হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা যেভাবে সহজেই ভালো করবেন
আপনারা অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব করেন
তাদের চিন্তায় কোন কারণ নেই এই পোস্টটি পড়লে হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা খুব
সহজেই অনেকাংশে কমে আসবে। এছাড়াও আপনারা হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা কমিয়ে
নিয়ে আসার পাশাপাশি পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিতে পারবেন।
হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা এবং পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলো
সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিতে পোস্টটি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা
অনেকেরই হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা শুরু হলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর গিয়ে এই
ব্যথা আরো বেশি বেড়ে যায় এবং অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। এমতা অবস্থায় এই
হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা কেন হয়েছে এবং এর সমাধান জানা টা অত্যন্ত জরুরী।
সাধারণত বিভিন্ন কারণে হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা হওয়া শুরু করে।
এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো মাংসপেশির শক্তি কমে যাওয়া এবং শরীরে ভিটামিন এবং
বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলা করতে গিয়ে অনেক
সময় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও হাঁটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা হওয়া শুরু করে। যারা
বাত রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন তাদের জন্য এই মাংসপেশির ব্যথা অস্বাভাবিক কিছুই
নয় কারণ বাদরুমে আক্রান্ত হলে মাংসপেশীদের ব্যথা লক্ষ্য করা যায়।
বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা কিন্তু খেলাধুলা করার ফলে আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার ফলে হাড়ের
যে জয়েন্ট রয়েছে তা আংশিক ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই হাড়ের জয়েন্ট
কিংবা জোর আংশিক ছুটে যাওয়ার ফলেও অনেক সময় মাংসপেশীতে ব্যথা ব্যথা দেখা দেয়।
বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি এবং চিকিৎসা অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই এই
ধরনের মাংসপেশির ব্যথা দূর করা সম্ভব।
এজন্য প্রথমত আপনার হাঁটুর নিচে মাংসপেশীর যে স্থানে ব্যথা করবে সেই স্থান ভালো
মতো গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন এছাড়া চাইলে আপনারা বরফ কিংবা ঠান্ডা পানির
ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত মাংসপেশির ব্যথা দূর করতে রক্ত চলাচল এর মাত্রা
বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী যদি রক্ত চলাচল এর মাত্রা বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে মাংস
পেশীর ব্যথা অনেকাংশেই কমে আসবে।
মূলত হাঁটুর নিচের মাংসপেশীতে ব্যথা হলে আপনার ব্যথার সময় চলাফেরা না করাটাই
উত্তম পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম দেয়ার পাশাপাশি ব্যথাযুক্ত স্থানে বরফের টুকরা
দিয়ে বা আইস বার দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত মাসাজ করলে অনেকাংশে ভালো এবং
আরাম অনুভব করবেন। এছাড়াও আরো একটি পন্থা রয়েছে আপনারা চাইলে
মাংসপেশিতে কোন কিছু দিয়ে চাপ দিয়ে রাখতে পারেন এর ফলে আপনার হাঁটুর নিচে ব্যথা
বা যেকোনো ধরনের মাংসপেশির ব্যথা অনেকাংশেই কমে আসবে যদি এই সকল পদ্ধতি সমূহ
সঠিকভাবে অনুসরণ করার পরেও হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা না কমে তবে সে ক্ষেত্রে
অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর ঔষধ
আপনারা অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারনে মাংস পেশীর ব্যথায় ভুগছেন
তারা পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর ঔষধ হিসেবে ডিক্লোমল নামক এই ওষুধটি
প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক খেতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জয়েন্ট কিংবা যে
সকল মাংসপেশির ফোলা ভাব এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথা খুব সহজে কমিয়ে নিয়ে আসার
জন্য
ডাক্তাররা এই ওষুধটি নিয়মমাফিক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ঔষধটি মূলত
লাইব্রেট কোম্পানির একটি ঔষধ যা প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক খেলে আপনার হাড়ের যে সকল
সংযোগকারী টিস্যু রয়েছে সেই টিস্যুর সম্পর্কিত ব্যথা সমূহ এবং ফোলা ভাব দূর করতে
আপনার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ হতে পারে।
এছাড়াও এই ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি আপনারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া
চিকিৎসা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সমূহ গুলো অবলম্বন করতে পারেন। এর ফলে আপনার
মাংসপেশির ব্যথা অনেকাংশেই কমে আসবে এবং আপনি আরাম অনুভব করবেন। এই ওষুধগুলো
নিয়মমাফিক এই ডিক্লোমল নামক ঔষধটি খেলে এবং
এর পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো অবলম্বন করলে অবশ্যই আপনার
পায়ের মাংসপেশীর ব্যথা অনেকাংশের কমে যাবে এগুলোর পাশাপাশি অবশ্যই কিন্তু আপনার
মাংসপেশিকে বিশ্রাম দেয়া অত্যন্ত জরুরি এজন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে
অবশ্যই সেই মাংসপেশির পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিশ্চিত করবেন।
পায়ের রগে ব্যাথার ঔষধ
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কারণে পায়ের রগে ব্যাথা হতে পারে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
খেলাধুলা কিংবা ব্যায়াম করার সময় বিভিন্ন ভুল কিংবা বিভিন্ন কারনে পায়ের ব্যথা
হওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি খুব গুরুতর আঘাত না হয় কিংবা গুরুতর কোন
সমস্যা না হয় সে ক্ষেত্রে খুব সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি পায়ের রগে ব্যাথার মত
সমস্যা কমে যায়।
পায়ের রগে ব্যাথার ঔষধ হিসেবে মূলত আপনারা যদি ব্যথা কম পরিমাণে হয় এবং খুব
বেশি অতিরিক্ত ব্যথা না হলে সে ক্ষেত্রে আপনারা প্রথমত প্যারাসিটামল জাতীয়
ওষুধগুলো খেয়ে দেখতে পারেন সাধারণত প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধগুলো এই ধরনের অল্প
ব্যথায় আরাম প্রদান করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও পায়ের রগে ব্যাথা এবং পায়ের বিভিন্ন অংশে ব্যথার জন্য আপনারা এই
ইবুপ্রফেন এর নামক এই ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন যা ব্যথা কমিয়ে নিয়ে আসতে
অত্যন্ত কার্যকরী ভুমিকা রাখে। এছাড়াও পায়ের রগে ব্যাথা এবং পায়ের মাংসপেশিতে
ব্যথার জন্য আপনারা ডিক্লোমল ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন যা অত্যন্ত কার্যকরী
আপনারা এই ওষুধের বিকল্প ওষুধ হিসেবে
ইন্টাজেসিক ৫০ এম জি এছাড়াও ফেনাক প্লাস এবং ক্যাডিনেক্সট প্লাস এই ওষুধ গুলোর
ব্যাবহার করতে পারেন।এগুলো ছাড়াও আপনার নিকটস্থ যে কোন ওষুধের দোকান কিনব
ফার্মেসিতে আপনারা যদি এই সকল ঔষধ গুলো না পান তবে সেক্ষেত্রে এই ঔষধ গুলোর
বিকল্প হিসেবে আপনারা Diclowin নামক এই ওষুধ টি ব্যাবহার করতে পারেন।
পায়ের শিরায় ব্যাথার হোমিও ঔষধ
বর্তমানে অনেকেই রোগী রয়েছেন যারা এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পরিবর্তে হোমিওপ্যাথি
চিকিৎসা নিতে পছন্দ করেন এবং পায়ের শিরায় ব্যাথার হোমিও ঔষধ সম্পর্কে জানতে
চান এমন কিছু হোমিও ঔষধ রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর
পরামর্শ মোতাবেক নিয়ম মাফিক ছেড়ে অবশ্যই পা ব্যথা খুব দ্রুত অনেকাংশে কমে
আসবে
বলে আশা করা যায় এই পায়ের শিরায় ব্যাথার হোমিও ঔষধ গুলোর মধ্যে অন্যতম
কার্যকারিতা সম্পন্ন ঔষধ গুলো হলো লেডাম পাল,ব্রাইওনিয়া অ্যালবা ,রুশ টক্স,
কাল্মিয়া লেট ইত্যাদি এই সকল ওষুধগুলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
আপনি প্রতিনিয়ত সেবন করলে খুব দ্রুত আপনার পায়ের শিরার ব্যথা অনেকাংশে কমে
আসবে।
এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন যাবত নিতম্ব বেদনা ব্যথা বা বাম পায়ের ছায়া টিকা ব্যথা
অনুভব করছেন তারা চাইলে লাইসপদিয়াম নামক এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনাদের
যাদের ব্যাট কেটে বাদ জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য লেডাম পাল একটি ভালো ওষুধ
হতে পারে যা প্রতিটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিজ রোগীদের ব্যবহারের জন্য পরামর্শ
দিয়ে থাকেন।
আপনি চাইলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার দ্বারা নিজেদের রোগ নির্ণয় সহজেই করতে পারবেন
এবং চিকিৎসকগণ বিভিন্ন চিকিৎসার পরে আপনার আরোগ্যদানে সহায়তা করবেন যদি উপরে
উল্লেখিত ঔষধ গুলো খেয়ে আপনার ব্যথা না কমে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন
বিএইচএমএস ডিগ্রী প্রাপ্ত হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তার
চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
পায়ের শিরায় ব্যাথার ঔষধ
অনেকেই পায়ের রগে কিংবা মাংসপেশির ব্যথায় দীর্ঘদিন যাবত অসহনীয় ব্যাথা সহ্য
করার পরে ভালো হয়ে যায় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সকল ব্যথা খুব দ্রুত ভালো
হয়ে থাকে তবে আঘাত কিংবা বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার ফলে অনেক সময় এই
ব্যথা দীর্ঘদিন যাবত ভুগতে হয় এজন্য পায়ের শিরায় ব্যথার ওষুধ হিসেবে
প্রথমত প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা উচিত এর ফলে ব্যাথার
পরিমাণ অনেক আছে কমে আসবে যদি তারপরও না কমে সেক্ষেত্রে আপনারা পায়ের শিরায়
ব্যাথার ঔষধ রয়েছে যা প্রতিনিয়ত খেলে আপনাদের ব্যথা অনেকাংশেই কমে আসবে এর
মধ্যে অন্যতম ওষুধ হলো নেওজাবা ৭৫ এমজি ক্যাপসুল প্রেগাবিড এম ই ৭৫ এম জি
ক্যাপসুল ইত্যাদি
এই ওষুধ গুলো আপনি নিয়মমাফিক খেলে অবশ্যই আপনার পায়ের শিরার ব্যাথা খুব দ্রুত
অনেকাংশেই কমে যাবে। আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ
ফার্মেসিতে এই সকল ঔষধ নাও পেতে পারেন কারণ এগুলো মূলত ভারতের বাজারে বিক্রয়
হয়ে থাকে আপনারা যদি আপনাদের নিকটস্থ ফার্মেসিতে এই সকল ঔষধ না পান
সে ক্ষেত্রে আপনারা ডিক্লোমল নামক এই ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন যা এই সকল ব্যথা
কমিয়ে নিয়ে আসতে অনেক উপকারী। যদি এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করার পরেও এবং
নির্ধারিত ঔষধ সঠিক সময়ে গ্রহণ করার পরেও আপনার ব্যথা না কমে সেক্ষেত্রে
অবশ্যই খুব দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
শেষ কিছু কথা
আশা করি ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা এবং
পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং অজানা তথ্য গুলো সবার আগে পেতে গুগল
নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক।
এছাড়াও হাটুর নিচে মাংসপেশিতে ব্যথা এবং পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর ঔষধ
সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে
ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান
করবেন।