সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং রকমেলন চাষ পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো সাম্মাম ফলের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত কিন্তু সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না আজকের এই পোস্ট টিতে সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আপনি আরও জানতে পারবেন রকমেলন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং রকমেলন চাষ পদ্ধতি
সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং রকমেলন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত এবং অজানা তথ্য গুলো জেনে নিতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

সাম্মাম ফল টি হলো এক ধরনের গ্রীষ্মকালীন ফল।যা মুলত গ্রীষ্মকালে উৎপাদিত হয়। সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিজ বা চারা রোপণ করা যেতে পারে।তবে বর্তমান সময়ে অনেক চাষি রয়েছেন যারা বছরের প্রতিনিয়ত সাম্মাম ফল উৎপাদন করে জাচ্ছেন। স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে সাম্মাম ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। 

এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন এ , ভিটামিন সি ইত্যাদি এবং এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম সহ নানান ধরনের উপাদান রয়েছে। এছাড়াও সাম্মাম ফল ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে অনেক ভালো কাজ করে।আপনার শরীর কে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে।
সাম্মাম ফল আপনার হজম শক্তি পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি করে।সব কিছুর পাশাপাশি একটা ফল হিসাবে সাম্মাম ফল আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি করে।সাধারনত সাম্মাম ফলের কোন অপকারিতা নেই তবে কোন কিছুই মাত্রা অতিরিক্ত ভালো না তাই ফল টি খাওয়ার সময় মাত্রা অতিরিক্ত না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

রকমেলন চাষ পদ্ধতি

সাধারণত অন্যান্য ফলের তুলনায় রক মিলন চাষ অনেক বেশি লাভ জনক হওয়ায় বর্তমান চাষী এবং কৃষকরা রকমেলন চাষে অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মূলত রক মিলন হলো বিদেশি এক ধরনের ফল আরবে এই ফলটি সাম্মাম ফল হিসেবে পরিচিত। অনেকে এটাকে মিষ্টি বাঙ্গি ও বলে থাকেন। 

মিলন চাষের সঠিক পদ্ধতি ও জ্ঞান না থাকলে এদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী ভালো মানের ফলন না পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সাধারণত আবহাওয়া উপযোগী একটি মিষ্টি জাত পাওয়া গিয়েছে সে জাতটির নামকরণ করা হয়েছে হানি জুস। এই মিষ্টি জাতে প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় 350 টি থেকে ৪০০ টি কিংবা তার বেশিও বীজ থাকে। 

প্রতি বিঘায় প্রায় ২৫০০ চারা বহন করা সম্ভব সাধারণত যারা লাগানোর এবং পরিচর্যার 55 থেকে 60 দিন এর মধ্যেই ফলন পাওয়া সম্ভব। সাধারণত এই যাত্রী ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ আরেকবার মধ্য জন থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর এই দুই সিজনে চাষ করা যায়। আপনি যদি গ্রীন হাউজের মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনি বছরের প্রায় প্রতিটি সময়ে সাম্মামের চাষাবাদ করতে পারবেন। 

প্রথমত জমিতে চার্জ দিয়ে পরবর্তীতে ৫ টন শুকনা গোবর এবং প্রায় ৩০০ কেজি জিপ্সাম দিয়ে তিন থেকে চার সপ্তাহ ফেলে রাখতে হবে। পরবর্তীতে বীজ বপন করার পর পরিমান মত ইউরিয়া, ডিএসপি, পটাশিয়াম , জিংক , বোরন , ম্যাগনেসিয়াম সালফেট , সালফার রিজেন্ট এবং রাগবি দিতে হবে। 
সবকিছুর পূর্বে চেষ্টা করুন ভালো মানের বীজ সংগ্রহ করার এবং পরবর্তীতে রাসায়নিক উপাদান এবং সার ভালোমতো প্রয়োগ করুন। এর ফলে আপনি খুব দ্রুত ভালো মানের সাম্মাম বা রকমেলন উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন এবং খুব দ্রুত সফল হবেন।

সাম্মাম চাষের উপযুক্ত সময়

যদি আপনি গ্রিনহাউজের মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন তবে সেক্ষেত্রে আপনি বছরের সময়ে সাম্মাম ফল বা রকমেলন ফল টি উৎপাদন করতে পারবেন । সাধারণত সাম্মন চাষের উপযুক্ত সময় হলো গরমের সময় । কারণ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। সাম্মাম ফলটির বীজ বপনের সঠিক সময় হলো গরমের সময়।

মূলত বছরের দুইটি সময়ে সাম্মামের বীজ বপন করা যেতে পারে। এর মধ্যে একটি সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং অপর সময়টি হলো মাঝ থেকে জুন মাসের মধ্যে। মূলত এই দুইটি সময় ই হলো সাম্মাম চাষের উপযুক্ত সময়। উপযুক্ত সময়ে চাষাবাদ না করলে আপনি কখনোই ভালো ফলাফল পাবেন না।

সাম্মাম ফল কিভাবে খায়

সাম্মাম ফল টি হলো সাধারণত বিদেশী একটি ফল। সম্মান নামটির অর্থ হলো খরবুজ বা খরমুজ। সাম্মাম ফল খেতে অনেক সুস্বাদু এর পাশাপাশি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর। সাম্মাম ফলটি সাধারণত দেখতে অনেকটা তরমুজের মতো । আপনারা হয়তো সাম্মাম ফলের অর্থ হিসেবে জানতে পেরেছেন এর অর্থের সাথে তরমুজের অনেক বেশি মিল রয়েছে। 
আপনারা তরমুজ ফলটি হয়তো সবাই চিনে থাকবেন। সাম্মাম ফলটি অনেকটা তরমুজের মতো এবং ফলটি তরমুজের মতই খেতে হয়। তবে এই ফলটি তরমুজের থেকেও বেশি সুস্বাদু এবং এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে রসালো হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সাম্মাম ফলটি অনেক জায়গায় পাওয়া যায় আপনি চাইলেই সাম্মাম ফল টি খেয়ে দেখতে পারেন।

সাম্মাম ফলের দাম

সাধারণত সাম্মাম ফল অনেক সুস্বাদু এবং দেখতে অনেক সুন্দর হওয়ার কারণে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে এবং অনেক জায়গায় এই ফলটির অনেক বেশি কদর রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও সাম্মাম ফল অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বাজারে এই সাম্মাম ফল প্রতি কেজি ১২৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

সাম্মাম ফলের পুষ্টিগুণ

সাম্মাম ফলটি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই ফলটিতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন উপস্থিত রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ইত্যাদি। এছাড়া এই ফলটিতে এর পাশাপাশি পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান উপস্থিত রয়েছে।

সাম্মাম ফল প্রতিদিন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেশন মুক্ত রাখতে অনেক বেশি সহায়তা করে। এগুলোর পাশাপাশি সম্মান ফল আপনার পূর্বের তুলনাই হজম শক্তি অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলবে। মূলত সাম্মাম ফল টি খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। এজন্যই বর্তমানে সাম্মাম ফল এর চাহিদা অনেক বেশি।

শেষ কিছু কথা

আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং রকমেলন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক

এছাড়াও আপনাদের সাম্মাম ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং রকমেলন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url