শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ জেনে নিন বিস্তারিত

বর্তমানে অনেকেরই শরীর কাঁপার মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই পোস্টটিতে শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ এবং এর সমাধান সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টটি পড়লে শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ জানার পাশাপাশি কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে এবং এর বিভিন্ন সমাধান সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ
এজন্য শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ এবং কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে এগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিত জেনে নিতে পোস্টটি না টেনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ

সাধারণত সুস্থ ব্যক্তিদের শরীর কাঁপা অত্যন্ত অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীর কাঁপা অস্বাভাবিক কিছু নয়।অনেক সময় দুর্বলতার কারণেও বিভিন্ন জনের শরীর কাপার মত সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত এজন্য প্রথমত শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ এবং তার কারণগুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে। 

শরীর কাঁপার অন্যতম মূল কারণ হতে পারে শরীরের দুর্বলতা কিংবা শরীরের রক্তচাপ অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি শরীরের অ্যাড্রিনালিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। আপনাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে যদি রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে এবং এর সাথে সাথে দেহের অ্যাড্রিনালিনের মাত্রাও বেড়ে যায়। 
এর ফলে তা আপনাদের হৃদ স্পন্দনকে তুরান্বিত করতে শুরু করে মূলত এজন্যই শরীরের বিভিন্ন ধরনের কম্পন এবং ঝাঁকনি অনুভূত হয়। এছাড়াও আপনাদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগী রয়েছেন তাদের শরীরে যদি শর্করার পরিমাণ কমে যায় সে ক্ষেত্রে এ ধরনের শরীর কাপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

বিশেষ করে এই ধরনের শরীর কাপার মতো সমস্যা ডায়াবেটিস জনিত রোগীদের দেখা দিতে পারে যারা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ গ্রহণ করেন এবং ইনসুলিন গ্রহণ করেন। শরীর কাপার বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ থাকতে পারে এর মধ্যে অন্যতম লক্ষণ হল বহুমুখী ধমনীর সমস্যা। এছাড়াও যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের সাথে জড়িত তাদের শরীর কাঁপার অন্যতম কারণ হলো অ্যালকোহল।

সাধারণত অন্যান্য রোগী এবং অন্যান্য মানুষদের তুলনায় যারা হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছে তারা এই সমস্যায় আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এছাড়াও এমন একটি রোগ রয়েছে যেই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটতে শুরু করে ।এটি মূলত একটি ক্রমবর্ধমান স্নায়ুবিক রোগ। 

সাধারণত হাত কাঁপার মাধ্যমে ধীরে ধীরে পুরো শরীরে বিভিন্ন অংশ কাটতে শুরু করে এবং এই রোগটি বিস্তার লাভ করতে শুরু করে প্রথমত একটা হাত কাঁপতে শুরু করে। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে অন্য হাত কাঁপতে শুরু করে এবং এর পর আস্তে আস্তে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। একসময় গিয়ে পুরো শরীর কাপার মতো সমস্যা দেখা দেয় এই রোগটির নাম পারকিনসন্স রোগ।
এছাড়াও মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামক এই লোকটির মূল লক্ষণ হলো শরীরের বিভিন্ন অংশের কাঁপুনি। এই রোগটি যখন বিকাশ লাভ করে সে সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে পেশির বিভিন্ন অংশে সংকুচিত হয় এবং পরবর্তীতে তার শিথিল হয়ে যায়। মূলত এই সময়েই শরীরে রোগী ঝাঁকুনি অনুভব করেন। পরবর্তী সময়ে এই লক্ষণ রোগীর স্নায়বিক এর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে।এই রোগের বিস্তার লাভ করলে রোগী একা হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে আবার বিভিন্ন ধরনের অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। হাত কাঁপা বা বিভিন্ন ধরনের অন্যান্য লক্ষণ শরীরে দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। শরীর কাঁপা বা শরীর ঝাকুনির কারণ নির্ণয় করার মত কোন নির্দিষ্ট পরীক্ষা নেই এটা আরো বিভিন্ন ধরনের রোগের লক্ষণও হতে পারে।তবে যদি ঝাঁকুনি হলে সমস্যা সৃষ্টি হয় তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রোগ বিস্তার লাভ করার পূর্বেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে

সাধারণত আমাদের প্রতিনিয়ত খাদ্যাভাসের অসচেতনতা এবং অনিয়মের ফলেই বিভিন্ন সময় শরীর কাপার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এর পাশাপাশি আমাদের শরীরে দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। যাদের শরীর কাঁপার মতো সমস্যা রয়েছে সাধারণত এই সমস্যার জন্য মূলত আমাদের মাংসপেশের দুর্বলতা এবং মাংসপেশী বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যার ফলেই ঘটে থাকে।
 
সাধারণত আপনাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবেই মাংসপেশী দুর্বলতা বেড়ে যায় এবং পরবর্তীতে এর ফলেই শরীর কাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনারা যদি প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্য এবং ভিটামিন ডি এর উৎস থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে 
আপনাদের ঘড়ির কাঁপা এবং মাংসপেশি কাপার মতো সমস্যা গুলো খুব দ্রুত অনেকাংশেই কমে আসবে। আপনারা হয়তো ভালো মতোই জানেন ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস হলো সূর্যের আলো তাই প্রতিদিন সকালে উঠে দশ থেকে বিশ মিনিট সূর্যের আলোতে বসে থাকুন এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন। 

প্রতিনিয়ত সূর্যের আলো গ্রহণ করলে আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর চাহিদা অনেকাংশে কমে আসবে এবং পরবর্তীতে আপনি ভিটামিন বি যুক্ত যে সকল খাবার আছে সে সকল খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমেও ভিটামিন ডি এর চাহিদা গুলো পূরণ করতে পারেন যা আপনার মাংস বেশী দুর্বলতা কমিয়ে নিয়ে আসার পাশাপাশি মাংসপেশি বেড়ে যাওয়া এবং শরীর কাঁপা এবং মাংসপেশি কাপার মতো সমস্যা গুলো খুব দ্রুত কমিয়ে নিয়ে আসবে। 

আপনারা অবশ্যই ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে যেন আপনার দেহের কোন ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি না দেখা দেয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। প্রতিনিয়ত খাদ্য গ্রহণ করুন যার ফলে আপনার প্রতিদিনের পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে এবং এর পাশাপাশি সকালে উঠে সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ সময় কাটান এর ফলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ হয়ে যাবে।

শরীর কাঁপা দূর করার উপায়

মূলত শরীর কাপা দূর করার জন্য প্রথমত আপনাদের শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ এবং কেন শরীর কাপার মতো সমস্যা আপনাদের শরীরে দেখা দেয় এটা ভালোমতো জেনে নিতে হবে। সাধারণত শরীর কাপার বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে তবে মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় নার্ভ এর সমস্যা। 
অনেক সময় আপনারা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে কিংবা অন্যান্য কারণে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলেন এবং সময় মত নিজেদের পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিনের চাহিদা গুলো পূরণ করেন না এর ফলে পরবর্তীতে গিয়ে আপনাদের শরীরে এই সকল পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। 

এরই ফলস্বরূপ আপনারা নিজেদের শরীরকে দুর্বল অনুভব করতে শুরু করেন। সাধারণত শারীরিক দুর্বলতা এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানের চাহিদা গুলো সঠিকভাবে পূরণ না হওয়ার ফলে শরীর দুর্বলতা দেখা দেয়ার পাশাপাশি শরীর কাঁপার মত সমস্যাও লক্ষ্য করা যায়।শরীর কাঁপা দূর করার উপায় হিসেবে আপনারা আপনাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাস পরিবর্তন করুন এবং প্রতিনিয়ত পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। 

নিয়মমাফিক এবং সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করুন এর ফলে আপনাদের শরীরে দুর্বলতা অনেকাংশই কমে আসবে। নিজের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করার পরেও এবং সঠিক পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করার পরেও যদি কিছুদিন পর গিয়ে আপনার শরীর কাপার মতো সমস্যা থেকেই যায় ভালো না হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি একজন ভালো নার্ভের চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন 
নিজের এই সমস্যাগুলো তার কাছে উপস্থাপন করুন। যদি আপনি এরপরেও ডাক্তারের নিকট শরণাপন্ন হতে না চান সে ক্ষেত্রে আপনি মানসিকভাবে সুস্থ কিনা আপনার মানসিক অবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য করুন। আপনি যদি মানসিকভাবে কোনোভাবে অসুস্থ অনুভব করেন সে ক্ষেত্রে নিজের মানসিক অবস্থা আগে ঠিক করুন এবং 

কিছুদিন অপেক্ষা করুন এর পাশাপাশি আপনি প্রতিদিন কিছু সময় নিয়ম মাফিক ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন এই সকল ভাল অভ্যাসগুলো যদি প্রতিনিয়ত অনুসরণ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার শরীর কাপার সমস্যা গুলো খুব সহজেই সমাধান হয়ে যাবে আশা করা যায়। মূলত যারা মধ্যবয়সী মানুষ রয়েছেন তাদের এ ধরনের শরীর কাপার মতো সমস্যা দেখা দেয় না বললেই চলে।

তবে যারা বয়স্ক মানুষ রয়েছেন তাদের মধ্যে এ ধরনের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাঁপা এবং পুরো শরীর কাঁপার মধ্যে সমস্যা লক্ষ্য করা যায় সাধারণত তাদের বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি বাড়তে থাকে এবং এর পাশাপাশি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে 

এর ফলে তাদের খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থেকে যায় এবং তাদের শরীর খুব বেশি সবল হয় না এজন্যই তাদের শরীর কাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয় তবে যারা মধ্যবয়সী মানুষ রয়েছেন তারা যদি প্রতিনিয়ত খারাপ সকল অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসেন এবং সকল ভাল অভ্যাস গুলো অনুসরণ করতে শুরু করেন 
এর ফলস্বরূপ আপনারা শরীর কাপার মতো সমস্যা থেকে খুব দ্রুত বের হয়ে আসতে পারবেন। যদি এই সকল অভ্যাসগুলো অনুসরণ করার পরেও আপনার শরীর কাঁপা এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয় তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো নার্ভের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবংতার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায়

আপনারা অনেকেই রয়েছেন যাদের পুরো শরীর কাঁপেনা কিন্তু শরীরের হাত পা অনেক সময় কাঁপতে শুরু করে সাধারণত এই সমস্যাগুলো মধ্যবয়স্ক মানুষদের থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষদের মাঝেই লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত আপনাদের হাতের মাংসপেশীর অনিয়ন্ত্রিত কম্পন এর ফলে আপনাদের হাত কাঁপতে শুরু করে হাত কাঁপার অনেকগুলো কারণ রয়েছে

এই কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হলো থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, পারকিনসন্স রোগ, বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, এসেন্সিয়াল ট্রেমোর। আপনাদের যাদের হরমোন জনিত সমস্যা রয়েছে আপনাদের যদি হাত কাপার মতো সমস্যা দেখা দেয় তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা আপনাদের থাইরয়েড হরমোনের পরীক্ষা করে নিতে পারেন। 

তবে বিশেষ প্রয়োজনে আপনারা স্নায়ু রোগ নির্ণয়ের জন্য মাথার এমআরআই যে পরীক্ষাটি রয়েছে সেই পরীক্ষাটিও ডাক্তারের কাছে উপস্থাপন করতে পারেন আপনারা যদি কখনো ডাক্তারের শরণাপন্ন হন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার আপনাদের এই পরীক্ষাটি করার পরামর্শ দিতে পারেন। 
আপনারা যারা শ্বাসকষ্টের রোগী রয়েছেন তারা শ্বাসকষ্টের জন্য যে সকল ঔষধ গ্রহণ করেন যেমন থিওপাইলিন সালবিউটামল ইত্যাদি এই সকল ঔষধ সেবনের কারণে এই সকল ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার শরীরের হাত এবং পা কাঁপতে পারে। থাইরয়েড হরমোন জনিত সমস্যার ফলে হাত কাঁপে কিন্তু এক্ষেত্রে 

থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য রোগে যারা আক্রান্ত শুধু তাদেরই হাত কাপার মত সমস্যা দেখা দেয় এছাড়াও এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন বেশি বেশি ঘাম হওয়া, গরম লাগা, বুকে ধরফর করা, ডায়রিয়া এবং অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও যারা পারকিনসন্স নামক এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা 

দীর্ঘদিন যাবৎ পারকিনসন্স নামক এই স্নায়ু রোগ টিতে ভুগছেন তাদের শুধু হাত কাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে এর পাশাপাশি তাদের দৈনন্দিন জীবনে হাঁটা চলার গতি অনেকাংশেই কম লক্ষ্য করা যেতে পারে এবং অনেক সময় তারা চলাফেরায় সমস্যা অনুভব করেন। এছাড়াও হাত-পা কাঁপার মতো সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের এসেন্সিয়াল ট্রেমোর নামক এই রোগটি হতে পারে এই এসেনশিয়াল ট্রেমোর হলো বংশগত একটি রোগ। 

এই রোগে যারা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন তাদের শুধু হাত এবং পা কাপে না তাদের এই হাত এবং পা কাপার সাথে সাথে তাদের মাথা ও কাঁপতে শুরু করে। আপনারা যারা হাত এবং পা কাপার চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই প্রথমত হাত এবং পা কাপার কারণ নির্ণয় করুন যদি কোন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হাত এবং পা কাপতে শুরু করে। 

সেক্ষেত্রে সেই ঔষধ যদি গ্রহণ করা বন্ধ করে দেন তাহলে খুব দ্রুত হাত এবং পা কাপা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনারা প্রোপানল জাতীয় ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাদের হাত এবং পা কাপার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। যাদের হরমোন জনিত সমস্যার ফলে এই হাত-পা কাঁপার মত সমস্যা দেখা দেয় তারা যা হরমোন রোগের 

যে সকল চিকিৎসক রয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন। যারা পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত রয়েছেন এটি একটি স্নায়ু রোগ এই রোগটি দূর করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন এজন্য আপনারা একজন ভালো স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ সাথে যোগাযোগ করুন। 
যাদের শুধু হাত কাঁপার মত সমস্যা রয়েছে এই সমস্যাগুলো খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং ভালো করা যায় । বর্তমান সময়ে আমাদের দেশেই ডিবিএস নামক এক ধরনের শল্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে আপনার এই ধরনের সমস্যাগুলো খুব সহজেই চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। শল্য চিকিৎসা এই চিকিৎসা মাধ্যমটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি চিকিৎসা মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। 

তবে যাদের অন্যান্য সমস্যার ফলে হাত এবং পা কাপার মতো সমস্যা হচ্ছে অর্থাৎ যারা হরমোন জনিত সমস্যার ফলে এবং স্নায়ু রোগের জন্য এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা অবশ্যই খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
রেফারেন্স
ডাক্তার নাজমুল্লাহ হক মুন্না
সহকারী অধ্যাপক, নিউরোলজ্‌ মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

শরীর কাঁপার কারণ কি

শরীর কাপার অনেকগুলো কারণ রয়েছে এই কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো আপনাদের যাদের রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে আপনাদের শরীরের যদি অস্বাভাবিকভাবে রক্ত চাপ এর পরিবর্তন ঘটে অর্থাৎ রক্তচাপ হ্রাস পায় কিংবা রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের যখন রক্তচাপ বৃদ্ধি হবে।

সে রক্তচাপ বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীর কাপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত আপনাদের শরীরে অস্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি এটি হৃদ স্পন্দনকে তুরান্নিত করে তোলে এবং এর ফলেই মূলত আপনাদের পেশীতে কম্পন এবং পুরো শরীরের একটি ঝাঁকুনি সৃষ্টি করে সে সময় আপনারা নিজেদের শরীর কাঁপছে এমন অনুভব করেন। 
এছাড়া অনেক সময় রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেও শরীর কাপা শুরু করতে পারে এজন্য নিজেদের খাদ্যাভাসে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাদ্য রাখুন এবং প্রতিনিয়ত সচেতনতা অবলম্বন করুন। অনেক ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং ইনসুলিন গ্রহণ করেন তাদেরও এই ধরনের শরীর কাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় তবে যদি মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরী।

শেষ কিছু কথা

আশা করি সকল পাঠকগণ ব্লগ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এছাড়াও আপনারা হয়তো কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে সে সম্পর্কে অজানা তথ্যগুলো জেনে নিতে পেরেছেন।প্রতিনিয়ত এধরনের অজানা ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো সবার আগে পেতে গুগল নিউজে ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন।গুগল নিউজ ফলো লিংক

পোস্টটি ভালোমতো পড়ার পর শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ ও কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে এবং পোস্ট সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের মতামত এবং প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের সাপোর্ট টিম খুব দ্রুত আপনার প্রশ্ন এবং মতামত এর উত্তর প্রদান করবেন।
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url