অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এবং এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনারা অনেকেই হয়তো অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী নামটির সাথে পরিচিত।বর্তমান সময়ে প্রাকৃতিক ভাবে রূপচর্চার জন্য অ্যালোভেরার অন্যতম একটি মাধ্যম হতে পারে। আজকের এই পোস্টটিতে অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আপনি আরও জানতে পারবেন এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহ সম্পর্কে।
অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
এজন্য ভালোমতো অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এবং এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পোস্টটি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

বর্তমানে অনেক রূপচর্চার ক্রিম এবং বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর পাশাপাশি অনেকেই অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করে থাকেন । প্রতিনিয়ত এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার ফলে প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত ময়লা ভাব দূর করে। এর পাশাপাশি অ্যালোভেরা জেল আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

এলোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের পূর্বে মুখ ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর এলোভেরা জেল এবং এলোভেরা জেল এর সাথে গোলাপজল ভালো মতো মিশিয়ে নিতে হবে এরপর এই মিশ্রণটি আপনি মুখে মাসাজ করে কিছুক্ষণ রেখে দিবেন। মুখের পাশাপাশি আপনি চাইলে আপনার ঘাড়েও এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। 
এর ফলে আপনার ত্বকের কালো দাগ এবং সকল ব্রনের দাগ গুলো খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। প্রাকৃতিক ভাবে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতার পাশাপাশি আপনার মুখেও এক ধরনের সতেজ ভাব নিয়ে আসার জন্য প্রতিনিয়ত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। দ্রুত কার্যকরী ফলাফল পেতে প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক এলোভেরা জেল ব্যবহার করুন।

এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনারা ভালোমতোই জানেন প্রাকৃতিকভাবে রূপচর্চার জন্য এলোভেরার কোন বিকল্প হয় না। প্রতিনিয়ত এলোভেরার ব্যবহার আপনার ত্বককে সতেজ করে তোলে এবং এর পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তোলে। এগুলোর পাশাপাশি এলোভেরা আপনার স্কিন এর হাইড্রেশন লেভেল ঠিক রাখতে সহায়তা করে। 

ত্বকের সৌন্দর্যতা বজায় রাখতে এবং ত্বককে দ্রুত ফর্সা করে তুলতে যেসব ক্রিম এর প্রচলন রয়েছে সে সকল ক্রিমে প্রায় এলোভেরা উপস্থিত। তাই আপনি বাহিরে বাজার থেকে এলোভেরা কিনলে সচেতনতার সহিত নিবেন যেন সেই অ্যালোভেরাতে কোন ধরনের কেমিক্যাল উপস্থিত না থাকে। বাজার থেকে এলোভেরা ক্রয় করার পরে আপনি প্রতিনিয়ত সেই অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মুখে ব্যবহার করবেন। 

এই জেল আপনার মুখের ত্বকের গভীরে প্রবেশ করবে এবং এর ভিটামিন এ বি সি এবং ভিটামিন এ উপাদান আপনার ত্বককে প্রতিনিয়ত পুষ্টি যোগাবে। আপনি অ্যালোভেরা দিয়ে নিচের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা এবং ফর্সা হওয়ার জন্য অ্যালোভেরার সাথে মধু কিংবা ভিটামিন ই , লেবু এগুলো যুক্ত করে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বলতার পাশাপাশি আরো বেশি মসৃণ করে তুলবে।

অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়

সাধারণত এলোভেরা একটি রূপচর্চা জাতীয় উপাদান। প্রতিনিয়ত এলোভেরা মুখে মাখলে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং এর পাশাপাশি আপনার মুখের ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে নিয়ে আসবে এবং ত্বকের যেসব ক্ষত রয়েছে সে সকল ক্ষত খুব দ্রুত নিরাময় করতে সহায়তা করবে। এগুলোর পাশাপাশি আপনার ত্বকের ব্রণ জাতীয় যেকোনো সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করবে । 
এর পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার রাখতে এলোভেরা অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এলোভেরা উপস্থিত রয়েছে ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আপনার ত্বকে উজ্জ্বল এবং মসৃণ করে তুলতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। আপনি প্রাকৃতিকভাবে যদি নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তবে সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিনিয়ত এলোভেরা মুখে ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

বর্তমানে অ্যালোভেরার অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো বলে শেষ করার মতো নয় কারণ প্রাকৃতিকভাবে নিজের ত্বকের যত্ন নেয়া এবং রূপচর্চার ক্ষেত্রে এলোভেরার কোন বিকল্প নেই। প্রাকৃতিকভাবে এটি আপনার চুলের ব্যবহারযোগ্য প্রতিনিয়ত আপনি চুলে যদি এলোভেরা ব্যবহার করেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার চুল আগের থেকে অনেক বেশি সুন্দর হয়ে উঠবে। 

প্রতিনিয়ত যদি আপনি এলোভেরার সাথে নিমপাতা কিংবা মধু বা লেবু যুক্ত করে ব্যবহার করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে এটি আপনার ত্বককে আরো বেশি উজ্জ্বল করে তুলবে। আপনার ত্বকের যেসকল ব্রণ রয়েছে সেগুলো নিরাময় করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে অ্যালোভেরা। এছাড়াও এলোভেরার ঔষধি গুনাগুন আপনার রক্তচাপ কমিয়ে নিয়ে আসবে। 

এলোভেরা রক্তের কোলেস্টরেল এবং চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে অনেক বেশি কার্যকরী। আপনার চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করতে এবং আপনার চুলের খুশকি কমিয়ে নিয়ে আসতে এবং এগুলোর পাশাপাশি আপনার চুল নরম রাখতেও সহায়তা করে অ্যালোভেরা। এলোভেরার তেমন কোন অপকারিতা নেই তবে অতিরিক্ত এলোভেরা জুস খাওয়া কিংবা যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের এলোভেরা ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম

চুলে অ্যালোভেরার ব্যবহার কিছুটা কন্ডিশনার এর মত। প্রতিনিয়ত আপনি যদি চুলে এলোভেরা ব্যবহার করেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার চুল পূর্বের থেকে অনেক বেশি নরম হয়ে যাবে। আপনার চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের খুশকি দূর করতে এলোভেরা অনেক বেশি কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিলে এই ফলাফলগুলো আপনি অনেক দ্রুত পাবেন আশা করা যায়। 
এজন্য প্রথমত আপনাকে আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী নারিকেল তেল নিয়ে নিতে হবে একটি ছোট কোন পাত্র বা বাটিতে। পরবর্তীতে এই তেলে দুই থেকে তিন চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে নেয়ার পর আপনি মাথাতে ভালো মতো এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন এবং৩০ থেকে৪০ মিনিট রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো মতো মাথা ফেলুন।

শেষ কিছু কথা

আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এবং এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক

এছাড়াও আপনাদের অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এবং এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url