ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট যেভাবে নিবেন বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো অনেকেই ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট নেয়ার কথা চিন্তা করছেন।আজকের এই পোস্টটিতে আপনি কিভাবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট নিবেন এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট
এগুলোর পাশাপাশি বর্তমান হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা এবং হার্টের রিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট

আপনারা অনেকেই আছেন যারা অফলাইনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে খুব সহজেই আপনি চাইলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তারদের এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। এজন্য প্রথমত আপনার একটি পরিচয় এর প্রয়োজন হবে এবং পরবর্তীতে আপনাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর অফিসিয়াল যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। 

সে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনি খুব সহজেই সেখানে আপনার কাঙ্খিত ডাক্তারদের এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর ওয়েবসাইট লিংক। আপনি চাইলে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নেয়ার পাশাপাশি এখানে প্রতিটি ডাক্তারের প্রোফাইল ভিজিট করতে পারবেন। এজন্য হার্টের রিং পরিবর্তন এছাড়াও হার্ট সম্পর্কিত যে কোন সমস্যায় আপনি খুব সহজেই তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার তালিকা

আপনি চাইলে খুব সহজেই কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর সকল ডাক্তার এর ইনফরমেশন জানতে পারবেন।এর পাশাপাশি আপনি খুব সহজেই তাদের এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তারদের তালিকায় প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন ন্যাশনাল প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার আব্দুল মালিক। 

ছাড়াও আরো ভালো মানের ডাক্তারদের মধ্যে রয়েছে প্রফেসর ফজিলাতুন্নেছা মালিক। এছাড়াও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তারদের মধ্যে অভিজ্ঞ ডাক্তার গুলোর মধ্যে অন্যতম ডাক্তার হলো প্রফেসর ডঃ অশোক কুমার, প্রফেসর ডক্টর ধীমান বাণীক, প্রফেসর ডঃ হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ডঃ তৌফিক শাহরিয়ার, ডক্টর কালিমুদ্দিন, ডক্টর জেসমিন হোসে্ন, ডঃ নুরুন্নাহা্র, ডক্টর নজরুল ইসলাম, ডঃ আব্দুল কাইয়ুম খান, ডক্টর মীর ইস্রাকুজ্জামান। 
এছাড়াও এসব ডাক্তারের পাশাপাশি আরও অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাও আপনি যদি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ডাক্তারদের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তবে সেই ক্ষেত্রে আপনি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনি সকল ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন।

হার্টে রিং পরানোর খরচ

সাধারণত অনেক হার্টের রোগী আছেন যাদের হার্টের রিং পরানোর প্রয়োজন পড়ে। হার্টের রিং এর কোয়ালিটি এবং রিং পরানোর চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে মূলত হার্টের রিং পড়ানোর খরচটা নির্ধারণ করা হয়। দেশের যেসব হাসপাতালে হার্টের রিং পাওয়া যায় সেসব হাসপাতালে হার্টের রিং এর দামের অনেক ভিন্নতা রয়েছে। এমনকি অনেকেই হার্টের রিং লাগানোর জন্য ভারতে যাওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। 

কিন্তু ভারতেও বিভিন্ন প্রদেশ ভেদে এবং চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান ভেদে হার্টের রিং এর দামের অনেক ভিন্নতা রয়েছে। মূলত হার্টের রিং এর কোয়ালিটিতে খুব একটা ভিন্নতা না থাকলেও দামে অনেক বেশি ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। সকল হার্টের রিং বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় কিন্তু এই হার্টের রিং এর সরকারিভাবে কোন দাম নির্ধারণ না দেওয়ায়।

এই হার্টের রিং গুলো আনুমানিক ৪৮ হাজার টাকায় আমদানি করা হার্টের রিংগুলো হাসপাতাল ভেদে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত কিংবা তার বেশিও নিতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে রিংয়ের দাম অনেক কমে আসলেও বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং তাদের আনুষাঙ্গিক খরচের কারণে রোগীদের সেই বেশি দাম দিয়ে হার্টের রিং কিনতে হচ্ছে এবং প্রতিটি রোগী বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

হার্টের রিং কোনটা ভালো

ঠিক অন্যান্য সকল জিনিসের মতোই হার্টের রিং এর ও ভালো এবং খারাপ কোয়ালিটি রয়েছে। মূলত হার্টের রিং দুই প্রকারের হয়ে থাকে এর মধ্যে একটি রিং রয়েছে যে রিংটিতে শুধু ধাতব পদার্থ উপস্থিত থাকে। সেই ধাতব পদার্থ থেকে বিএমএস বলে। এবং আরেকটির রিং রয়েছে যে রিংটিতে যে ধাতু রয়েছে সে ধাতুর উপরে মেডিসিন দেয়া থাকে ।
এই রিংকে ডিইএস রিং বলে। সাধারণত বিএমএস হার্টের রিং এর তুলনায় ডিইএস হার্টের রিং অনেক বেশি ভালো সে জন্য বর্তমান হার্টের রোগীরা বিএমএস হার্টের রিং এর তুলনায় ডিইএস হার্টের রিং বেঁচে নিচ্ছেন। আপনি যদি হার্টের রিং নেয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিইএএস হার্টের রিং টি ক্রয় করবেন।

হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৩

বর্তমানে এনজিওগ্রাম হার্টের রিং এর মূল্য তালিকায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। হার্টের রিং সাধারণত বিভিন্ন জেনারেশন এর হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ফার্স্ট জেনারেশন সেকেন্ড জেনারেশন এবং থার্ড জেনারেশন। সাধারণত 2000 সাল বা তার আগে ফার্স্ট জেনারেশনের হার্টের রিংগুলো অনেক বেশি পাওয়া যেত কিন্তু বর্তমান সময়ে ফাস্ট জেনারেশনের হার্টের রিংগুলো অনেক বেশি দুর্লভ এবং এগুলো পাওয়া যায় না বললেই চলে। 

বর্তমানে সেকেন্ড জেনারেশন যে হার্টের রিংগুলো রয়েছে সেই রিংগুলো আমেরিকা থেকে ইমপোর্ট করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ। থার্ড জেনারেশনের রিংগুলো সাধারণত ইউরোপ থেকে ইমপোর্ট করা হয়। এই ধরনের রিং গুলো কিনতে হলে আপনার দুই লাখ থেকে চার লাখ টাকা কিংবা তার বেশিও টাকা লাগতে পারে।

হার্টের রিং এর মেয়াদ

হার্টের রিং এর মেয়াদকাল জানার পূর্বে জানতে হবে যে হার্টের রিং কেন পরানো হয়। সাধারণত যখন আপনার হার্টের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হ্রাস ভাবে এবং হার্টের কাজগুলো ব্যাহত হলে হার্টে রিং পরানোর প্রয়োজন পড়ে। হার্টের যেই রক্তনালী রয়েছে সে রক্তনালি কতটুকু ব্লক হয়েছে সেই ব্লকের মাত্রার ওপর নির্ভর করেই মূলত হার্টের রিং পরানো হয়। 
রক্তনালী ব্লক হয়ে যাওয়ার মাত্র যখন অনেক বেশি হয়ে যায় অর্থাৎ ৭০ ভাগের বেশি কিংবা ৮০ ভাগের বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে হার্টের রিং লাগানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে থাকে। পরবর্তীতে যদি এই সমস্যা ভালো না হয় তবে সেক্ষেত্রে বাইপাস অপারেশন করতে হয়। মূলত হার্টের রিং এর মেয়াদকাল রোগীর উপর নির্ভর করে এবং হার্টের রিং এর নির্দিষ্ট কোন মেয়াদকাল থাকে না।

শেষ কিছু কথা

আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কিভাবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট নিবেন এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার তালিকা সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক

এছাড়াও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার এপয়েন্টমেন্ট এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার তালিকা সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url