নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এবং নাকের সর্দি কমানোর উপায় জানুন
প্রিয় পাঠক বর্তমান আবহাওয়াই আপনাদের অনেকেরই সর্দি,কাশি এছাড়াও ঠাণ্ডা জনিত
বিভিন্ন রোগ হচ্ছে।আজকের এই পোস্ট টিতে নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এবং নাকের
সর্দি কমানোর উপায় গুলো বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও আপনি আরও জানতে
পারবেন নাকের পানি বন্ধ করার ট্যাবলেট সম্পর্কে।
তাই নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এবং নাকের সর্দি কমানোর উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট
সাধারণত সর্দি লাগা কিংবা বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা জনিত ছোট ছোট রোগের জন্য
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু নিয়ম মেনে চললে
এবং প্রতিনিয়ত ওষুধ গ্রহণ করলে খুব সহজে নাকের সর্দি দূর হয়ে যায়। এছাড়াও
নাকে সর্দির দূর করার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ ধরনের
রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ও কমে যায়।
সাধারণত এ ধরনের নাকের সর্দি 8 থেকে 10 দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায় এর
জন্য আলাদাভাবে কোন ধরনের ওষুধ গ্রহণ করতে হয় না। কিন্তু যদি মাত্রাতিরিক্ত
সর্দি লেগে থাকে এবং নিঃশ্বাস নিতে অতিরিক্ত অসুবিধা হয় তবে সে ক্ষেত্রে নাকের
সর্দি দূর করার ট্যাবলেট গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ধরনের নাকের সর্দি দূর করার জন্য
সবচেয়ে ভালো কাজ করে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ।
তবে আপনি যখন নাকের সর্দি দূর করার জন্য প্যারাসিটামল গ্রহণ করবেন সেসময়
সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেন সে ওষুধ সেবন চলাকালীন অন্য কোন ধরনের ব্যথার ওষুধ
কিংবা সর্দি-কাশির হারবাল ওষুধ সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খাবেন না এর ফলে নানান ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
দেখা দিতে পারে।
নাকের সর্দি কমানোর উপায়
আপনাদের অবস্থানরত আবহাওয়া সাথে যখন আপনাদের শরীর এডজাস্ট করতে পারেনা বা
মানিয়ে নিতে পারেনা সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট রোগ এবং নাকের সর্দির
মতো রোগে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। মূলত নাকের সর্দি কমানোর জন্য আপনার আলাদা
হবে কোন ওষুধ গ্রহণের প্রয়োজন নেই।
শুধু যে সময় আপনি এই রোগে আক্রান্ত হবেন সেই সময় কুসুম গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা
করবেন এবং যদি আপনার নাকের সর্দির পরিমাণ বেশি হয়ে যায় এবং আপনার নিঃশ্বাস নিতে
অতিরিক্ত অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তবে সে ক্ষেত্রে আপনি কিছুদিন প্যারাসিটামল খেয়ে
দেখতে পারেন তবে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল গ্রহণ করবেন না।
এর ফলে আপনার শরীরের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সবকিছুর পাশাপাশি অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খাওয়া
থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। এগুলোর পাশাপাশি সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে আপনি
প্রতিনিয়ত এক টুকরো আদা চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ আদা সর্দি কমাতে
অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নাকের পানি বন্ধ করার ট্যাবলেট
অনেক সময় আপনাদের নাকের সর্দি হওয়ার পাশাপাশি নাক বন্ধ হওয়ার মত সমস্যা দেখা
দেয় এবং এর পাশাপাশি নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।বিনা কারনে নাক
দিয়ে পানি পড়া এবং সর্দি জনিত কারনে নাক দিয়ে পানি পড়লে আপনি প্রথমে
ফেক্সোফেনাডিন নামক ওষুধটি খেয়ে দেখতে পারেন।
অনেক সময় এগুলোর পাশাপাশি এলার্জিজনিত কারণ এর ফলেও নাকের পানি পড়া শুরু করে
এই এলার্জির কারণে যে সর্দি হয় সে ক্ষেত্রে আপনি অ্যান্টিহিস্টামিন নামক ওষুধ
টি খেয়ে দেখতে পারেন যা নাকের পানি বন্ধ করতে অনেক বেশি কার্যকরী। অভিজ্ঞ
চিকিৎসকদের মধ্যে অতিরিক্ত তরল পদার্থ পান করা এবং প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসম্মত
মানের খাদ্য গ্রহণ করার ফলে খুব দ্রুত এটা আপনা আপনি সেরে যাবে।
নাক বন্ধ হলে ড্রপ নাম
বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত কারণে ফলে সর্দি লাগলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া যেন সাধারণ
একটি বিষয়। অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিতে
অনেক বেশি সমস্যা হয় এবং ঘুমের সময় নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে না পারলে
অস্বস্তিকর লাগে। সর্দির ফলে নাক বন্ধ হয়ে গেলে আপনি অট্রিভিন ০.০৫% ড্রপটি
ব্যবহার করে দেখতে পারেন যা নাক বন্ধ হওয়ার প্রতিরোধে অনেক বেশি কার্যকরী।
এই ড্রপটি আপনার রক্তনালী দ্বারা নাকের শ্বসন ঝিল্লি সংকুচিত করে তুলবে। এর
ফলে আপনার বন্ধ না খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে এবং আপনি স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস
নিতে পারবেন। তবে সকল বয়সী মানুষদের জন্য নাকের ড্রপ ব্যবহার করা উচিত নয়
এবং একই ড্রপ ৭ দিনের বেশি ব্যবহার করা কখনোই উচিত নয়। কোন ধরনের সন্দেহ
থাকলে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
শীতে সর্দি থেকে মুক্তির উপায়
সাধারণত শীতকালে সর্দি কাশি জনিত সমস্যা একটি সাধারণ বিষয় এবং প্রায়
প্রতিটি মানুষেরই শীতকালে সর্দি কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। শীতে সর্দি থেকে
মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন এবং প্রতিনিয়ত প্রচুর
পরিমাণ তরল জাতীয় খাদ্য যেমন পানি, ডাবের পানি, হারবাল চা, আদা চা খাওয়া
উচিত।
এগুলোর পাশাপাশি নিজের খাদ্য তালিকায় জিংক সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি বেশি রাখার
চেষ্টা করবেন। সাধারণত জিংক আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এবং
জিংকে উপস্থিত খনিজ উপাদান গুলো আপনার শরীরের শ্বেত রক্ত কনিকা উৎপাদনে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে যা আপনার শরীরের জীবাণু এবং খারাপ
ব্যাকটেরিয়া গুলো মেরে ফেলবে।
সর্দি না হলে নাক দিয়ে পানি পড়ে কেন
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ঠান্ডা জড়িত
বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয় । ঠান্ডা জনিত রোগের মধ্যে অন্যতম হলো সর্দি।
ঠান্ডা লাগার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের এলার্জিজনিত কারণে সর্দি হতে পারে।
সাধারণত সর্দি লাগার ফলে নাকে পানি ঝরার অন্যতম কারণ হলো।
যখন সর্দি লাগে তখন নাকের স্নায়ু গুলো শরীরের উপস্থিত শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিকে
জীবিত করে তোলে এবং এরা ঠান্ডা বাতাসের অবস্থা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে। পুনরায়
মস্তিষ্ক থেকে সেই সংকেত আবার ঝিল্লি গুলোতে ফিরে আসে। পরবর্তীতে এই
পরিপ্রেক্ষিতে নাক দিয়ে পানি বা তরল শ্লেষ্মা ধরতে শুরু করে। মূলত ঠান্ডা
বাতাস এই ঝিল্লিতে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বলেই নাক দিয়ে পানি ঝরার
মতো সমস্যা দেখা দেয়।
শেষ কিছু কথা
আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এবং
নাকের সর্দি কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের
গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে
থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক।
এছাড়াও আপনাদের নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এবং নাকের সর্দি কমানোর উপায়
সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে
ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর
প্রদান করবেন।