লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক আপনারা লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে আজকের এই পোস্ট
টি পড়তে পারেন আজকের এই পোস্ট টিতে লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।আজকের এই পোস্ট টিতে আপনি লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও
লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এজন্য লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক এবং লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে ভালো
মতো জেনে নিতে পোস্ট টি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনারা প্রতিনিয়ত নানা রকম ভাবে লবঙ্গ খান কিন্তু লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে ভাল মত জানেন না। লবঙ্গ বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় তবে আপনি যদি লবঙ্গ
মুখে রেখে চুষতে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনার গলা ফুলে ওঠা শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন
ধরনের ঠান্ডা লাগা, সর্দি এজমা এই সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে বেশ কার্যকরী
ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও অনেকেই রয়েছেন যারা সাইনোসাইটিস রোগীদের চিকিৎসা প্রতিবাদ ব্যবস্থা
হিসেবে বা ওষুধ হিসেবে প্রতিনিয়ত লবঙ্গ ব্যবহার করেন। সাইনোসাইটিস রোগের ফলে
সাইনাসের যে সকল অতিরিক্ত কষ্ট রয়েছে লবঙ্গ তে উপস্থিত ইগুয়েনাল নামক বিশেষ এক
ধরনের উপাদান যা সাইনাসের অতিরিক্ত এই কষ্ট কমিয়ে নিয়ে আসতে অনেক বেশি সহায়তা
করে।
সকল ধরনের মাথাব্যথা এবং মাথার অতিরিক্ত যন্ত্রণা খুব সহজেই কমিয়ে নিয়ে আসতে
লবঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার চেহারায় যদি অতিরিক্ত ব্রণ হয় তাহলে আপনি
এই ব্রণ দূর করার জন্য লবঙ্গের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার দ্রনের ওপর
দিয়ে রাখলে পরবর্তী আপনার ব্রণ দূর হওয়ার পাশাপাশি ব্রণের চেয়ে দাগ থাকে সেই
দাগ খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
লবঙ্গ আপনার শরীরের যে সকল ক্ষতিকার উপাদান রয়েছে সে সকল ক্ষতিকর উপাদান গুলো
শরীর থেকে বের করে দেয় এবং আপনার রক্তকে ভালোমতো পরিশোধন করতে কার্যকরী ভূমিকা
রাখে। আপনার রক্ত প্রবাহের উন্নতি এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিনিয়ত
লবঙ্গ খান। লবঙ্গ তে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে উপস্থিত রয়েছে।
এসকল ভিটামিন যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে এতটাই শক্তিশালী করে তুলবে
আপনার শরীরের উপস্থিত যে সকল ভাইরাস রয়েছে সে সকল ভাইরাস মুহূর্তের মধ্যে মারা
যায় এবং পরবর্তীতে দেশের আক্রমণ থেকে আপনার শরীরকে অনেক বেশি প্রটেক্ট করে। যারা
হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত লবঙ্গ রস
চিবিয়ে খেলে অনেকাংশেই আরাম পাবেন।
আরো পড়ুনঃগাজর খাওয়ার দারুন কিছু উপকারিতা
প্রতিনিয়ত লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে এবং এর
পাশাপাশি আপনার রক্তে শর্করা মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা কমিয়ে নিয়ে আসবে। অনেক বেশি
দুশ্চিন্তা এবং উৎকণ্ঠা কমিয়ে নিয়ে আসতে এক টুকরা লবঙ্গ চুষে খেয়ে ফেলুন এর
ফলে আপনার সকল ধরনের দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে এছাড়াও আপনি চাইলে লবঙ্গের চা পান
করতে পারেন যা আপনার দুশ্চিন্তা দূর করার পাশাপাশি আপনার মেজাজ ফুরফুরে করে
তুলবে।
লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি অনেক অপকারিতা রয়েছে যেমন অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে
আপনার বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন রেশ
বা চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা লবঙ্গ
খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।
লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক
সাধারণত আপনি যদি পরিমাণ মতো প্রতিনিয়ত লবঙ্গ খান তবে আপনার কোন ধরনের সমস্যা
হবে না, তবে আপনার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা যদি কম হয়ে থাকে তবে আপনাদের
কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া উচিত নয়। যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম তারা
যদি প্রতিনিয়ত বেশি পরিমাণ লবঙ্গ খান তবে এই বদ অভ্যাসটি আপনাদের হাইপার
গ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।
এজন্য যদি কোন ধরনের সমস্যা না থাকে আপনি যদি এ বিষয়ে কিছু না জানেন সে
ক্ষেত্রেও মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ খাবেন না। এছাড়াও যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা
রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও লবঙ্গ খাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখাই উত্তম কারণ যাদের
অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা যদি লবঙ্গ খান তাহলে তাদের রেশ বা চুলকানিজনিত
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও এলার্জির ফলে তাদের যে ধরনের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয় যেমন ভোলা
ভাব বা অতিরিক্ত চুলকানি এ সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনি যদি এলার্জি
জনিত সমস্যা থাকে তবে সে ক্ষেত্রে লবঙ্গ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
এছাড়াও লবঙ্গের তেল খেলে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।আপনি
যদি লবঙ্গের উপকারিতা পেতে চান তবে কখনোই মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ খাবেন না।
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
দিনের অন্যান্য সময়ের পাশাপাশি রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে প্রতিনিয়ত
আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম পানি সহকারে একটি লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস
পর্যন্ত তুলতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে খুব সহজে মুক্তি পাবেন
অর্থাৎ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
এছাড়াও বমি বমি ভাব বদহজমজনিত সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা সমাধানে
লবঙ্গ অনেক বেশি কার্যকরী। গলা ব্যথা এছাড়াও ঠান্ডা জনিত সমস্যা সমাধানের জন্য
লবঙ্গ খেতে পারেন যা আপনার ঠান্ডা জনিত সকল রোগ দূর করার পাশাপাশি আপনার রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা পূর্বের থেকে আরো বেশি বাড়িয়ে তুলবে।
প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত
প্রতিটি জিনিস মাত্রা অতিরিক্ত খেলে সব সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। ঠিক তেমনিভাবেই আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ
খান তবে সেক্ষেত্রে আপনি উপকার গুলো লাভ করার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া এবং ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। গবেষকদের মতে তাদের গবেষণা অনুযায়ী
খালি পেটে প্রতিদিন দুইটি লবঙ্গ খাওয়া উত্তম।
আপনি যদি পরিমাণ এর অধিক লবঙ্গ খান তবে সে ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যা এবং
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লবঙ্গ তে প্রচুর পরিমাণ
প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম উপস্থিত রয়েছে যা আপনার শরীর এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়িয়ে তুলবে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে লবঙ্গ বহু বছর পূর্ব থেকে সকল ধরনের রোগ
নিরাময়ের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে।
খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে লবঙ্গ খেলে আপনি অনেক বেশি উপকারিতা গুলো লাভ করবেন। এর মধ্যে অন্যতম
উপকারিতা গুলো হলো আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস
গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা খুব সহজেই কমে
আসবে। এছাড়াও যে সকল ঠান্ডা জনিত রোগ রয়েছে যেন জ্বর কাশি সর্দি সাইনাস
ইত্যাদি।
সে সকল রোগগুলো প্রতিরোধ করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দ্রুত বাড়িয়ে তুলতে
লবঙ্গ অনেক বেশি কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। লবঙ্গ তে ব্লাড পিউরিফিকেশন এবং
এন্টিভাইরাল নামক উপাদান উপস্থিত রয়েছে যা আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের দূষিত
পদার্থ এবং দূষিত রক্ত শরীর থেকে খুব সহজে বের করে নিয়ে আসতে সহায়তা করে। আপনি
বিভিন্নভাবে লবঙ্গ খেতে পারেন তবে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে সকল রোগ
থেকে দূরে রাখবে।
শেষ কিছু কথা
আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা এবং
লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের
গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে
থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক।
এছাড়াও আপনাদের লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক গুলো
সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে
ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর
প্রদান করবেন।