লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে বিস্তারিত জেনে নিন

আপনারা অনেকে আছেন যাদের হজম শক্তি অনেক কম এর ফলে আপনাদের বিভিন্ন সময় বদহজমের মত সমস্যা দেখা দেয়। আজকের এই পোস্টটিতে লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে এবং কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আপনি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অনেক অভিনব পদ্ধতি গুলো জানতে পারবেন।
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে এবং কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে

সাধারণত লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে শুধু হজম জনিত সমস্যা নয় এর পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। হজম শক্তি দুর্বল হয়ে গেলে এবং সেই দুর্বলতা যদি লিভারের হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে ঘন ঘন বুক জ্বালাপোড়া করবে এর পাশাপাশি ঘনঘন বদহজম হবে। যদি আপনার লিভারের হজম শক্তি কমে যায় তবে সে ক্ষেত্রে আপনি সঠিকভাবে খেতে পারবেন না।

কিছু কিছু সময় আপনার পেটে ভারী অনুভূত হতে পারে। এর পাশাপাশি পেট ব্যথার মত সমস্যা হতে পারে। শরীরের হজম শক্তি কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য, বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি এবং ভিটামিনের ঘাটতি শরীরে ফোলা ভাব এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। খুব দ্রুত এগুলো সমাধান না করলে অনেক সময় কিডনিতেও সমস্যা হতে পারে।

কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়

খাবার দ্রুত হজম হওয়ার জন্য প্রথমত আপনাকে নিজের খাদ্যভাসের পরিবর্তন করতে হবে। আপনি যদি ধীরে ধীরে অস্বাস্থ্যকর তেল চর্বিযুক্ত খাদ্য যেগুলো আপনার ক্ষতি করে সেসব খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে আপনার খাদ্য খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি হজম হবে। এছাড়াও এগুলোর পাশাপাশি কিছু কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্যগুলো খুব দ্রুত হজম হবে। 
সেই খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সবজি জাতীয় খাদ্য যেমন লেটুস শসা টমেটো ইত্যাদি। এই ধরনের খাদ্যগুলো সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে হজম হতে। কাপড় দিকে আপনি যদি মূল যুক্ত সবজি গ্রহণ করেন সে সবজিগুলো ৫০ মিনিট বা এক ঘন্টার মত সময় লাগবে হজম হতে এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ধরনের ডাল খেতে পারেন যেগুলো এক ঘন্টার মধ্যেই হজম হয়ে যায়।

হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

আপনি চাইলে ঘরোয়া বিভিন্ন ধরনের অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব দ্রুত নিজের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন। এজন্য প্রথমত আপনাকে বেশি বেশি লেবু পানি গ্রহণ করতে হবে লেবু হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁচা লবন খাওয়া ঠিক নয় তবে প্রতিবার খাবার খাওয়া শুরুতে আপনিই চাইলে এক চিমটা লবন খেতে পারেন। এছাড়াও এগুলোর পাশাপাশি আপনি চাইলে গাঁট ব্যাকটেরিয়া যুক্ত খাদ্য গুলো গ্রহন করতে পারেন।

গাট ব্যাকটেরিয়া যুক্ত খাদ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দই বা টক দই এগুলো আপনার খাবার হজম করতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আপনার শক্তি বৃদ্ধি করবে। তাই আপনার হজম শক্তি যদি কম হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে আপনি খাদ্যগুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

পেটে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়

পেটে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কিছু অভিনব পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত যদি আপনি অবলম্বন করেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং আপনার গ্রহণকৃত খাদ্য খুব দ্রুত হজম হয়ে যাবে।পেটে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রথমত খাদ্য খাদ্যভাস এর পরিবর্তন করতে হবে এবং সঠিক সময়ের খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। 
পেটে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আদা অনেক বেশি উপকারি এজন্য প্রতিদিন আদা বা আদা চা দুই থেকে তিন থেকে তিনবার আপনি খেতে পারেন। আদা এনজাইম প্রবাহ সঠিক অনুপাতে সরবরাহ করে এজন্য আদা বেশি উপকারি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের দই এবং টক দই হজম শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

সাধারণত শারীরিক ব্যায়াম আপনাকে সকল ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখবে। আপনি যদি প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়ামের সাথে যুক্ত থাকে তবে সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা পূর্ব থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অন্যান্য ব্যায়ামের পাশাপাশি যোগব্যায়াম অনেক ভালো কাজ করে। প্রতিনিয়ত যদি আপনি ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট যোগ ব্যায়াম করেন বা শারীরিক সকল ব্যায়াম এর সাথে যুক্ত থাকেন। 

তবে আপনার হজম শক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এর পাশাপাশি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্ল্যাটফর্মে যেমন ইউটিউবে থেকে যোগ ব্যায়ামের সঠিক আসন গুলো দেখে নিতে পারেন এবং প্রতিনিয়ত যোগব্যায়াম শুরু করে দিতে পারেন আপনার হজম শক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

দ্রুত খাবার হজমের উপায়

দ্রুত খাবার হজমের জন্য প্রথমত আপনার খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে এবং খাদ্যাভাসে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাদ্য এবং বিভিন্ন ধরনের তেল চর্বিযুক্ত খাদ্য রাখা যাবেনা। যে সকল খাবারে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে সে সকল খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। সাধারণত সকল হজম জনিত সমস্যার সমাধান এর জন্য গ্রিন টি প্রতিনিয়ত খেতে পারেন।
গ্রিন টি এর পাশাপাশি আদা চা ও খেতে পারেন। গ্রিনটিতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট খাদ্য হজমের জন্য যে উৎসেচক গুলি কাজ করে সেই উৎসেচকগুলির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে দেয় এজন্য প্রতিদিন গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এছাড়াও আপনি পুদিনা পাতার চা ও খেতে পারেন যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকরি।

শেষ কিছু কথা

আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে এবং কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক

এছাড়াও আপনাদের লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে এবং কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় সে সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url