই সকল সার্জারি কসমেটিক সার্জারির অন্তর্ভুক্ত। তাই ঠোঁট বা বিভিন্ন ত্বকের সার্জারির জন্য যিনি প্লাস্টিক সার্জারি করে সেসব ডাক্তারের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন।

ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করার উপায়

বর্তমানে বাতাসের আদ্রতা এবং শরীরে ভিটামিন বি এর ঘাটতি দেখা দেয়ার ফলে ঠোঁটের শুষ্কতা দেখা যায়। তাই এই ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করার জন্য নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ নারিকেল তেলে অনেক ময়শ্চারাইজিং উপাদান থাকে যা ঠোঁট ফাটা রোধ করে এবং ঠোঁটের শুষ্কতা বজায় রাখে। 

এছাড়াও চিনির স্ক্রাব সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করার ক্ষেত্রে। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ব্যবহার করা যাবে না চিনির স্ক্রাব কারণ সপ্তাহে এক দিন বা দুই দিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

বর্তমান সময়ে অনেকেই চাই তাদের ঠোঁট গোলাপি রাখতে। বিশেষ করে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি এটা চায় তাই ঠোট গোলাপি করা রাখার ক্ষেত্রে যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি। যত্নের অভাব হলে বা ভিটামিন এর অভাব হলে ঠোঁট ফেটে যাবে এবং ঠোঁটের গোলাপী রং এর বদলে দেয় কালো হয়ে যাবে তাই প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি হলো ঠোঁটে প্রতিনিয়ত লেবুর রস ব্যবহার করা। 
প্রতিনিয়ত গোসলের আগে লেবু কয়েক ফোঁটা লেবুতে লাগিয়ে নিন নিয়মিত এটি চালিয়ে গেলে খুব দ্রুত এর ফলাফল লক্ষ্য করতে পারবেন। মূলত প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার এটি একটি সর্বোচ্চ উপায়। নিয়মিত ঠোঁটে লেবুর রস ব্যবহার করার ফলে ঠোঁটের কালো দাগ কিংবা কালো ঠোঁট খুব দ্রুত গোলাপি হয়ে যাবে। 

এছাড়াও বাজারে অনেক প্রসাধনি প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজে ঠোঁট গোলাপি করা।যায় কিন্তু এ ধরনের প্রসাধনি প্রোডাক্ট গুলোতে অনেক ধরনের সাইড ইফেক্ট থাকে। তাই প্রাকৃতিক ভাবে যদি ঠোঁট গোলাপি করতে না চান তাহলে ভালো মানের প্রসাধনিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি করার প্রক্রিয়াটি উত্তম।

শেষ কিছু কথা

আশা করি আপনি আমাদের ব্লগ পোস্টটির মাধ্যমে গরমে ঠোঁট ফাটার আসল কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও ঠোঁট কোন ভিটামিনের অভাবে ফাটে এ সকল ধরনের অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে জানতে গুগল নিউজে আমাদের ফলো দিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন। গুগল নিউজ ফলো লিংক
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url